বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার
বাণী
বিদায়-সন্ধা আসিল ঐ ঘনায় নয়নে অন্ধকার। হে প্রিয়, আমার, যাত্রা-পথ অশ্রু-পিছল ক’রো না আর॥ এসেছিনু ভেসে স্রোতের, ফুল তুমি কেন প্রিয় করিলে ভুল তুলিয়া খোঁপায় পরিয়া তা’য় ফেলে দিলে হায় স্রোতে আবার॥ হেথা কেহ কারো বোঝে না মন যারে চাই হেলা হানে সে’ জন যারে পাই সে না হয় আপন হেথা নাহি হৃদি ভালোবাসার। তুমি বুঝিবে না কি অভিমান মিলনের মালা করিল ম্লান উড়ে যাই মোর, দূর বিমান সেথা গা’ব গান আশে তোমার॥
রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে
বাণী
রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে মায়ের পায়ের ফুল কুড়িয়ে বেঁধেছি মোর শিরে॥ মা’র চরণামৃত খেয়ে অমৃতে প্রাণ আছে ছেয়ে, দুঃখ অভাব ভাবনার ভার দিয়েছি মা ভবানীরে॥ তারা নামের নামাবলী জড়িয়ে আমার বুকে, মায়ের কোলে শিশুর মত ঘুমাই পরম সুখে। মা’র ভক্তের চরণ ধূলি নিয়েছি মোর বক্ষে তুরি মায়ের পূজার প্রসাদ পেতে আমি আসি ফিরে ফিরে॥
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া
বাণী
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া মা এসেছে ঘর। তোরা উলু দে রে, শঙ্খ বাজা, প্রদীপ তুলে ধর্।। (এলো মা, আমার মা) মাকে ভুলে ছিলাম ওরে কাজের মাঝে মায়ার ঘোরে, আজ বরষ পরে মাকে ডাকার মিলল অবসর।। মা ছিল না ব’লে সবাই গেছে পায়ে দ’লে, মার খেয়েছি যত তত ডেকেছি মা ব’লে। মা এসেছে ছুটে রে তাই ভয় নাইরে আর ভয় নাই, মা অভয়া এনেছে রে দশ হাতে তাঁর বর।।
দু’হাতে ফুল ছড়ায়ে
বাণী
দু’হাতে ফুল ছড়ায়ে মন রাঙায়ে ধরায় আসি। প্রথম যৌবনেরই ঘুম ভাঙাতে বাজাই বাঁশি।। আমি কই, দেখরে চেয়ে, নেইরে জরা আজিও চির নূতন — সেই পুরাতন বসুন্ধরা, মাধবী চাঁদের চোখে আঁকা আজো বাঁকা হাসি।। ফুটাই আশার কোলে শুকনো ডালে অবসাদ আসে যবে সাধ ফুরালে, আমি কই, এই ত’ সুরাপাত্র-পুরা রস-পিয়াসী।।
নাটক : ‘হরপার্বতী’ (কন্দর্পের গান)