এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে
বাণী
এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে এই তো নদীর খেলা। সকাল বেলা আমির, রে ভাই (ও ভাই) ফকির, সন্ধ্যাবেলা॥ সেই নদীর ধারে কোন্ ভরসায় বাঁধলি বাসা, ওরে বেভুল, বাঁধলি বাসা, কিসের আশায়? যখন ধরলো ভাঙন পেলি নে তুই পারে যাবার ভেলা। এই তো বিধির খেলা রে ভাই এই তো বিধির খেলা॥ এই দেহ ভেঙে হয় রে মাটি, মাটিতে হয় দেহ যে কুমোর গড়ে সেই দেহ, তার খোঁজ নিল না কেহ (রে ভাই)। রাতে রাজা সাজে নাচমহলে দিনে ভিক্ষা মেগে বটের তলে শেষে শ্মশান ঘাটে গিয়ে দেখে সবাই মাটির ঢেলা এই তো বিধির খেলা রে ভাই ভব নদীর খেলা॥
জাগো হে রুদ্র জাগো রুদ্রাণী
বাণী
জাগো হে রুদ্র, জাগো রুদ্রাণী, কাঁদে ধরা দুখ-জরজর! জাগো গৌরী, জাগো হর।। আজি শস্য-শ্যামা তোদের বন্যা অন্নবস্ত্র হীনা অরণ্যা সপ্ত সাগর অশ্রু-বন্যা, কাঁপিছে বুক থর থর।। আর সহিতে পারি না অত্যাচার, লহ এ অসহ ধরার ভার। গ্রাসিল বিশ্ব লোভ-দানব, হা হা স্বরে কাঁদিছে মানব, জাগো ভৈরবী জাগো ভৈরব ত্রিশূল খড়গ ধর ধর।।
ওরে ভবের তাঁতি
বাণী
ওরে ভবের তাঁতি! হরিনামের এঁড়ে গরু কিনিস্নে। তুই মূলে শেষে হাবাত্ হবি ঠাকুরকে তুই চিনিস্নে। রসিক ঠাকুরকে তুই চিনিস্নে।। তুই খাচ্ছিস্ বেশ ভবের তাঁত বু’নে চালিয়ে মাকু, ঘুরিয়ে টাকু, তাঁতের গান শু’নে (ও তুই) সুখে খাবি আয়েশ পাবি ঐ গরু কেনার টাকাতে তুই জরু আনার জিনিসনে।। পরমার্থের কিনলে এঁড়ে, অর্থ যাবে ছেড়ে তোর ঘাড়েরই লাঙল তোকে শেষে আসবে তেড়ে! কুল যাবে তোর, যাবে জাতি মান (এই গো-কুলের এঁড়ে এনে) যাবে জাতি মান, দুঃখ অভাব শোক এসে তোর ধরবে রে দুই কান শেষে কি কান খোয়াবি কানা হবি ভ’জে কানাই শ্রীকৃষ্ণে।।
আঁধার রাতে দেবতা মোর
বাণী
আঁধার রাতে দেবতা মোর এসে গেছে চ’লে রেখে গেছে চরণ-চিহ্ন শূন্য গৃহ-তলে।। জেগে দেখি বুকের কাছে পূজার মালা প’ড়ে আছে ফেলে গেছে মালাখানি বুঝি খানিক প’রে গলে।। তার অঙ্গের সুবাস ভাসে মন্দির-অঙ্গনে, তাহার ছোঁওয়া লেগে আছে কুমকুম-চন্দনে। অপূর্ণ মোর প্রণামখানি দেবো কবে নাহি জানি, সে আস্বে বুঝি বাসনা-ধূপ পুড়িয়া শেষ হলে’।।