শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান
বাণী
শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান সেই সুরে গো বাজবে আমার করুণ বাঁশির তান॥ সাথী-হারা একেলা পাখি, যে-সুরে যায় বনে ডাকি’ সেই সুরেরি কাঁদন মাখি’ বিধুর আমার প্রাণ॥ দিন শেষের ম্লান আলোতে ঘনায় যে বিষাদ আমার গানে জড়িয়ে আসে তারই অবসাদ। ঝরা-পাতার মরমরে, বাদল-রাতে ঝরঝরে বাজে আমার গানের সুরে গোপন অভিমান॥
তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা
বাণী
তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা দখিনা বাতাস ইঙ্গিতে বোঝে কহে যাহা বনলতা।। চুপ ক'রে চাঁদ সুদুর গগনে মহা-সাগরের ক্রন্দন শোনে, ভ্রমর কাদিঁয়া ভাঙিতে পারে না কুসুমের নীরবতা।। মনের কথা কি মুখে সব বলা যায়? রাতের আঁধারে যত তারা ফোটে আঁখি কি দেখিতে পায়? পাখায় পাখায় বাঁধা যবে রয় বিহগ-মিথুন কথা নাহি কয়, মধুকর যবে ফুলে মধু পায় রহে না চঞ্চলতা।।
গীতিচিত্রঃ ‘অতনুর দেশ’
আশা-নিরাশায় দিন কেটে যায় হে প্রিয় কবে আসিবে
বাণী
আশা-নিরাশায় দিন কেটে যায় হে প্রিয় কবে আসিবে? প্রতি নিঃশ্বাসে নয়ন প্রদীপ মোর আসিছে নিভে।। ফুল ঝরে যায় হায়, পুন ফুল ফোটে কৃষ্ণা তিথির শেষে চাঁদ হেসে ওঠে আমারি নিশীথের অসীম আঁধার ওগো চাঁদ কবে নাসিবে।। শীত যায় মনোবনে ফাল্গুন আসে গো আসিল না আমারই ফাল্গুন চাঁদের কিরণে পৃথিবী শীতল হায় মোর বুকে জ্বালে সে আগুন। নিশীথে বকুল শাখে পিয়া পিয়া পাপিয়া ডাকে আমারই প্রিয়তম ‘জাগো পিয়া’ বলে কবে ডাকিবে।।