প্রিয় মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত
বাণী
প্রিয় মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত (প্রিয়) তারিতে উম্মত এলে ধরায় মোহাম্মদ মোস্তফা, আমহদ মুরতজা নাম জপিতে নয়নে আঁসু ঝরায়।। দিলে মুখে তক্বির, দিলে বুকে তৌহিদ দিলে দুঃখেরই সান্ত্বনা খুশির ঈদ দিলে প্রাণে ঈমান, দিলে হাতে কোরআন শিরে শিরতাজ নাম মুসলিম আমায়।। তব সব নসিহত মোরা গিয়াছি ভুলে শুধু নাম তব আছে জেগে প্রাণের কূলে ও-নামে এ প্রাণ-সিন্ধু তব দুলে আমি ঐ নামে ত’রে যাব, আছি আশায়।।
ত্রিজগত আলো করে আছে
বাণী
ত্রিজগত আলো করে আছে কালো মেয়ের পায়ের শোভা। মহাভাবে বিভোর শঙ্কর, ঐ পা জড়িয়ে মনোলোভা।। দলে দলে গগন বেয়ে গ্রহ তারা এলো ধেয়ে, ঐ চরণ শোভা দেখবে বলে, ঐ পায়ের নূপুর হওয়ার ছলে সেই শোভা কেমন বলতে গিয়ে ব্রহ্ম হলো চিরমৌনী বোবা।। ঐ চরণ শোভা দেখার তরে, যোগী থাকেন ধেয়ান ধ'রে ত্রিভুবন ভুলে অনন্তকাল যোগী থাকেন ধেয়ান ধ'রে। ও শুধু চরণ শোভা নয়, ঐ যে পরব্রহ্ম জ্যোতি শ্রী চণ্ডী বেদ পুরাণে ওরই প্রেম-আরতি মা দেখ্ত যদি নিজের চরণ নিজেই দিত বিল্বজবা আপনার ঐ রাঙা পায়ে নিজেই দিত বিল্বজবা।।
নাচন লাগে ঐ তরুলতায় পাতায় ফুলে
বাণী
নাচন লাগে ঐ তরুলতায় পাতায় ফুলে। ফুল-সৌখিন দখিন হাওয়া নাচে দু’লে দু’লে।। নাচে অথির-মতি রঙিন-পাখা প্রজাপতি, বন দুলায়ে মন ভুলায়ে, ঝিল্লি-নূপুর বাজায়ে নাচে বনে নিশীথিনী এলোচুলে।। মৃণাল-তনু কমল নাচে এলোখোঁপায় নীল জলে, ঝুমুর ঝুমুর ঘুমুর বাজে নির্ঝর পাষাণ-তলে। বাদ্ল হাওয়ায় তাল্বনা ঐ বাজায় চটুল্ দাদ্রা তাল, নদীর ঢেউ-এ মৃদঙ বাজে, পান্সি নাচে টাল্মাটাল্। নেচে চেনে গ্রহতারা দিশাহারা নটরাজের নাট-দেউলে।।
দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি
বাণী
[ওমা — ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম মা — ওমা — মা-মা-মা] দয়া ক’রে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি এ ভুঁড়ি তো নয় ভূধর যেন উদর প্রদেশ জুড়ি॥ ক্রমেই ভুঁড়ির পরিধি মা যাচ্ছে ছেড়ে দেহের সীমা আমার হাত পা রইল বাঙালি ওমা পেট হল ভোজপুরী॥ উপুড় হতে নারি মাগো সর্বদা চিৎপাৎ ভয় লাগে কাৎ হলেই বুঝি হব কুপোকাৎ শালীরা কয় হায় রে বিধি রোলার বিয়ে করলেন দিদি গুঁড়ি ভেবে ঠেস দেয় কেউ কেউ দেয় সুড়সুড়ি॥ (আর) ভুঁড়ি চলে আগে আগে আমি চলি পিছে কুমড়ো গড়ান গড়িয়ে পড়ি নামতে সিঁড়ির নীচে। পেট কি ক্রমে ফুলে ফেঁপে উঠবে মাগো মাথা ছেপে (ওগো) কেউ নাদা কয় কেউ গম্বুজ (বলে) কেউবা গোবর ঝুড়ি। গাড়িতে মা যেই উঠেছি ভুঁড়ি লাগায় লম্ফ ভুমিকম্পের চেয়েও ভীষণ আমার ভুঁড়ি কম্প। সার্ট ক্রমে পেটে এঁটে গেঞ্জি হয়ে গেল সেঁটে দে ভুঁড়ির ময়দা ফেটে হাত পা গুলো ছুড়ি হালকা হয়ে মনের সুখে হাত পা গুলো ছুড়ি এই ভুঁড়ির ময়দা ফেটে দে ফায়দা কি আর এই ভুঁড়িতে ময়দা ফেটে দে হালকা হয়ে মনের সুখে ওমা, হাত-পাগুলো ছুড়ি॥