আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়
বাণী
আঁখি ঘুম-ঘুম-ঘুম নিশীথ নিঝুম ঘুমে ঝিমায়। বাহুর ফাঁদে স্বপন-চাঁদে বাঁধিতে কারে চায়।। আমি কারো লাগি একা নিশি জাগি বিরহ-ব্যথায় কোথায় কাহার বুকে বঁধু ঘুমায় কাঁদি চাতকিনী মরে তৃষায় কুসুম-গন্ধ আজি যেন বিষ-মাখা হায়।। কেন এ ব্যথা এ আকুলতা পরের লাগি এ পরান পুড়ে? মরুভূমিতে বারি কি ঝুরে আমি যেন ম’রে তোরি রূপ ধ’রে আসি সে যাহারে চায়।।
এসো বঁধু ফিরে এসো
বাণী
এসো বঁধু ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান। দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।। জানি আমি অপরাধী তাই দিবানিশি কাঁদি’, নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।। ফিরে গেলে দ্বারে আসি’ বাসি কিনা ভালোবাসি, কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।। সে-দিন বালিকা-বধূ শরমে মরম-মধু, পি’য়াতে পারিনি বঁধু — আজ এসে কর পান।। ফিরিয়া আসিয়া হেথা দিও দুখ দিও ব্যথা, সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষাণ।।
তোরা সব জয়ধ্বনি কর
বাণী
তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর! ঐনূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! আস্ল এবার অনাগত প্রলয়–নেশায় নৃত্য–পাগল, সিন্ধু–পারের সিংহ–দ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল! মৃত্যু–গহন অন্ধকুপে, মহাকালের চন্ড–রূপে ধূম্র–ধূপে বজ্র–শিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর! ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! দ্বাদশ রবির বহ্নি–জ্বালা ভয়াল তাহার নয়ন–কটায়, দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার ত্রস্ত জটায়! বিন্দু তাহার নয়ন –জলে সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে কপোল–তলে! বিশ্ব –মায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর ‘পর – হাঁকে ঐ “জয় প্রলয়ংকর!” তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! মাভৈঃ, ওরে মাভৈঃ, মাভৈঃ, মাভৈঃ জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে জরায়–মরা মুমূর্ষুদের প্রাণ–লুকানো ঐ বিনাশে। এবার মহা–নিশার শেষে আসবে ঊষা অরুণ হেসে করুণ্ বেশে! দিগম্বরের জটায় লুটায় শিশু–চাঁদের কর! আলো তার ভরবে এবার ঘর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে
বাণী
তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না! যে ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥ মোর জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে, তব স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥ তুমি অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে — সেই বক্ষে এসো দিন ফুরালে তুমি আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥