কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্
বাণী
কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্, সে যে রে তোরই মাঝে রয়, চেয়ে দেখ সে তোরই মাঝে রয়। সাজিয়া যোগী ও দরবেশ খুঁজিস্ যায় পাহাড় জঙ্গলময়।। আঁখি খোল্ ইচ্ছা-অন্ধের দল নিজেরে দেখ্ রে আয়নাতে, দেখিবি তোরই এই দেহে নিরাকার তাঁহার পরিচয়।। ভাবিস্ তুই ক্ষুদ্র কলেবর, ইহাতেই অসীম নীলাম্বর, এ দেহের আধারে গোপন রহে সে বিশ্ব-চরাচর। প্রাণে তোর প্রাণের ঠাকুর বেহেশ্তে স্বর্গে কোথাও নয়।। এই তোর মন্দির-মসজিদ এই তোর কাশী-বৃন্দাবন, আপনার পানে ফিরে চল কোথা তুই তীর্থে যাবি, মন! এই তোর মক্কা-মদিনা, জগন্নাথ-ক্ষেত্র এই হৃদয়।।
সখি লো তায় আন ডেকে
বাণী
সখি লো তায় আন ডেকে যে গান গেয়ে যায় পথ দিয়ে। সই দিব তারে কণ্ঠহার, তার কণ্ঠেরি ঐ সুর নিয়ে॥ কারুর পানে নাহি চায় সে আপন মনে গেয়ে যায় প্রাণ কাঁপে সুরের নেশায় নয়ন আসে ঝিমিয়ে॥ সখি লো শুধিয়ে আয় সে শিখিল এ গান কোথায় এত মধু তার গলায় কার অধর-সুধা পিয়ে॥ যার গানে এত প্রাণ মাতায় না জানি কি হয় দেখ্লে তায় তার সুর শুনে কেউ প্রাণ পায় কেউ ফেলে প্রাণ হারিয়ে॥
ঘরে কে গো বলি ঘরে কে
বাণী
[সংলাপঃ পুরুষ: ঘরে কে গো? (দরজায় টোকার শব্দ) বলি ঘরে কে? (আবার টোকার শব্দ) শালাজ নাকি — ও হো-হো-হো-হো ...] পুরুষ : ঘরে কে গো? বলি ঘরে কে, শালাজ নাকি? এ যে মোর গোয়ালের গাই। স্ত্রী : ও ছোট ঠাকুর ঝি, ওলো আয় আয়, দেখে যা এসেছে নন্দাই। এ যে মোর ননদের ভাই। পুরুষ : দেখ, রাত্রি জেগে গুনব কত চালের কড়ি কাঠ স্ত্রী : তাইতো, আগে হয়নি সারা আমার ঘর কন্নার পাট। পুরুষ : তোমার কাজের মাথায় মারো লাঠি স্ত্রী : আমি নিয়ে শীতল পাটি মাস-শাশুড়ির পা টিপিতে যাই। পুরুষ : ওগো শুনছো! শোনো শোনো শোনো না — সত্যি সত্যি চললে, নতুনতর ঝুমকোর এক নমুনা এনেছি (আমি)। স্ত্রী : অ্যা, তাই নাকি! পুরুষ : হ্যা — গো — হ্যা। স্ত্রী : কাল চাল ডাল বাছবো, চল এই আমি আসিতেছি ওগো এই আমি আসিতেছি পুরুষ : না না, ও তোমায় পা টিপিতে বলেছিলেন কি ভাবিবেন মাসি স্ত্রী : আমার গা করছে বমি বমি তাকে বলে আসি। পুরুষ : এমন শ্যাকরার মত বিন্দে দূতি কলিকালের বৃন্দাবনে নাই॥ বেঁচে থাক বাবা শ্যাকরার পো হুল্লোড় ঘটালে তবে ছাড়লে॥