বাণী

কমলা রূপিণী, শক্তি-স্বরূপিণী
পতিব্রতা সতী ধর্ম-বিধায়িনী — সীতা, জয় সীতা।
জনক দুলারী রাজকুমারী
লব-কুশ-জননী, রাম-কী পিয়ারী — সীতা, জয় সীতা।।
	আওধ-প্রজাকুল শান্তি-বিধায়িনী
	পতি-অনুগামিনী, বন-বনচারিণী,
অশোক-কানন উজ্জ্বলকারিণী — সীতা, জয় সীতা।।
	বসুমতী-অঙ্ক সমুজ্জ্বল-কারিণী
	সতীকে তেজ-বল-অগ্নিনিবারণী,
সুখ-দুখমে পতি-চরম ভিখারিনী — সীতা, জয় সীতা।।

বাণী

	সখি জাগো, রজনী পোহায়
	মলিন কামিনী-ফুল যামিনী-গলায়।।
	চলিছে বধূ সিনানে
(ওগো) বসন বশ না মানে
	শিথিল আঁচল টানে পথের কাঁটায়।।

বাণী

হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো।
তাই কি তোমার রূপ কৃষ্ণ কালো।।
তুমি ত্রিভঙ্গ তাই তব সকলি বাঁকা
চোখে তব কাজলের ছলনা মাখা।
নিষাদের হাতে বাঁশি সেজেছে ভালো।।

নাটকঃ ‘বিদ্যাপতি’

বাণী

বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন, হে দেবতা!
সেথা আর কেহ নাই আমরা দু’জন, কহিব কথা।।
	বাহির ভুবনে তব কত পূজারি
	সেথায় মনের কথা কহিতে নারি,
তাই হৃদয় দেউলে রেখে’ দিয়েছি আগল —
সেথা তোমার চরণ-তলে জানাব গোপন প্রাণের ব্যথা।।
	পূজা-মন্দির হ’তে এসে চুপে চুপে
	হে দেবতা! সাজায়েছি প্রিয় রূপে!
সবার সমুখে তাই মালা দিতে লাজ পাই —
প্রেমের বাসর ঘরে পরাব বরণ-মালা, হব প্রণতা।।

বাণী

কাহার তরে হায় নিশিদিন কাঁদে মন-প্রাণ।
জানে শুধু সেই, জানে মোর হৃদি ব্যথা-ম্লান।।
কমল-পাতে যেন জল, — প্রণয় তার সই
বুলবুলি চপল দ'লে যায় লতিকা বিতান।।
জানে শুধু সে নিতে মন, দিতে জানে না
ছলিয়া চলে সে-মুকুল, বারণ মানে না।
জীবন ল'য়ে সে খেলে মরণ-খেলা,
সকালে যারে চাহে তাহে বিকালে হেলা।
কুসুম-সমাধি রচে সে নিঠুর পাষাণ।।
চাহি শুধু এই, — যেন সে বাসিয়া ভালো
এমনি ব্যথা পায় সে ওগো ভগবান।।

বাণী

সকরুণ নয়নে চাহ আজি মোর বিদায়-বেলা
ভুলিতে দাও বিদায়-দিনে হেনেছ যে অবহেলা॥
হাসিয়া কহ কথা আজ হাসিতে যেমন আগেতে
হেরিবে মোর জীবন-সাঁঝে গোধূলি রঙের খেলা॥
হে বন্ধু, বন্ধুর পথে কে কাহার হয়েছে সাথি
তেমনি থাকিয়া যায় সব যাবার যে যায় সে একেলা॥