বাণী

স্বপন যখন ভাঙবে তোমার দেখবে আমি নাই।
মোরে শূন্য তোমার বুকেরি কাছে খুজবে গো বৃথাই।।
	দেখবে জেগে বাহুর পরে
	আছে নীরব অশ্রু ঝ'রে
কাছ থেকেও ছিলাম দূরে যাই গো চলে যাই।।
কাঁটার মতো ছিলাম বিধে আমি তোমার বুকে,
বিদায় নিলাম চিরতরে ঘুমাও তুমি সুখে (ওগো)।
	একলা ঘরে জেগে ভোরে
	হয়তো মনে পড়বে মোরে,
দূরে স'রে হয়তো পাব অন্তরেতে ঠাঁই।।

বাণী

সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে কোথায় গেলি?
আমি অসহায় শিশুর মত ডাকি মা দুই বাহু মেলি’।।
	অন্য শক্তি নাই মা তারা
	‘মা’ বুলি আর কান্না ছাড়া,
তোরে না দেখলে কেঁদে উঠি, আবার কোল পেলে মা হাসি খেলি।।
(ও মা) ছেলেকে তোর তাড়ন করে মায়ারূপী সৎমা এসে।
আবার ছয় রিপুতে দেখায় মা ভয় পাপ এলো পুতনার বেশে।
	মরি ক্ষুধা তৃষ্ণাতে মা
	শ্যামা আমার কোলে নে মা।
আমি ক্ষণে চমকে উঠি ভাবি দয়াময়ী মা কি এলি।।

১. পাপবর্গী এলো দেশে।

বাণী

কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি
কি যাচে ও আঁখি বুঝিতে যে নারি॥
হৃদি প্রাণ মন বিভব রতন
ডারিনু চরণে লহ পথচারী॥
দুয়ারে মোর নিতি গেয়ে যায় যে গীতি
নিশিদিন বুকে বেঁধে তারি স্মুতি।
কি দিয়ে এ ব্যথা নিবারিতে পারি॥
মিলন বিরহ যা চাও প্রিয় লহ
দাও ভিখারিনী বেশ দাও ব্যথা অসহ
মোর নয়নে দাও তব নয়ন বারি॥

নাটকঃ ‘আলেয়া’

বাণী

আয় আয় মোর ময়ূর-বিমান আকাশ-নদী বেয়ে।
ফুল ফোটানো হাওয়ায় ভেসে চাঁদের আলোয় নেয়ে।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী মেয়ে খেলে মদিনায়
দেহের জ্যোতিতে তার জাফরানি পিরহান ম্লান হয়ে যায়॥
	মুখে তার নবীজীর মুখেরি আদল
	আঁখি দুটি করুণায় সদা ঢল ঢল,
মেষ শাবকেরে ধরি মধুর মিনতি করি কলেমা শোনায়॥
জুম্মার মস্‌জিদে কোন্ সে ভক্ত পড়ে কোরান আয়াত,
অমনি সে খেলা ভুলি কচি দুটি হাত তুলে করে মোনাজাত।
	নীল দরিয়ার পানি নয়নে বহে
	‘উম্মতে কর ত্রাণ’ কাঁদিয়া কহে
হজরত কোলে তুলে ‘বেহেশ্‌ত্‌ রানী তুমি’ বলে ফাতেমায়॥

বাণী

ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
পথহারা, ওরে ঘর-ছাড়া,
	ঘরে আয় ফিরে আয়।।
ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি, রে কানাই —
কাঁদে লুটায়ে ধুলায়,
	ফিরে আয় ঘরে আয়।।
ব্রজে আয় ফিরে ওরে ও কিশোর
কাঁদে বৃন্দাবন কায়দে রাখা তোর
বাঁধিব না আর ওরে ননী-চোর
	অভিমানী ফিরে আয়।।