বাণী

জনম জনম তব তরে কাঁদিব।
যত হানিবে হেলা ততই সাধিব।।
	তোমারি নাম গাহি’ 
	তোমারি প্রেম চাহি’,
ফিরে ফিরে নিতি তব চরণে আসিব।।
জানি জানি বঁধু, চাহে যে তোমারে,
ভাসে সে চিরদিন নিরাশা-পাথারে।
	তবু জানি হে স্বামী
	কোন্ সে-লোকে আমি,
তোমারে পাব বুকে বাহুতে বাঁধিব।।

১. যত করিবে, ২. ফিরে ফিরে আমি তব চরণে আসিব, ৩. জীবন-স্বামী

বাণী

আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি গানেওয়ালা।
আরো তাজা শারাব ঢালো, কর কর হৃদয় আলা।।
অকুণ্ঠিত চিতে ব’স নিরালা ভোর হাওয়ার সাথে,
পুরাও আশা পিয়ে সুধা নিতুই নূতন অধর-ঢালা।।
কর ত্বরা, এ আব-খোরা ভরাও নূতন শারাব দিয়ে,
নাহি গো মোর সাকির হাতে চাঁদির গেলাস, চাঁদের থালা।।
কি স্বাদ পেলে জীবন-মধুর শারাব যদি না হয় সাথি,
স্মরণে তার আরো তাজা আনো শারাব ভর-পিয়ালা।।
আরো নূতন রঙে রেখায় গন্ধে রূপে, দিল-পিয়ার
আমার প্রিয়া! আমার তরে কর এ নিখিল উজালা।।
প্রিয়ার ছায়া-বীথির পথে যাবে যখন, ভোরের হাওয়া,
নূতন করে শুনায়ো তায় হাফিজের এ গান নিরালা।।

বাণী

পুঁথির বিধান যাক পুড়ে তোর, বিধির বিধান সত্য হোক!
(এই) খোদার উপর খোদকারী তোর মানবে না আর সর্বলোক।।
নানান মুনির নানান মত্‌ যে, মানবি বল্‌ সে কার শাসন?
				কয়জনার বা রাখবি মন?
একজনকে মানলে করবে আর এক সমাজ নির্বাসন, চারদিকে শৃঙ্খল বাঁধন!
সকল পথে লক্ষ্য যিনি চোখ পুরে নে তাঁর আলোক।।
জাতের চেয়ে মানুষ সত্য, অধিক সত্য প্রাণের টান
				প্রাণ-ঘরে সব এক সমান।
বিশ্ব-পিতার সিংহ-আসল প্রাণ বেদীতেই অধিষ্ঠান,
				আত্মার আসন তাইত প্রাণ।
জাত-সমাজের নাই সেথা ঠাই জগন্নাথের সাম্য লোক
				জগন্নাথের তীর্থ লোক।।
চিনেছিলেন খ্রিষ্ট, বুদ্ধ, কৃষ্ণ, মোহাম্মদ ও রাম
				মানুষ কী আর কী তার দাম!
(তাই) মানুষ যাদের করত ঘৃণা, তাদের বুকে দিলেন স্থান,
				গান্ধী আবার গান সে-গান।
(তোরা) মানব-শত্রু, তোদেরই হায় ফুটল না সেই জ্ঞানের চোখ।।

বাণী

একাকিনী বিরহিণী জাগি আধো রাতে।
বঁধু নাহি পাশে, নিদ নাহি আসে,
কণ্টক ফোটে হায় ফুল-বিছানায়।
আবার ফুটিবে ফুল উঠিবে চাঁদ,
আমারি মনের হায় মিটিল না সাধ,
যামিনীর ফুল যেন এ রূপ-যৌবন
নিশীথে ফুটিয়া লাজে ঝ’রে যায় প্রাতে।।

নাটক : ‘দেবী দুর্গা’

বাণী

		রামছাগী গায় চতুরঙ্গ বেড়ার ধারে,
		গাইয়ে ষাঁড়-সাথে বাছুর হাম্বা রবে — ভীষণ নাদ ছাড়ে,
		ফেটে বুঝি গেল কান, প্রাণে মারে!
		শুনিয়া হাই তোলে ভেউ ভেউ রোলে — ভুলোটা পগার পারে।।
তেলেনা: 		ডিম নেরে, তা দেরে, আমি না রে, তুই দেরে,
		নেরে ডিম, দেরে তা, তা দেনা,
		ওদের না না, তাদের না না তুই দেরে ডিম!
		ওদের নারী তাদের নারী দেদার নারী,
		দে রে নারী, যা ধেৎ, টানাটানি!
সরগম:	 	ধ প র ধ র গ, গ র গ ধ, গ র গ ধ,
		ন ধ ম ম, প র ন ম র গ, স র ন ধ স ম।।
তবলার বোল: 	ভেগে যা, মেগে খা, মেরে কেটে খা, মেরে কেটে খা’
		তেড়ে ধরে কাট ধুম, ধরে কেটে রাখুন না রাখুন না,
		কান দুটি যাক তবু কাটা থাক দুম।।

‘চতুরঙ্গ’

বাণী

		আজ নিশীথে অভিসার তোমারি পথে প্রিয়তম।
		বনের পারে নিরালায় দিও হে দেখা নিরুপম।।
		সুদূর নদীর ধারে নিরালাতে বালুচরে
		চখার তরে যথা একা চখি কেঁদে মরে
		সেথা সহসা আসিও গোপন প্রিয় স্বপন সম।।
		তোমারি আশায় ঘুরি শত গ্রহে শত লোকে,
(ওগো) 	আমারি বিরহ জাগে বিরহী চাঁদের চোখে,
		আকুল পাথার নিরাশার পারায়ে এসো প্রাণে মম।।