বাণী

তুমি কি আসিবে না
বলেছিলে তুমি আসিবে আবার ফুটিবে যবে হেনা।।
	সেদিন ঘুমায়ে ছিল যে মূকুল
	আজি সে পূর্ণ বিকশিত ফুল
সেদিনের ভীরু অচেনা হৃদয় আজি হতে চায় চেনা।।
ঘন পল্লব গুণ্ঠন ঢাকা ছিল সেদিন যে লতা
আজিকে পুষ্প নিবেদন ল’য়ে কহিতে চায় যে কথা।
	প্রদীপ জ্বালায়ে আজি সন্ধ্যায়
	পথ চেয়ে আছি তোমারি আশায়
পূর্ণিমা-তিথি আসিল, হে চাঁদ-অতিথি আসিলে না।।

বাণী

তুমি বেণুকা বাজাও কার নাম লয়ে শ্যাম —
মোর সাধ যায় হরি আমি যদি সেই কিশোরী হইতাম।।
	সেই প্রেম মোরে দাও গো শ্রী হরি,
	যে প্রেমে নেমে আস রূপ ধরি',
যে প্রেমে কাঁদো যমুনার তীরে তুমি লয়ে 'রাধা রাধা' নাম।।
সেই প্রেম দাও যে প্রেমে ভোল তুমি হে শ্রী ভগবান,
রাধার দুয়ারে ভিক্ষা চাহিয়া নিতি সহ অপমান।
	মোর আঁখি হয়ে উঠুক কমল,
	দাও প্রিয় মোরে সেই আঁখিজল;
দাও সে বিরহ যে বিরহে এই ধরা হয় ব্রজধাম।।

বাণী

পেয়ে কেন নাহি পাই হৃদয়ে মম
হে চির-সুদূর প্রিয়তম॥
		তুমি আকাশের চাঁদ
আমি	পাতিয়া সরসী-ফাঁদ
জনম	জনম কাঁদি কুমুদীর সম॥
		নিখিলের রূপে রূপে
		দেখা দাও চুপে চুপে
এলে না মূরতি ধরি তুমি নিরুপম॥

বাণী

	বর্ণচোরা  ঠাকুর এলো রসের নদীয়ায়
	তোরা দেখবি যদি আয়
তারে	কেউ বলে শ্রীমতি রাধা কেউ বলে সে শ্যামরায়।।
	কেউ বলে তার সোনার অঙ্গে রাধা-কৃষ্ণ খেলেন রঙ্গে;
ওগো	কেউ বলে তায় গৌর-হরি কেউ অবতার বলে তায়।।
তার	ভক্ত তারে ষড়ভুজ শ্রী নারায়ণ বলে,
কেউ	দেখেছে শ্রীবাসের ঘরে কেউ বা নীলাচলে।
	দুই হাতে তার ধনুর্বাণ ঠিক যেন শ্রীরাম,
	দুই হাতে তার মোহন বাঁশি যেন রাধা-শ্যাম,
	আর দু'হাতে দণ্ড ঝুলি নবীন সন্ন্যাসীরই প্রায়।।

বাণী

মাকে আমার দেখেছে যে ভাইকে সে কি ঘৃণা করে।
ত্রিলোক-বাসী প্রিয় তাহার পরান কাঁদে সবার তরে॥
নাই জাতি ভেদ উচ্চ-নীচের জ্ঞান
তাহার কাছে সকলে সমান,
দেখলে গুহক চন্ডালে সে রামের মত বক্ষে ধরে॥
মা আমাদের মহামায়া পরমা প্রকৃতি
পিতা মোদের পরমাত্মা রে তাই সবার সাথে প্রীতি
মোদের সবার সাথে প্রীতি।
সন্তানে তাঁর ঘৃণা করে মাকে করে পূজা
সে পূজা তার নেয় না কভু, নেয় না দশভূজা।
(মোরা) এই ভেদ-জ্ঞান ভুলব যেদিন
মা সেই দিন আসবে ঘরে॥

১. সে পূজা তার নেয় না চতুর্ভুজা, ওরে নেয় না দশভুজা

বাণী

ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি
ধীরে চল গোরী ধীরে ধীরে
টলে চিকন কাঁখে ভরা গাগরি
	ভরে তায় ঘাঘরি।
দেহ টুটে না যায় যেন নাগরি
	নীল চোলি ভিজিয়া না যায় নীরে।।
কঠিন ধরা হানে বেদনা কোমল পায়ে
মুছায়ে দিব ব্যথা ব’স এ বকুল ছায়ে
‘না’বলি মুচকিয়া হেসো না ফিরে ফিরে।।
দাঁড়ায়ে কত পথিক বহিতে সই ভার তব
যদি চাহ গো সখি ভার তব আমি লব
দাও আমারে ঠাঁই, তব ঐ তনুর তীরে।।