বাণী

তরুণ প্রেমিক প্রণয় বেদন জানাও জানাও বেদিল প্রিয়ায়।
ওগো বিজয়ী নিখিল হৃদয় কর কর জয় মোহন মায়ায়।।
নহে ঐ এক হিয়ার সমান হাজার কাবা হাজার মস্‌জিদ;
কি হবে তোর কাবার খোঁজে, আশয় খোঁজ তোর হৃদয় ছায়ায়।।
প্রেমের আলোয় যে দিল্‌ রোশন, যেথায় থাকুক সমান তাহার —
খোদার মস্‌জিদ মুরত–মন্দির ঈসাই–দেউল ইহুদ–খানায়।।
অমর তার নাম প্রেমের খাতায় জ্যোতির্লেখায় রবে লেখা,
দোজখের ভয় করে না সে, থাকে না সে বেহেশ্‌ত্‌ আশায়।।

বাণী

আজ উদার আকাশে ছুটির শঙ্খ-ঘণ্টা বাজায় কে।
প্রবাসীর মন উচাটন, শোনে — ‘দীপ জ্বাল্, উলু দে’।।
	আর মন লাগে নাকো কাজে,
	শ্রবণের কাছে চুড়ি-কঙ্কণ বাজে।
এলোমেলো বায়ে এলো, কবরীর সৌরভ এলো যে।।
কোথা আনন্দ-নন্দিনী কার চন্দন বুঝি ঘষে;
মন মেতে ওঠে মৌমাছি-সম, নন্দন-মধু রসে।
	তৃতীয়া চাঁদের রসকলি পরি’
	বৈষ্ণবী সেজে এলো বিভাবরী;
বাউল-হৃদয়! চল্ রে বাহিরে, হাতে একতারা নে।।

বাণী

কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি
কি যাচে ও আঁখি বুঝিতে যে নারি॥
হৃদি প্রাণ মন বিভব রতন
ডারিনু চরণে লহ পথচারী॥
দুয়ারে মোর নিতি গেয়ে যায় যে গীতি
নিশিদিন বুকে বেঁধে তারি স্মুতি।
কি দিয়ে এ ব্যথা নিবারিতে পারি॥
মিলন বিরহ যা চাও প্রিয় লহ
দাও ভিখারিনী বেশ দাও ব্যথা অসহ
মোর নয়নে দাও তব নয়ন বারি॥

নাটকঃ ‘আলেয়া’

বাণী

মজনু		:	আবার কেন বাতায়নে দীপ জ্বালিলে, হায়!
			আমার যে প্রাণ-পতঙ্গ ওই প্রদীপ পানেই ধায়॥
লায়লী	:	আমার প্রেম যে অনল শিখা জ্বলে তিমির রাতে
			পতঙ্গরে পোড়াই আমি নিজেও পুড়ি সাথে।
মজনু		:	একি ব্যথা একি নেশা 
			এই কি গো প্রেম গরল-মেশা!
লায়লী	:	তত আলো দান করে সে যত সে জ্বালায়॥

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘লায়লী মজনু’

বাণী

ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান হে আমার ধ্যানের দেবতা।
পূজা লহ, অর্ঘ্য লহ ক’য়ো না ক’য়ো না কথা।।
পাষাণ মূরতি তুমি পাষাণ হইয়া থাকো,
মন্দির-বেদী হতে ধরার ধূলায় নেমো নাকো।
তুমিও মাটির মানুষ বুঝায়ে দিও না ব্যথা।।
সহিবে সকলি স্বামী হেনো হেলা ব্যথা দিও,
সহিবে না অপমান ভালোবাসার আমার হে প্রিয়,
থাক তুমি হিয়ার মাঝে তোমার মন্দির যথা।।

বাণী

কেন আজ নতুন ক’রে পরান তোমারে পাইতে চায়।
এত কাছে আছো তবু কেন বুকে অসহ বিরহ হায়।।
রূপ-সরসীতে ফুটালে পদ্মিনী বঁধু
দিলে সুরভি রসঘন মধু,
তবু শীর্ণা তনু কেন চায় গোধুলি রাঙা-শাড়ি -
		আল্‌তা পরিতে কেন সাধ যায়।।
বনশ্রী কাঁদে প্রেম কণ্ঠ জড়ায়ে ওলো নিরাভরণা
অথই জলে কাঁদে প্রেম ঘন কমল খোঁপায় কেন পর না,
কেন তব সুরের কপোতী মুক্তামালা চুড়ি কাঁকন পরায়।।