বাণী

আমার উমা কই গিরিরাজ, কোথায় আমার নন্দিনী।
এ যে দেবী দশভুজা এ কোন্ রণ-রঙ্গিণী॥
	মোর লীলাময়ী চঞ্চলারে ফেলে
	এ কোন দেবীমূর্তি নিয়ে এলে,
এ যে মহীয়সী মহামায়া বামা মহিষ-মর্দিনী॥
মোর মধুর স্নেহে জ্বালতে আগুন আন্‌লে কারে ভুল ক’রে,
এরে কোলে নিতে হয় না সাহস ডাকতে নারি নাম ধ’রে।
	কে এলি মা দনুজ-দলন বেশে
	কন্যারূপে মা ব’লে ডাক হেসে হেসে,
তুই চিরকাল যে দুলালী মোর মাতৃস্নেহে বন্দিনী॥

বাণী

	ছাড়িতে পরান নাহি চায় তবু যেতে হবে হায়
	মলয়া মিনতি করে তবু কুসুম শুকায়॥
		রবে না এ মধুরাতি
		জানি তবু মালা গাঁথি
মালা	চলিতে দলিয়া যাবে তবু চরণে জড়ায়॥
		যে কাঁটার জ্বালা সয়ে
		উঠে ব্যথা ফুল হয়ে
	আমি কাঁদিব সে-কাঁটা লয়ে নিশীথ বেলায়॥
		নীরবে রবে যবে পরবাসে
		আমি দূর নীল আকাশে
	জাগিব তোমারি আশে নূতন তারায়॥

বৈতালিক

বাণী

যেদিন		রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী
		সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী।।
		সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্‌হার রূপ দেখে
		পীর পয়গম্বর কাঁদবে ভয়ে ‘ইয়া নফসী’ ডেকে;
		সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এখন থেকে।
আমি		তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজী।
আল্লাহ 		তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।।
		যেরূপে হোক বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ
		দোজখ্‌ কি আর ছুঁতে পারে পবিত্র তাঁর দেহ।
সে 		হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বে-নামাজী।।
		ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত তাই দেখাবে ব’লে
		রোজ-হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে, —
		প্রেমিক বিনে কে বুঝিবে তোমার এ কারসাজি।।

বাণী

শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ
এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথি কই।
	বকুল বনে এক্‌লা পাখি,
	আকুল হ’ল ডাকি’ ডাকি’,
আমার প্রাণ থাকি’ থাকি’ তেমনি কেঁদে ওঠে সই।।
কবরীতে করবী ফুল পরিয়া প্রেমের গরবিনী
ঘুমায় বঁধু-বাহু পাশে, ঝিমায় দ্বারে নিশীথিনী।
ডাকে আমায় দূরের বাঁশি কেমনে আজ ঘরে রই।।

১. ডেকে, ২. আর

বাণী

কত যুগ পাই নাই তোমার দেখা
থাকিতে পারি না আর একা একা।।
	জানি না কোথায় থাকো
	সেথায় আমারে ডাকো
মুছে এলো বুকে বঁধু স্মৃতির রেখা।।
তুমি জলধি, তোমাতে মিশে শতেক নদী
আম রুদ্ধ-সায়র কাঁদি নিরবধি।
	দেখা কি পাব না হায়
	আশা যে ফুরায়ে যায়
শ্রাবণে এলো গো মেঘ, কাঁদিছে কেকা।।

বাণী

ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি
মোরে কাঁদায় নিতি যে ফিরিবে না আর।
ফিরায়েছি যা’য় কাঁদাইয়া হায়
সে কেন কাঁদায় মোরে বারেবার।।
তারই দেওয়া ফুলমালা, যারে দলিয়াছি পায়
সেই ছিন্নমালা কুড়ায়ে নিরালা আজি রাখি হিয়ায়।
বারে বারে ডাকি প্রিয় নাম ধ’রে তা’র।।
হানি’ অবহেলা যারে দিয়েছি বিদায়
আজি তারি স্মৃতি, সে কোথায় সে কোথায়।
জ্বালি’ নয়ন-প্রদীপ জাগি বাতায়নে
নিশি ভোর হয়ে যায় বৃথা জাগরণে
আজি স্বর্গ শূন্য মোর তারি বিহনে
কাঁদি আকাশ বাতাস মোর করে হাহাকার।।