বাণী

পুরুষ	:	কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
স্ত্রী	:	বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥
পুরুষ	:	(বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা)
		অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো
স্ত্রী	:	(বলি ও কালিয়া পেরেত)
		তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই
		ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও।
পুরুষ	:	(মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা)
		চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা
		কুত্‌কুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো
স্ত্রী	:	(বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কেলো হুলো)
		তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও
		তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও।
পুরুষ	:	বলি ও জুজুবুড়ি
স্ত্রী	:	বলি ও ঝাঁকাভূঁড়ি
পুরুষ	:	ও বাবা জুজু
স্ত্রী	:	ও বাবা ঝাঁকা
পুরুষ	:	আহা, চাম্‌চিকে ওই ডানা কাটা
স্ত্রী	:	তুমি যেন পূজোর পাঁঠা
পুরুষ	:	আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও।
স্ত্রী	:	(আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা)
		পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্‌গির মুখে ফিনাল দাও॥

বাণী

আমি ভুলিতে পারি না সেই দূর অমরার স্মৃতি।
যার আকাশে বিরাজে চির পূর্ণিমার তিথি।।
	আজও যেন শুনি ইন্দ্র সভায়
	দেবকুমারীরা ডাকে ‘আয় আয়’,
কেঁদে যেন ডাকে অলকানন্দা নন্দন-বন-বীথি।।

নাটক : ‘সুভদ্রা’ (উর্বশীর গীত)

বাণী

মদির আঁখির সুধায় সাকি		ডুবাও আমার এ তনু মন
আজিকে তোমায় ও আমায়		বেদনার বাসর জাগরণ।
মঙ্গালস ও আঁখি তব,			সাকি, দিল দোলা প্রাণে।।
বাদল-ছাওয়া এ গুল-বাগিচায়	বুলবুল কাঁদে গজল গানে।।
গোলাবী গুলের নেশা			ছিল মোর ফুলেল ফাগুনে।
শুকায়ে গিয়াছে ফুলবন,		নাই গোলাব গুলিস্তানে।।
শুনি, সাকি তোমার কাছে		ব্যথা ভোলার দারু আছে —
হিয়া কোন অমিয়া যাচে		জান তুমি, খোদা জানে।।
দুখের পশরা লয়ে			বিফল কাঁদিয়া বৃথা (সাকি)।
সকলি গিয়াছে যখন			যাক ঈমান শ্যরাব পানে।।

বাণী

বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন, হে দেবতা!
সেথা আর কেহ নাই আমরা দু’জন, কহিব কথা।।
	বাহির ভুবনে তব কত পূজারি
	সেথায় মনের কথা কহিতে নারি,
তাই হৃদয় দেউলে রেখে’ দিয়েছি আগল —
সেথা তোমার চরণ-তলে জানাব গোপন প্রাণের ব্যথা।।
	পূজা-মন্দির হ’তে এসে চুপে চুপে
	হে দেবতা! সাজায়েছি প্রিয় রূপে!
সবার সমুখে তাই মালা দিতে লাজ পাই —
প্রেমের বাসর ঘরে পরাব বরণ-মালা, হব প্রণতা।।