বাণী

(হায়) 	তুমি চ’লে যাবে দূরে লায়লী তব মজনু কাঁদিবে একা।
	বুঝি পাব না তোমায় জীবনে বুঝি এই নিয়তির লেখা।।

নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’

বাণী

কে বলে গো তুমি আমার নাই?
তোমার গানে পরশ তব পাই।।
তোমায়-আমায় এই নীরবে
জানাজানি অনুভবে,
তোমার সুরের গভীর রবে আমারি কথাই।।
হে বিরহী আমায় বারে বারে
স্মারণ করো সুরের সিন্ধু পারে
ওগো গুণী পেয়ে মায়
যদি তোমার গান থেমে যায়,
উঠবে কাঁদন সুরের সভায় চাই না কাছে তাই।।

বাণী

শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান
সেই সুরে গো বাজবে আমার করুণ বাঁশির তান॥
সাথী-হারা একেলা পাখি, যে-সুরে যায় বনে ডাকি’
সেই সুরেরি কাঁদন মাখি’ বিধুর আমার প্রাণ॥
দিন শেষের ম্লান আলোতে ঘনায় যে বিষাদ
আমার গানে জড়িয়ে আসে তারই অবসাদ।
ঝরা-পাতার মরমরে, বাদল-রাতে ঝরঝরে
বাজে আমার গানের সুরে গোপন অভিমান॥

বাণী

তুমি	শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা
	দখিনা বাতাস ইঙ্গিতে বোঝে
			কহে যাহা বনলতা।।
	চুপ ক'রে চাঁদ সুদুর গগনে
	মহা-সাগরের ক্রন্দন শোনে,
	ভ্রমর কাদিঁয়া ভাঙিতে পারে না
			কুসুমের নীরবতা।।
	মনের কথা কি মুখে সব বলা যায়?
	রাতের আঁধারে যত তারা ফোটে
			আঁখি কি দেখিতে পায়?
	পাখায় পাখায় বাঁধা যবে রয়
	বিহগ-মিথুন কথা নাহি কয়,
	মধুকর যবে ফুলে মধু পায়
			রহে না চঞ্চলতা।।

গীতিচিত্রঃ ‌‘অতনুর দেশ’

বাণী

ওগো বৈশাখী ঝড়! ল’য়ে যাও অবেলায় ঝরা এ মুকুল।
ল’য়ে যাও বিফল এ জীবন — এই পায়ে দলা ফুল।।
	ওগো নদীজল লহো আমারে
	বিরহের সেই মহা-পাথারে,
চাঁদের পানে চাহে যে পারাবারে — অনন্তকাল কাঁদে বিরহ-ব্যাকুল।।

বাণী

আশা-নিরাশায় দিন কেটে যায় হে প্রিয় কবে আসিবে?
প্রতি নিঃশ্বাসে নয়ন প্রদীপ মোর আসিছে নিভে।।
		ফুল ঝরে যায় হায়, পুন ফুল ফোটে
		কৃষ্ণা তিথির শেষে চাঁদ হেসে ওঠে
আমারি নিশীথের অসীম আঁধার ওগো চাঁদ কবে নাসিবে।।
শীত যায় মনোবনে ফাল্গুন আসে গো আসিল না আমারই ফাল্গুন
চাঁদের কিরণে পৃথিবী শীতল হায় মোর বুকে জ্বালে সে আগুন।
		নিশীথে বকুল শাখে
		পিয়া পিয়া পাপিয়া ডাকে
আমারই প্রিয়তম ‘জাগো পিয়া’ বলে কবে ডাকিবে।।