আজি জ্যোৎস্না বিজড়িত ফাল্গুনী
বাণী
উভয়ে : আজি জ্যোৎস্না বিজড়িত ফাল্গুনী রাতে। ল’য়ে মঞ্জুল-মল্লিকা মালিকা হাতে।। আজি এসেছি মোরা এসেছি দোঁহে মিলেছি বাহুপাশে হিন্দোলাতে।। শ্যাম : আজি বিকশিত উন্মুখ চিত্ত রাধা : দিছি পদতলে ঢালি সব বিত্ত দিছি তনুমন যৌবন রিক্ত আজি হে শ্যাম : ঊষর প্রাণের এ চির-পিপাসা কর গো তারে সিক্ত আজি মিলন প্রেম-বারি পাতে।। রাধা : থর কম্পিত হিয়া-পরে বাঞ্ছিত এসো গো শ্যাম : মম স্পন্দিত বাহুপাশে নন্দিতা এসো গো রাধা : আন অন্তরে নিবিড় চেতনা হর মন্তরে এ চির বেদনা শ্যাম : এসো মালতী বল্লরি বিতানে এসো মিলন-পুলকিত প্রাণে চির উৎসুক বিরহ অবসানে নবপ্রেমে আজি প্রাণ মাতে।।
রুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ ঝুম্
বাণী
রুম্ ঝুম্ ঝুম্ ঝুম্ রুম্ ঝুম্ ঝুম্ খেজুর পাতার নূপুর বাজায়ে কে যায়। ওড়না তাহার ঘূর্ণি হাওয়ায় দোলে কুসুম ছড়ায় পথের বালুকায়।। তার ভুরুর ধনুক বেঁকে ওঠে তনুর তলোয়ার, সে যেতে যেতে ছড়ায় পথে পাথর-কুচির হার। তার ডালিম ফুলের ডালি গোলাপ-গালের লালি ঈদের-চাঁদ ও চায়।। আরবি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে, বাদ্শাজাদা বুঝি সাহারাতে ফেরে সেই মরীচিকা খুঁজি কত তরুণ মুসাফির পথ হারালো, হায়! কত বনের হরিণ মরে তারি-রূপ তৃষায়।।
সিনেমাঃ‘চৌরঙ্গী’
সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে
বাণী
সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে তুমি আমারে ছুঁইয়াছিলে। অনুরাগ–কুম্কুম দিলে দেহে মনে, বুকে প্রেম কেন নাহি দিলে।। বাঁশি বাজাইয়া লুকালে তুমি কোথায় — যে ফুল ফোটালে সে ফুল শুকায়ে যায় কী যেন হারায়ে প্রাণ করে হায় হায় — কী চেয়েছিলে — কেন কেড়ে নাহি নিলে।। জড়ায়ে ধরিয়া কেন ফিরে গেলে বল কোন্ অভিমানে, কেন জাগে নাকো আর সে মাধুরী রস–আনন্দ–প্রাণে। তোমারে বুঝি গো বুঝেছিনু আমি ভুল এসেছিলে তুমি ফোটাতে প্রেম–মুকুল, কেন আঘাত করিয়া প্রিয়তম, সেই ভুল নাহি ভাঙাইলে।।
আল্লা নামের নায়ে চ’ড়ে
বাণী
আল্লা নামের নায়ে চ’ড়ে যাব মদিনায়। মোহাম্মদের নাম হ’বে মোর (ও ভাই) নদী-পথে পুবান বায়।। চার ইয়ারের নাম হ’বে মোর সেই তরণীর দাঁড় কল্মা শাহাদতের বাণী হাল ধরিবে তা’র, খোদার শত নামের শুন্ টানিব (ও ভাই) নাও যদি না যেতে চায়।। মোর নাও যদি না চলিতে দেয় সাহারার বালি, মরুভূমে বান ডাকাব, (চোখের) পানি দিব ঢালি’। তাবিজ হ’য়ে দুল্বে বুকে কোরান, খোদার বাণী আঁধার রাতে ঝড়-তুফানে১ আমি কি ভয় মানি! আমি তরে’ যাব রে তরী যদি ডুবে’ তারে না পায়২।।
১. দুর্দিনেরই ঝড়-তুফানে, ২. ডুবে তাঁহার এলাকায়