বাণী

দেখলে তোমায় বাসতে ভালো হয় না কারো ভুল।
রূপ-দীপালি দোদুল দেহ প্রেম ঢুল্ ঢুল্।।
	সোহাগ কথার মায়ার ফাঁদে
	ব্যাকুল হিয়া সদাই কাঁদে,
রই চেয়ে ঐ বদন-চাঁদে চকোর আকুল।।
সুনীল চোখের মায়া দেখি সজল আকাশে,
কাজল-কালো অলক-লতা মেঘেতে ভাসে।
	গোলাপ বনে গেলে সখি
	তোমায় যবে পাশে দেখি,
আমার ভুল হয়ে যায় কোন্‌টি তুমি, কোন্‌টি গোলাপ ফুল।।

বাণী

গুরুমন্ত্র তোমার উঠল জ্ব’লে হোমের শিখার মত।
এক নিমেষে ভষ্ম হ’ল পাপ-তাপ মোর যত।।
	চির-আঁধার ছিল আমার হিয়া
	তুমি এলে মন্দ্র-প্রদীপ নিয়া,
হল চকিতে সেই দীপালোকে মনের আঁধার গত।।
উজ্জ্বল মোর ঘন-দেউলে কোন্ সে আদি ঋষি,
গভীর উদার মন্ত্র তোমার জপে দিবা-নিশি।
	রিপু দানব যথা ক’রত বাস
	সেই মন হ’ল আজ আনন্দ-কৈলাস,
সে-কৈলাসে তুমি শিব, আমি দীন প্রণত।।

বাণী

ওগো পিয়া তব অকরুণ ভালোবাসা।
অন্তরে দিল বিপুল বিরহ, কবিতায় দিল ভাষা।।
	মোর গানে দিল সুর
	করুণ ব্যথা বিধুর,
বাণীতে দিল সুদূর স্বর্গের পিপাসা।।
তুমি ভালো করিয়াছ ভালোবাস নাই মোরে,
রাখ নাই ধ’রে আমারে তোমার ক’রে।
	মম বিরহের বেদনাতে
	তাই ত্রিভুবন কাঁদে সাথে,
ভুলেছি সবারে চেয়ে তোমারে পাবার আশা।।

বাণী

করুণ কেন অরুণ আঁখি দাও গো সাকি দাও শারাব
হায় সাকি এ আঙ্গুরী খুন নয় ও হিয়ার খুন–খারাব।।
আর সহে না দিল্‌ নিয়ে এই দিল–দরদির দিল্‌লাগী,
তাইতে চালাই নীল পিয়ালায় লাল শিরাজি বে–হিসাব।।
হারাম কি এই রঙিন পানি আর হালাল এই জল চোখের?
নরক আমার হউক মঞ্জুর বিদায় বন্ধু!লও আদাব।।
দেখ্‌ রে কবি, প্রিয়ার ছবি এই শারাবের আর্শিতে,
লাল গেলাসের কাঁচ্‌–মহলার পার হ’তে তার শোন্‌ জবাব্‌।।

বাণী

কার বাঁশরি বাজিল মেঠো সুরে মন উদাস করা দুপুরে (গো)।
সখি কে কাহারে চায়
আজো সুরে সুরে ঝুরে ঝুরে কাহারে ধেয়ায়
মোর মন যেতে চায় বাঁশুরিয়ার সুরের দেশে উড়ে (গো)।।
হেরি যেতে নদী পথে
সে ভাঁট ফুলেরি মালা গেঁথে ভাসায় ভাটির স্রোতে (গো)
আমার সাধ জাগে ঐ মালা যাহার দেখি সেই বঁধু রে (গো)।।

বাণী

তুম আনন্দ ঘনশ্যাম ম্যয় হুঁ প্রেম-দিওয়ানী রাধা।
বাঁশরি শুনকে তোরি আয়ি মধুবনমে না মানু কলঙ্ককি বাধা।।
যুগ যুগান্ত অনন্তকাল সে হৃদয়-বৃন্দাবনে মে,
তুমহারে হামরে এহি লীলা নাথ চলত রহি মনমে।
	মেরে সঙ্গ রোয়ে প্রেম বিগলিতা
	ভক্তি বিশাখা প্রীতি ললিতা,
তুমকো যো চাহে মেরি তরহেসে রোয়ত জীব সমাধা।।