বাণী

রবে না এ বৈকালি ঝড় সন্ধ্যায়।
বহিবে ঝিরিঝিরি চৈতালি বায়॥
দুপুরে যে ধরেছিল দীপক তান
বেলাশেষে গাহিবে সে মুলতানে গান,
কাঁদিবে সে পূরবীত গোধূলি-বেলায়॥
নৌবতে বাজিবে গো ভীম-পলাশী,
উদাস পিলুর সুরে ঝুরিবে বাঁশি,
বাজিবে নূপুর হয়ে তটিনী ও-পায়॥

বাণী

		পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
		যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।।
		কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই
		সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই)
		মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।।
(তোমার)	পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি
		লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি।
		নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।।
		মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে
আমার	সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!)
		কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।

বাণী

নতুন খেজুর রস এনেছি মেটে কলস ভ'রে
ভিন গাঁ হতে এনে গো রস-পিয়াসি
ও আমার রস-পিয়াসি রসিক জনের তরে।।
	মিঠে রোদে শীতের দিনে
	তরুণ-বঁধূ লও গো কিনে
ফাগুন-হাওয়া বইবে প্রাণে, ওগো হালকা নেশার ঘোরে।।
মলিন মুখে দিয়ে দেখ নলিন খেজুর-গুড়
বাহির-ভিতর হবে তাহার মিষ্টিতে ভরপুর
	ওগো মিষ্টিতে ভরপুর।
	মোর তনুর চেয়ে অনেক বেশি
	মধুর এ রস ও বিদেশি,
রস না পিয়েও ঝিমিয়ো না গো নেশায় অমন ক'রে।।

বাণী

(মা)		আয় মুক্তকেশী আয়
(মা)		বিনোদ-বেণী বোঁধ দোব এলোচুলে।
		প্রভাত রবির রাঙা জবা (মা) দুলিয়ে দোব বেণী মূলে॥
		মেখে শ্মশান ভস্ম কালি,
		ঢাকিস্ কেন রূপের ডালি
		তোর অঙ্গ ধুতে গঙ্গাবারি আনব শিবের জটা খুলে॥
		দেব না আর শ্মশান যেতে, সহস্রারে রাখব ধ’রে।
		খেলে সেথায় বেড়াবি মা রামধনু রং শাড়ি প’রে।
		ক্ষয় হলো চাঁদ কেঁদে কেঁদে
(তারে)	দেব মা তোর খোঁপায় বেঁধে
		মোর জীবন মরণ বিল্ব জবা দিব মা তোর পায়ে তুলে॥

বাণী

আমার উমা কই গিরিরাজ, কোথায় আমার নন্দিনী।
এ যে দেবী দশভুজা এ কোন্ রণ-রঙ্গিণী॥
	মোর লীলাময়ী চঞ্চলারে ফেলে
	এ কোন দেবীমূর্তি নিয়ে এলে,
এ যে মহীয়সী মহামায়া বামা মহিষ-মর্দিনী॥
মোর মধুর স্নেহে জ্বালতে আগুন আন্‌লে কারে ভুল ক’রে,
এরে কোলে নিতে হয় না সাহস ডাকতে নারি নাম ধ’রে।
	কে এলি মা দনুজ-দলন বেশে
	কন্যারূপে মা ব’লে ডাক হেসে হেসে,
তুই চিরকাল যে দুলালী মোর মাতৃস্নেহে বন্দিনী॥

বাণী

ও কে উদাসী বেণু বাজায়
ডাকে করুণ সুরে আয় আয়।।
ও সে বাঁধন হারা বাহির বিলাসী
	গৃহীরে করে সে পরবাসী
	রস যমুনায় উজান বহায়।।
মম মনের ব্রজে ওসে কিশোর রাখাল
যেন বাজায় বাঁশি শুনি অনাদিকাল
তার সরল বাঁশি তার তরল তাল
	অন্তরে গরল-সুধা মেশায়।।