তব যাবার বেলা ব’লে যাও
বাণী
তব যাবার বেলা ব’লে যাও মনের কথা। কেন কহিতে এসে চলে যাও চাপিয়া ব্যথা।। কেন এনেছিলে ফুল আঁচলে দিতে কাহারে, কেন মলিন ধূলায় ছড়ালে সে ফুল অযথা।। পরি’ খয়েরী শাড়ি আসিলে সাঁঝের আঁধারে, ওকি ভুল সবই ভুল, নয়নের ও-বিহ্বলতা।। তুমি পুতুল ল’য়ে খেলেছ বালিকা-বেলা, বুঝি আমারে ল’য়ে তেমনি খেলিলে খেলা। তব নয়নের জল সে কি ছল, জানাইয়া যাও, এই ভুল ভেঙ্গে দাও২ সহে না এ নীরবতা।।
১. পিলু-সিন্ধু — কাহার্বা ২. যাও
জাগো কৃষ্ণকলি জাগো কৃষ্ণকলি
বাণী
জাগো কৃষ্ণকলি, জাগো কৃষ্ণকলি। মধুকরের মিনতি মানো, ডাকে জাগো বলি’, বিহগ-কাকলি।। তব দ্বারে বারে বারে মন-উদাসী ভোরের হাওয়া এসে বাজায় বাঁশি, ফিরে গেল ভ্রমরা মউ-পিয়াসি — অযথা বিতানে কানে কথা বলি।। হের হাতের তার ফুলঝুরি ফেলে’ ধূলায় উদাসী বসন্ত মাগে বিদায়, দীরঘ-শ্বাস ফেলি’ ঝরা পাতায়। চাহে রঙিন ঊষা তব রঙের আভাস তব লাল আভায় লজ্জা পায় হিঙুল পলাশ। এলো কোকিল তোমার রঙে খেল্তে হোলি।।
তুমি হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
বাণী
তুমি হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে মোর কণ্ঠ হ’তে সুরের গঙ্গা ঝরে।। তব কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে তব নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে।। যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই, মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই। অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন যেন রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম’রে।।