বাঁকা চোখে চাহে ও কে
বাণী
বাঁকা চোখে চাহে ও কে ওকি ভয়ে, না লাজে, না ভালোবাসায়? বটের ঝুরি ধ’রে হেসে তাকায় দীঘির জলে কভু কল্সি ভাসায়॥ (আমার) পাখি শিকার দেখে তাহার আঁখি ছলছল যেন দুটি ঝিনুক ভরা কাজলা দীঘির জল তার আঁজলা ভরা শাপলা কাঁপে টলমল্ গো সে বাঁকিয়ে জোড়া ভুরু মোরে শাসায়॥ কভু এলায়ে গা বাঁধে খোঁপা কোমরে জড়ায় আঁচল মট্কায় আঙুল, কভু ঘসে সে পা গো কভু জলে ডোবে কভু সাঁতার কাটে নানান ছলে সে দেরি করে জলের ঘাটে মোরে জানায় যেন ও সে আছে ব’সে কাহার আসার আশায়॥
আমি পথ-ভোলা ভিনদেশি গানের পাখি
বাণী
আমি পথ-ভোলা ভিনদেশি গানের পাখি তোমাদের সুরের সভায় এই অজানায় লহ গো ডাকি'।। তোমরা বেঁধেছে বাসা যে তরু-শাখায় আমারে বসিতে দিও তাহারি ছায়ায় গাহিবার আছে আশা, জানি না গানের ভাষা তবু ভালোবাসা দিয়ে বাঁধ গো রাখি।। মায়াময় তোমাদের তরুলতা, ফুল তোমাদের গান শুনে' পথ হ'ল ভুল। যেন শতবার এসে' জন্মেছি এই দেশে- বন্ধু হে বন্ধু, অতিথিরে চিনিবে না-কি।।
ও কে বিকাল বেলা ব’সে
বাণী
ও কে বিকাল বেলা ব’সে নিরালা বাঁধিছে কেশ। হেরি’ আর্শিতে নিজেরই চারু-মুখ (চোখে) জাগে আবেশ।। বসনের শাসন নাই অঙ্গে তাহার উথ্লে পড়ে মুক্ত-দেহে যৌবন-জোয়ার, খুলে’ খুলে’ পড়ে কেশের কাঁটা বেণীর লেশ।। আঙুলগুলি নাচের ভঙ্গিতে, খেলে বেড়ায় বেণীর বিনুনিতে। কভু বাঁকায় ভুরু কভু বাঁকায় গ্রীবা ঠিক্রে পড়ে আয়নায় রূপের বিভা, জাগে সহসা গালে তা’র সিঁদুর-ডিবার রঙের রেশ।।
ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে
বাণী
ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে কিশোরী কিশোর। দেখে দোউ এক এককে মুখকো চন্দ্রমা চকোর, য্যায়সে চন্দ্রমা চকোর হোকে প্রেম নেশা বিভোর।। মেঘ মৃদং বাজে ওহি ঝুলনাকে ছন্দ্ মে রিম্ঝিম্ বাদর বরসে আনন্দ্ মে, দেখনে যুগল শ্রীমুখ চন্দকো গগন ঘেরি ঘনঘটা ঘোর।। নব নীর বরসনে কো চাতকিনী চায় ওয়সে গোপী ঘনশ্যাম দেখ তৃষ্ণা মিটায়, সব দেবদেবী বন্দনা গীত গায় — ঝরে বরসামে ত্রিভুবনকি প্রেমাশ্রুলোর।।