বাণী

আমি	কালী নামের ফুলের ডালি এনেছি গো মাথায় ক’রে।
	দুখের সাগর পার হয়ে যায় এ ফুল যে বুকে ধ’রে।।
	(এই)	প্রসাদী ফুল দিবস-যামী
		ফিরি ক’রে ফিরি আমি,
(এই)	ফুল নিলে তার ভুলের আড়াল চিরতরে যায় গো স’রে।।

বাণী

নয়নে নিদ নাহি।
নিশীথ-প্রহর জাগি, একাকিনী গান গাহি।।
কোথা তুমি কোন দূরে, ফিরিয়া কি আসিবে না,
তোমার সাজানো বনে ফুটিয়া ঝরিল হেনা —
কত মালা গাঁথি, কত আর পথ চাহি।।
কত আশা অনুরাগে হৃদয় দেউলে রেখে
পূজিনু তোমারে পাষাণ, কাঁদিলাম ডেকে ডেকে।
এস অভিনামি ফিরে, নিরাশায় এ তিমিরে
			চাঁদের তরণী বাহি’।।

বাণী

ওরে ও দরিয়ার মাঝি! মোরে নিয়ে যা রে মদিনা।
তুমি মুর্শিদ হ'য়ে পথ দেখাও ভাই আমি যে পথ চিনি না।।  
	আমার প্রিয় হজরত সেথায়
	আছেন নাকি ঘুমিয়ে ভাই,
আমি প্রাণে যে আর বাঁচি না রে আমার হজরতের দরশ বিনা।। 
নদী নাকি নাই ও দেশে, নাও না চলে যদি —
আমি চোখের সাঁতার পানি দিয়ে বইয়ে দেব নদী। 
	ঐ মদিনার ধূলি মেখে
	কাঁদবো 'ইয়া মোহাম্মদ' ডেকে ডেকে রে —
কেঁদেছিল কারবালাতে, (ওরে) যেমন বিবি সাকিনা।।

বাণী

তুমি		হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
মোর		কণ্ঠ হ’তে সুরের গঙ্গা ঝরে।।
তব		কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে
		বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে
তব		নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে।।
		যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই,
		মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই।
		অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ
		আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন
যেন		রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম’রে।।

বাণী

	মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
	যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্‌তে পাই।।
	আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
	পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
	গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্‌গার পাইবে রেহাই।।
কত	পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত,
	ঐ মস্‌জিদে করে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ।
	সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
কত	দরবেশ ফকির রে ভাই মস্‌জিদের আঙিনাতে
	আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে।
আমি	তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্‌তে চাই
	আল্লার নাম জপ্‌তে চাই।।

বাণী

দোলে নিতি নব রূপের টেউ-পাথার ঘনশ্যাম তোমারি নয়নে।
আমি হেরি যে নিখিল বিশ্বরূপ-সম্ভার তোমারি নয়নে॥
		তুমি পলকে ধর নাথ সংহার-বেশ
		হও পলকে করুণা-নিধান পরমেশ।
নাথ ভরা যেন বিষ অমৃতের ভান্ডার তোমার দুই নয়নে॥
		ওগো মহা-শিশু, তব খেলা-ঘরে
		একি বিরাট সৃষ্টি বিহার করে,
সংসার চক্ষে তুমিই হে নাথ, সংসার তোমারি নয়নে॥
		তুমি নিমেষে রচি নব বিশ্বছবি
		ফেল নিমেষে মুছিয়া হে মহাকবি,
করে কোটি কোটি ব্রহ্মান্ড ভুবন-সঞ্চার তোমারি নয়নে॥
		তুমি ব্যাপক ব্রহ্ম চরাচরে
		জড় জীবজন্তু নারী-নরে,
কর কমল-লোচন, তোমার রূপ বিস্তার হে আমারি নয়নে॥