সাবিত্রী সমান হও লহ লহ এই আশিষ
বাণী
সাবিত্রী সমান হও, লহ লহ এই আশিষ। শ্বশুর শাশুড়ির মা বাপের, কুলের তারা হয়ে হাসিস।। রামের মত স্বামী পাস, সতী হ’স সীতার সম দশরথ কৌশল্যার মত শ্বশুর শাশুড়ি অনুপম। লক্ষ্মণ সম দেবর পেয়ে সুখের সায়রে ভাসিস।। গোয়ালে গরু, মরায়ে ধান সিঁথেয় সিঁদুর, মুখে পান আল্তা পায়ে চির-এয়োতি যায় সুখে দিন এক সমান অন্নপূর্ণা জগৎ জীবের মা হয়ে ফিরে আসিস।। সভা-উজ্জ্বল জামাই পাস ভুবন-উজ্জ্বল দুঃখ পাস ধরার মত সহ্য পাস জন্মায়স্তে কাল কাটাস। পাকা চুলে পরিস্ সিঁদুর হয়ে থাকিস্ স্বামীর গো। বেঁচে থাকিস্ যতকাল অক্ষয় থাক তোর হাতের নো। পুত্র দিয়ে স্বামীর কোলে গঙ্গাজলে দেহ রাখিস।।
নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’
আল্লাকে যে পাইতে চায়
বাণী
আল্লাকে যে পাইতে চায় হজরতকে ভালবেসে। আরশ্ কুরসি লওহ কালাম, না চাহিতেই পেয়েছে সে।। রসুল নামের রশি ধ’রে যেতে হবে খোদার ঘরে, নদী-তরঙ্গে যে পড়েছে ভাই, দরিয়াতে সে আপনি মেশে।। তর্ক ক’রে দুঃখ ছাড়া কি পেয়েছিস্ অবিশ্বাসী, কি পাওয়া যায় দেখ্ না বারেক হজরতে মোর ভালবাসি’। এই দুনিয়ায় দিবা-রাতি ঈদ্ হবে তোর নিত্য সাথী, তুই যা চাস্ তাই পাবি রে ভাই আহমদ চান যদি হেসে।।
এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায়
বাণী
এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায় চির জনমের স্বামী- তোমার কারণে এ তিন ভুবনে শান্তি না পাই আমি।। অন্তরে যদি লুকাইতে চাই এ আগুন আমি কেমনে লুকাই, ওগো অন্তর্যামী।। মুখ থাকিতেও বলিতে পারে না বোবা স্বপনের কথা; বলিতেও নারি লুকাতেও নারি; তেমনি আমার ব্যথা। যে দেখেছে প্রিয় বারেক তোমায় বর্ণিতে রূপ- ভাষা নাহি পায় পাগলিনী-প্রায় কাঁদিয়া বেড়ায় অসহায়, দিবাযামী।।
ওমা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো
বাণী
(মা) ওমা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো আমি কেন অন্ধ মাগো দেখি শুধু কালো॥ মা সর্বলোকে শক্তি ফিরিস নাচি ওমা আমি কেন পঙ্গু হয়ে আছি ওমা ছেলে কেন মন্দ হল জননী যার ভালো॥ তুই নিত্য মহা প্রসাদ বিলাস কৃপার দুয়ার খুলি চির শুন্য রইল কেন আমার ভিক্ষা ঝুলি। বিন্দু বারি পেলাম না মা সিন্ধুজলে রয়ে মা ও তোর চোখের কাছে পড়ে আছি চোখের বালি হয়ে মোর জীবন্মৃত এই দেহে মা চিতার আগুন জ্বালো॥
ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ
বাণী
ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এলো আবার দুস্রা ঈদ কোর্বানি দে কোর্বানি দে শোন্ খোদার ফর্মান তাকিদ।। এমনি দিনে কোর্বানি দেন পুত্রে হজরত ইব্রাহীম, তেমনি তোরা খোদার রাহে আয় রে হবি কে শহীদ্।। মনের মাঝে পশু যে তোর আজকে তা’রে কর্ জবেহ, পুল্সেরাতের পুল হ’তে পার নিয়ে রাখ্ আগাম রসিদ্।। গলায় গলায় মিল্ রে সবে ভুলে যা ঘরোয়া বিবাদ, মিলনের ঈদগাহ্ গড়ে তোল্ প্রাণ দিয়ে তার তোল্ বুনিয়াদ।। মিলনের আর্ফাত ময়দান হোক আজি গ্রামে গ্রামে, হজের অধিক পাবি সওয়াব এক হ’লে সব মুসলিমে। বাজবে আবার নূতন ক’রে দ্বীনি ডঙ্কা, হয় উমীদ্।। ইসমাইলের মতন যদি কোর্বানি পারিস হতে দেখব আবার তোদের মাঝে দিশারি মুসা, খালিদ।।