বাণী

চঞ্চল মলয় হাওয়া শোন শোন মিনতি।
গুণ্ঠন খুলো না মোর, আমি নব যুবতী।।
অঙ্গে জাগেনি যার আজিও অনঙ্গ
অসময়ে কেন তার কর রস ভঙ্গ,
লুকায় মুকুল হের পাতার আঁচলে
ভোমরার ভয়ে ভীরু বন-মালতী।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

কারার ঐ লৌহ-কপাট
ভেঙ্গে ফেল্ কর্‌ রে লোপাট রক্ত-জমাট
শিকল-পূজার পাষাণ-বেদী!
ওরে ও তরুণ ঈশান!
বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ! ধ্বংস-নিশান
উঠুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি’॥
গাজনের বাজনা বাজা!
কে মালিক? কে সে রাজা? কে দেয় সাজা
মুক্ত-স্বাধীন সত্য কে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান প’রবে ফাঁসি? সর্বনাশী —
শিখায় এ হীন্ তথ্য কে রে?
ওরে ও পাগ্‌লা ভোলা, দেরে দে প্রলয়-দোলা গারদগুলা
জোরসে ধ’রে হ্যাঁচকা টানে।
মার্‌ হাঁক হায়দরী হাঁক্ কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক ডাক ওরে ডাক
মৃত্যুকে ডাক জীবন-পানে॥
নাচে ঐ কাল-বোশেখী, কাটাবি কাল ব’সে কি?
দে রে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি’।
লাথি মার, ভাঙ্‌রে তালা! যত সব বন্দী-শালায় —
আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা, ফেল্ উপাড়ি॥

সিনেমাঃ ‘চট্রগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন’

বাণী

সেদিন ব’লেছিলে এই সে ফুলবনে,
আবার হবে দেখা ফাগুনে তব সনে॥
ফাগুন এলো ফিরে লাগে না মন কাজে,
আমার হিয়া ভরি, উদাসী বেণু বাজে;
শুধাই তব কথা দখিনা সমীরণে॥
শপথ ভুলিয়াছ বন্ধু, ভুলিলে পথ কি গো,
বারেক দিয়ে দেখা লুকালে মায়ামৃগ।
আঁচলে ফুল লয়ে হল’ না মালা গাঁথা,
আসার পথ তব ঢাকিল ঝরা পাতা;
পূজার চন্দন শুকালো অঙ্গনে॥

বাণী

(ওমা)	দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর (শ্যামা) রাখলাম তোর পায়ে।
(এবার)	তুই দিবি মা, ভক্তের তোর সকল ঋণ মিটায়ে।।
		মাগো		সমন হাতে মোর মহাজন
				ধরতে যদি আসে এখন,
		তোরই পায়ে পড়বে বাঁধন ছেলের ঋণের দায়ে।।
ওমা		সুদ আসলে এ সংসারের বেড়েই চলে দেনা,
এবার		ঋণ মুক্তির তুই নে মা ভার, রইব তোরই কেনা।
				আমি আমার আর নহি ত
		(আমি)	তোর পায়ে যে নিবেদিত,
এখন		তুই হয়েছিস্ জামিন আমার দে ওদের বুঝায়ে।।

বাণী

চঞ্চল শ্যামল এলো গগনে।
নয়ন-পলকে বিজলি ঝলকে চাঁচর অলক ওড়ে পবনে।।
		রিম্‌ঝিম্‌ বৃষ্টির নূপুর বোলে
		মৃদঙ্গ বাজে গুরু গম্ভীর রোলে;
হেরি’ সেই নৃত্য ধরার চিত্ত ডুবু ডুবু বরিষার প্রেম-প্লাবনে।।
		উদাসী বেণু তার অশান্ত বায়ে
		বাজে রহি’ রহি’ দূর বনছায়ে;
আকাশে অনুরাগে ইন্দ্রধনু জাগে ভাবের বন্যা বহে বৃন্দাবনে।।

বাণী

মম মধুর মিনতি শোন ঘনশ্যাম গিরিধারী
কৃষ্ণমুরারী, আনন্দ ব্রজে তব সাথে মুরারি।।
যেন নিশিদিন মুরলী-ধ্বনি শুনি
উজান বহে প্রেম-যমুনারি বারি
নূপুর হয়ে যেন হে বনচারী
চরণ জড়ায়ে ধরে কাঁদিতে পারি।।