বাণী

রব না কৈলাশপুরে আই য়্যাম ক্যালকাটা গোয়িং।
যত সব ইংলিশ ফ্যাশান আহা মরি কি লাইটনিং।।
	ইংলিশ ফ্যাশান সবই তার
	মরি কি সুন্দর বাহার,
	দেখলে বন্ধু দেয় চেয়ার —
		কাম-অন ডিয়ার গুড মর্নিং।।
	বন্ধু আসিলে পরে
	হাসিয়া হান্ডসেক করে,
	বসায় তারে রেসপেক্ট করে —
		হোল্ডিং আউট এ মিটিং।।
	তারপর বন্ধু মিলে
	ড্রিংকিং হয় কৌতুহলে,
	খেয়েছ সব জাতিকুলে —
		নজরুল এসলাম ইজ টেলিং।।

‘লেটো গান’

বাণী

হাওয়াতে নেচে’ নেচে’ যায় ঐ তটিনী।
পাহাড়ের পথ-ভোলা কিশোরী নটিনী।।
		তরঙ্গ আঁচল দুলায়ে
		বনভূমির মন ভুলায়ে,
চলেছে চপল পায়ে একাকিনী উদাসিনী।।
এঁকে বেঁকে থম্‌কে গিয়ে,
হরিণীরে চম্‌কে দিয়ে।
ছুটিয়া যায় সুদূরে
আয় আয় বলি, ডাকে কে কুলের বধূরে,
নেচে চলে পথ বেভুল ঘর-ছাড়া বিবাগিনী।।

বাণী

পরদেশী বঁধু! ঘুম ভাঙায়ো চুমি' আঁখি
যদি গো নিশীথে গো ঘুমাইয়া থাকি।
	আমি ঘুমাইয়া থাকি
	ঘুম ভাঙায়ো চুমি' আঁখি।।
যদি দীপ নেভে গো কুটিরে
বাতায়ন-পানে চাহি' যেয়ো না গো ফিরে',
নিভেছে আঁখি শিখা প্রাণ আছে বাকি
	আজো প্রাণ আছে বাকি
	ঘুম ভাঙায়ো চুমি' আঁখি।।

বাণী

কুল্ মখলুক গাহে হজরত বালাগাল উলা বেকামালিহি।
আঁধার ধরায় এলে আফতাব কাশাফাদ্দুজা বেজামালিহি।।
	রৌশনীতে আজো ধরা মশ্‌গুল
	তাই তো ওফাতে করি না কবুল,
হাসনাতে আজো উজালা জাহান সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি।।
	নাস্তিরে করি’ নিতি নাজেহাল্
	জাগে তৌহীদ দ্বীন্-ই-কামাল,
খুশ্‌বুতে খুশি দুনিয়া বেহেশ্‌ত সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি।।

বাণী

ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর বাজে ঝনঝন
বনানী-কুন্তল এলাইয়া ধরণী
কাঁদিছে পড়ি চরণে শনশন শনশন।।
দোলে ধূলি-গৈরিক পতাকা গগনে,
ঝামর কেশে নাচে ধূর্জটি সঘনে।
হর-তপোভঙ্গের ভুজঙ্গ নয়নে,
সিন্ধুর মঞ্জীর চরণে বাজে রনরন রনরন।।

বাণী

ঈদ মোবারক হো —
ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক ঈদ, ঈদ মোবারক হো —
রাহেলিল্লাহ্‌কে আপনাকে বিলিয়ে দিল, কে হলো শহীদ।।
যে	কোরবানি আজ দিল খোদায় দৌলৎ ও হাশমত্‌,
যার	নিজের ব’লে রইলো শুধু আল্লা ও হজরত,
যে	রিক্ত হয়ে পেল আজি অমৃত-তৌহিদ।।
যে	খোদার রাহে ছেড়ে দিল পুত্র ও কন্যায়
যে	আমি নয়, আমিনা ব’লে মিশলো আমিনায়।
ওরে	তারি কোলে আসার লাগি’ নাই নবীজীর নিদ।।
যে	আপন পুত্র আল্লারে দেয় শহীদ হওয়ার তরে
	ক্বাবাতে সে যায় না রে ভাই নিজেই ক্বাবা গড়ে
সে	যেখানে যায় – জাগে সেথা ক্বাবার উম্মিদ।।