সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে
বাণী
সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে হেসেছ বুকে মোর মধু-হাসিনী। পরেছ গলায় আমার দেওয়া ফুল সে কি গো সবি ভুল বিজন-বাসিনী।। যেচেছ কত না আদর সোহাগ ক্ষণে অভিমান ক্ষণে অনুরাগ, কত প্রিয় নামে ডেকেছ আমায় সে কি গো গেছ ভুলে মধুভাষিণী।। আমার সাধ-আশ-সাধনা-সুখ-হাসি তোমার সনে প্রিয় সকলি গেছে ভাসি, কেন ফেলে দিলে নিরাশার কূলে, কোন্ অপরাধে বল উদাসিনী।।
ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে
বাণী
ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে নাম জপ্ তুই আগে। সকল কাজে সকাল সাঁঝে গভীর অনুরাগে।। ওরে যে ঠাকুরে পরান যাচে সে নামের মাঝে লুকিয়ে আছে, যেমন বীজের মাঝে মহাতরু সঙ্গোপনে জাগে।। বীজ না বুনে আগে ভাগেই ফসল খুঁজিস্ তুই, তাই চিরকাল পোড়ো জমি রইল মনের ভুঁই। তোর কোন্ পথ নাম জপের শেষে দেখিয়ে দেবেন তিনিই এসে, তোর জীবন হবে প্রেমে রঙীন রঙ যদি রে লাগে। তাঁর মধুর নামের রঙ যদি রে লাগে।।
কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী
বাণী
কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী। তোর বাপ হয়েছে পাষাণ গিরি, মা হয়েছে পাগলিনী।। (মা) এ দেশে আর ফুল ফোটে না গঙ্গাতে আর ঢেউ ওঠে না তোর হাসি-মুখ দেখলে যে মা পোহায় না মোর নিশীথিনী।। আর যাবি না ছেড়ে মোদের বল্ মা আমায় কন্ঠ ধরি সুর যেন তার না থামে আর বাজালি তুই যে বাঁশরি।। (মা) না পেলে তুই শিবের দেখা রইতে যদি নারিস্ একা, আমি শিবকে বেঁধে রাখব মা গো হয়ে শিব-পূজারিণী।।
আয় মা উমা! রাখ্ব এবার
বাণী
(মা) আয় মা উমা! রাখ্ব এবার ছেলের সাজে সাজিয়ে তোরে। (ওমা) মা’র কাছে তুই রইবি নিতুই, যাবি না আর শ্বশুর ঘরে।। মা হওয়ার মা কী যে জ্বালা বুঝবি না তুই গিরি-বালা তোরে না দেখলে শূন্য এ বুক কী যে হাহাকার করে।। তোরে টানে মা শঙ্কর-শিব আসবে নেমে জীব-জগতে, আনন্দেরই হাট বসাব নিরানন্দ ভূ-ভারতে। না দেখে যে মা, তোর লীলা হ’য়ে আছি পাষাণ-শীলা আয় কৈলাসে তুই ফির্বি নেচে বৃন্দাবনের নূপুর প’রে।।