স্বপ্নে দেখি একটি নতুন ঘর
বাণী
স্বপ্নে দেখি একটি নতুন ঘর তুমি আমি দু’জন প্রিয় তুমি আমি দু’জন। বাহিরে বকুল-বনে কুহু পাপিয়া করে কুজন।। আবেশে ঢুলে’ ফুল-শয্যায় শুই মুখ টিপে হাসে মল্লিকা যুঁই কানে কানে গানে গানে কহে ‘চিনেছি উতল সমীরণ’।। পূর্ণিমা চাঁদ কয়, গান আর সুর, চঞ্চল ওরা দু’জন প্রেম-জ্যোতি আনন্দ-আঁখিজল, ছল ছল ওরা দু’জন। মৌমাছি কয়, গুন্ গুন্ গান গাই মুখোমুখি দু’জনে সেইখানে যাই শারদীয়া শেফালি গায়ে পড়ে কয় — ‘ব্রজের মধুবন — এই তো ব্রজের মধুবন’।।
ডেকে ডেকে কেন তারে ভাঙালি ঘুমের ঘোর
বাণী
ডেকে ডেকে কেন তারে ভাঙালি ঘুমের ঘোর কেন ভাঙালি স্বপনে মোর এসেছিল, সখি, স্বপন কুমার মনচোর কেন ভাঙালি ঘুমের ঘোর।। সে যেন লো পাশে ব'সে কহিল হেসে হেসে ‘যাব না আর পরদেশে’, সখি, মোছ মোছ আঁখিলোর’।। দেখালো তার হৃদয় খুলি’, কহিল : ‘হের প্রিয়ে তোমার অধিক ব্যথা হেথায় তোমারে ব্যথা দিয়ে।’ জানি না মোর হিয়ার চেয়েও অধিক ক্ষত তার হৃদয় সে হৃদয়ে আমার ছবি, সকল হিয়া আমি-ময়। তাহার জীবন-মালারি মাঝে, সখি, আমি যেন সোনার ডোর।। আমি কহিনু, বুঝেছি সখা তোমার এ দুখ দেওয়ার ছল, ভালোবাসার ফুল না শুকায় তুমি তাই চাহ মোর চোখেরই জল’। জেগে দেখি কেঁদে কেঁদে, সখি, ভিজেছে বুকের আঁচল।।
আমার বিদায়-রথের চাকার ধ্বনি
বাণী
আমার বিদায়-রথের চাকার ধ্বনি ঐ গো এবার কানে আসে। পুবের হাওয়া তাই কেঁদে যায় ঝাউ-এর বনে দীঘল শ্বাসে।। ব্যথায়-বিবশ গুলঞ্চ ফুল মালঞ্চে আজ তাই শোকাকুল, মাটির মায়ের কোলের মায়া ওগো আমার প্রাণ উদাসে।। অঙ্গ আসে অলস হ’য়ে নেতিয়ে-পড়া অলস ঘুমে, স্বপন-পারের বিদেশিনীর হিম-ছোঁওয়া যায় নয়ন চুমে। হাতছানি দেয় অনাগতা আকাশ ডোবা বিদায়-ব্যথা, লুটায় আমার ভুবন ভরি’ বাঁধন-ছেঁড়ার কাঁদন-ত্রাসে।। মোর বেদনার কর্পূর-বাস ভরপুর আজ দিগ্বলয়ে, বনের আঁধার লুটিয়ে কাঁদে হরিণটি তার হারার ভয়ে। হারিয়ে-যাওয়া মানসী হায় নয়ন-জলে শয়ন তিতায়, ওগো, এ কোন্ যাদুর মায়ায় দু’চোখ আমার জলে ভাসে।। আজ আকাশ-সীমায় শব্দ শুনি অচিন পায়ের আসা-যাওয়ার, তাই মনে হয় এই যেন শেষ আমার অনেক দাবিদাওয়ার। আজ কেহ নাই পথের সাথি সামনে শুধু নিবিড় রাতি, আমায় দূরের বাঁশি ডাক দিয়েছে, রাখ্বে কে আর বাঁধন-পাশে।।
দাঁড়ালে দুয়ারে মোর
বাণী
দাঁড়ালে দুয়ারে মোর কে তুমি ভিখারিনী। গাহিয়া সজল চোখে বেলা-শেষের রাগিণী॥ মিনতি-ভরা আঁখি ওগো কে তুমি ঝড়ের পাখি (ওগো) কি দিয়ে জুড়াই ব্যথা কেমনে কোথায় রাখি কোন্ প্রিয় নামে ডাকি’ মান ভাঙাব মানিনী॥ বুকে তোমায় রাখতে প্রিয় চোখে আমার বারি ঝরে, (ওগো) চোখে যদি রাখিতে চাই বুকে উঠে ব্যথা ভ’রে। যত দেখি তত হায়, ওগো পিপাসা বাড়িয়া যায় কে তুমি যাদুকরী স্বপন-মরু-চারিণী॥