ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে
বাণী
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে। (ওসে) কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে।। দিন রাত্তির অঙ্ক কষে পান্ হতে চুন কখন্ খসে, স্ত্রী ব’লে আন্নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে।। প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্তি বেণীর গুল্তি ঢিলে’ মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে। যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্ল গিলে।।
ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে
বাণী
ওরে যোগ-সাধনা পরে হবে নাম জপ্ তুই আগে। সকল কাজে সকাল সাঁঝে গভীর অনুরাগে।। ওরে যে ঠাকুরে পরান যাচে সে নামের মাঝে লুকিয়ে আছে, যেমন বীজের মাঝে মহাতরু সঙ্গোপনে জাগে।। বীজ না বুনে আগে ভাগেই ফসল খুঁজিস্ তুই, তাই চিরকাল পোড়ো জমি রইল মনের ভুঁই। তোর কোন্ পথ নাম জপের শেষে দেখিয়ে দেবেন তিনিই এসে, তোর জীবন হবে প্রেমে রঙীন রঙ যদি রে লাগে। তাঁর মধুর নামের রঙ যদি রে লাগে।।
নতুন চাঁদের তক্বীর শোন্
বাণী
নতুন চাঁদের তক্বীর শোন্ কয় ডেকে ঐ মুয়াজ্জিন — আসমানে ফের ঈদুজ্জোহার চাঁদ উঠেছে মুসলেমিন।। এলো স্মরণ করিয়ে দিতে ঈদুজ্জোহার এই সে চাঁদ, তোরা ভোগের পাত্র ফেল্ রে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ। কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।। প্রাণের যা তোর প্রিয়তম আজকে সে সব আন্, খোদারই রাহে আজ তাহাদের কর রে কোরবান্। কি হবে ঐ বনের পশু খোদারে দিয়ে, তোর কাম-ক্রোধাদি মনের পশু জবেহ্ কর্ নিয়ে। কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।। বিলিয়ে দেওয়ার খুশির শিরনি তশ্তরিতে আন, পর্ রে তোরা সবাই ত্যাগের রঙিন পিরহান্। মোদের যা কিছু প্রিয় বিলাব সবে নবীর উম্মত তবে সকলে কবে। কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।।
ব্রজবাসী মোরা এসেছি মথুরা
বাণী
ব্রজবাসী মোরা এসেছি মথুরা, দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী। মথুরার রাজা হ’য়েছে মোদের কানাই গোঠ বিহারী।। [মথুরার রাজা হয়েছে হায় তোমাদের রাজা হয়েছে ভাই — কানাই গোঠ বিহারী, দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।]* রাজ-দণ্ড কেমন মানায় শোভিত যে হাতে বাঁশি [শোভিত যে হাতে বাঁশি]* মুকুট মাথায় কেমন দেখায় শিরে শিখী-পাখা ধারী।। [সে শিরে শিখী-পাখা ধারী দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।]* শ্যামলী ধেনুর দুগ্ধের ক্ষীর এনেছি কানুর লাগিয়া পাঠায়েছে তারে মথিয়া নবনী, যশোদা-নিশীথ জাগিয়া, বনমালী লাগি নব-নীপ-মালা আনিয়াছি হের [মোরা] গাঁথিয়া, কুড়ায়ে এনেছি ফেলে এসেছিল যে বাঁশরি বনচারী।। ব্রজের দুলাল রাখাল ব’সেছে রাজার আসন ’পরে, সারা গোকুলের এনেছি আশিস তাই রে তাহার তরে। পাঠায়েছে গোপী-চন্দন তাই রাই অনুরাগ ভরে (পাঠায়েছে রাই অনুরাগ ভরা গোপী চন্দন, পাঠায়েছে রাই [তাই] হরির লাগিয়া হরি চন্দন।) নয়ন-যমুনা ছানিয়া এনেছি আকুল অশ্রুবারি।। [দ্বার ছেড়ে দাও দ্বারী।।]*
* রেকর্ডে গীত
বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে
বাণী
বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে। সেই চৈতালি গোধূলি-লগনে এসো তুমি ধীরে ধীরে — গিরি-ঝর্নার তীরে।। বনের কিশোর এসো সেথা হেসে হেসে সাজায়ো আমায় বন-লক্ষ্মীর বেশে, ধোওয়াব তোমার চরণ-কমল বিরহ-অশ্রু নীরে।। ঘনায়ে গহন সন্ধ্যার মায়া আসিও সোনার রথে, অতি সুকোমল শিঁরিশ, কুসুম বিছায়ে রাখিব পথে। মালতী-কুঞ্জে ডাকিবে পাপিয়া পাখি তুমি এসে বেঁধো আলোক-লতার রাখি, ভ্রমরের সম পিপাসিত মোর আঁখি কাঁদিবে তোমারে ঘিরে।।