বাণী

এ কি অপরূপ রূপের কুমার হেরিলাম সখি যমুনা কূলে,
তার	এ সুনীল লাবনি গলিয়া গলিয়া ঢলিয়া পড়িছে গগন-মূলে ॥
যেন	কমল ফুটেছে সখি, সহস্র-দল রূপে-কমল ফুটেছে,
	রূপের সাগর মন্থন করি’ সখি চাঁদ যেন উঠছে। সখি গো —
	কালো সে রূপের মাঝে হয়ে যায় হারা
	কোটি আলো-রাধিকা-রবি, শশী, তারা,
	প্রেম-যমুনার তীরে সই আমি রিবধি দেখি তারে,
		দেখি আর চেয়ে রই।
	আমি এই রূপ চেয়ে থাকি
সখি	জনমে জনমে জীবনে মরণে এই রূপ চেয়ে থাকি।
ঐ	মোহন কালোর গহন কাননে হারাইয়া যাক আঁখি ॥

বাণী

ফুটলো সন্ধ্যামণির ফুল আমার মনের আঙিনায়
ফুল-ফোটাতে কে এলে ফুল ঝরানো সাঁঝ-বেলায়।।
	আজ কি মোর দিনের শেষে
	উঠলো চাঁদ মধুর হেসে'
কৃষ্ণা তিথির তৃষ্ণা মোর মিটলো ওই জোছনায়।।
আজ যে আঁখি অশ্রুহীন কি দিয়ে ধোয়াই চরণ'
সুন্দর বরের বেশে এলে কি আমার মরণ'!
	দেখ বসন্তের পাখি
	কোয়েলা গেছে ডাকি
আনন্দের দূত তুমি ডাকিয়া ফুল ফোটায়।।

বাণী

আঁধারের এলোকেশ ছড়িয়ে এলে
			তুমি ধূসর সন্ধ্যা।
তোমারে অর্ঘ্য দিতে বনে ফুটিল কি তাই
			রজনীগন্ধা?
গোধূলির রং সম তব মুখ, হায়!
তরুণ হাসি কেন চকিতে মিলায়?
সহসা মহুয়া বনে চঞ্চল বায়
			হ’ল নিথর সুমন্দা।।
বিষাদ-গভীর তব নয়ন যেন নিশীথের সিন্ধু;
মুদিত কমলের দলিত দলে তুমি শিশিরের বিন্দু।
তুমি সকরুণ প্রার্থনা বেলাশেষের,
পথ-হারা পাখি তুমি দূর বিদেশের,
স্নিগ্ধ-স্রোত তুমি দূর অমরার অলকানন্দা।।

বাণী

মাধব বংশীধারী বনওয়ারী গোঠ-চারী গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারী।
গোবিন্দ কৃষ্ণ মুরারি হে পাপ-তাপ-দুখ-হারী।।
কালরূপ কভু দৈত্য-নিধনে, চিকন কালা কভু বিহর বনে,
কভু বাজাও বেণু, খেল ধেনু-সনে,
কভু বামে রাধা প্যারী, গোপ-নারী মনোহারি, নিকুঞ্জ-লীলা-বিহারী।।
কুরুক্ষেত্র-রণে পান্ডব-মিতা, কন্ঠে অভয়বাণী ভগবদ্-গীতা,
পূর্ণ ভগবান পরম পিতা, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী,
পাপ-তারী, কান্ডারি ত্রিভুবন সৃজনকারী।।

বাণী

আমার	সকলি হরেছ হরি এবার আমায় হ’রে নিও।
যদি	সব হরিলে নিখিল-হরণ তবে ঐ চরণে শরণ দিও।।
আমায়	ছিল যারা আড়াল ক’রে 
	হরি তুমি নিলে তাদের হ’রে,
ছিল	প্রিয় যারা গেল তারা (হরি) এবার তুমিই হও হে প্রিয়।।

বাণী

আয় রণজয়ী পাহাড়ি দল
শক্তি-মাতাল বুনো পাগল
থৈ থৈ তা তা থৈ থৈ
নেচে আয় রে দৃপ্ত পায়।
গিরি দরি বন ভাসায় যেমন পার্বতীয়া ঝর্নাজল।
আন তীর ধনু বর্শা হান্ বাজা রে শিঙ্গা বাজা মাদল।।

নাটিকাঃ ‘সুরথ উদ্ধার’