কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্
বাণী
কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্, সে যে রে তোরই মাঝে রয়, চেয়ে দেখ সে তোরই মাঝে রয়। সাজিয়া যোগী ও দরবেশ খুঁজিস্ যায় পাহাড় জঙ্গলময়।। আঁখি খোল্ ইচ্ছা-অন্ধের দল নিজেরে দেখ্ রে আয়নাতে, দেখিবি তোরই এই দেহে নিরাকার তাঁহার পরিচয়।। ভাবিস্ তুই ক্ষুদ্র কলেবর, ইহাতেই অসীম নীলাম্বর, এ দেহের আধারে গোপন রহে সে বিশ্ব-চরাচর। প্রাণে তোর প্রাণের ঠাকুর বেহেশ্তে স্বর্গে কোথাও নয়।। এই তোর মন্দির-মসজিদ এই তোর কাশী-বৃন্দাবন, আপনার পানে ফিরে চল কোথা তুই তীর্থে যাবি, মন! এই তোর মক্কা-মদিনা, জগন্নাথ-ক্ষেত্র এই হৃদয়।।
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়
বাণী
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়। আমার কথার ফুল গো, আমার গানের মালা গো — কুড়িয়ে তুমি নিও।। আমার সুরের ইন্দ্রধনু রচে আমার ক্ষণিক তনু, জড়িয়ে আছে সেই রঙে মোর অনুরাগ অমিয়।। আমার আঁখি-পাতায় নাই দেখিলে আমার আঁখি-জল, আমার কণ্ঠের সুর অশ্রুভারে করে টলমল। আমার হৃদয়-পদ্ম ঘিরে কথার ভ্রমর কেঁদে ফিরে, সেই ভ্রমরের কাছে আমার মনের মধু পিও।।
গীতি আলেখ্য: ‘আকাশবাণী’
যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ
বাণী
যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ আর শ্রীমন্ত তোরে। সেই নাম তুই শিখিয়ে দে মা, ডাকব আমি তেমনি ক’রে।। বেদ-পুরাণে যে নাম শুনি যে নাম জপে ঋষি-মুনি সেই নাম দে, যে নাম নিতে বক্ষ ভাসে অশ্রু-নীরে।। ভয় যদি তোর ভক্তি দিতে, কর মা অসুর দানব মোরে আসবি যখন শাস্তি দিতে, দেখব তোরে নয়ন ভরে।। তোর হাতে মা মরণ হলে ঠাঁই পাব যে তোরই কোলে আঘাত করে ছেলেকে মা কাঁদে যেমন বক্ষে ধরে।।
তুমি আনন্দ ঘনশ্যাম আমি প্রেম-পাগলিনী রাধা
বাণী
তুমি আনন্দ ঘনশ্যাম আমি প্রেম-পাগলিনী রাধা। তব ডাক শুনে ছুটে যাই বনে আমি না মানি কুলের বাধা।। শূন্য প্রাণের গাগরি ঘিরে নিতি আসি রস-যমুনার তীরে অঙ্গ ভাসায়ে তরঙ্গ-নীরে শুনি তব বাঁশি সাধা।। যুগ-যুগান্ত অনন্ত কাল হৃদয়-বৃন্দাবনে তোমাতে আমাতে এই লীলা, নাথ! চলেছে, সঙ্গোপনে। মোর সাথে কাঁদে প্রেম-বিগলিতা ভক্তি ও প্রীতি বিশাখা-ললিতা। তোমারে যে চায়, মোর মতো, হায়! সার শুধু তার কাঁদা।।
ওগো দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই
বাণী
ওগো দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই (গদাইচন্দ্র) বিবাহ না করে, কুক্ষণে তার বিয়ে দিয়ে দিল সবাই ধ’রে॥ আইবুড়ো সে ছিল যখন, মনের সুখে উড়ত হাল্কা দু’খান পা দিয়ে সে (গদাই) নাচ্ত, কুঁদ্ত ছুঁড়ত॥ ওগো বিয়ে করে গদাই দেখলে সে আর উড়তে নারে, ভারি ঠেকে সদাই। তার এ্যাডিশনাল দু’খানা ঠ্যাং বেড়ায় পিছে ন’ড়ে॥ গদাই-এর পা দু’খানা মোটা, আর তার বৌ-এর পা দু’খানা সরু, ছোট বড় চারখানা ঠ্যাং ঠিক যেন ক্যাঙারু গদাই (দেখতে) ঠিক যেন ক্যাঙ্গারু। আপিসে পদ বৃদ্ধি হয় না (গদাইচন্দ্রের), কিন্তু ঘরে ফি-বছরে, পা বেড়ে যায় গড়পড়তায় দু’চারখান ক’রে। তার বৌ শোনে না মানা — তিনি হন্যে হয়ে কন্যে আনেন মা, ষষ্টির ছানা মানুষ থেকে চার পেয়ে জীব, শেষ ছ’পেয়ে মাছি, তারপর আটপেয়ে পিঁপড়ে, বাবা গদাই বলে, একেবারে গেছি আর বলে, ও বাবা বিয়ে করে মানুষ এই কেলেঙ্কারীর তরে (বাবা)॥