শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া
বাণী
শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া শঙ্করী শিবানী। বালিকা-সম লীলাময়ী নীল-উৎপল-পাণি।। সজল-কাজল-ঝর্না মুকত বেণী অপর্ণা, তিমির বিভাবরী স্নিগ্ধা শ্যামা কালিকা ভবানী।। প্রলয় ছন্দময়ী চন্ডী শব্দ-নূপুর-চরণা, শাম্ভবী শিব-সীমন্তিনী শঙ্করাভরণা। অম্বিকা দুঃখহারিণী শরণাগত-তারিণী, জগদ্ধাত্রী শান্তিদাত্রী প্রসীদ মা ঈশানী।।
আমি যেদিন রইব না গো
বাণী
আমি যেদিন রইব না গো লইব চির-বিদায়। চিরতরে স্মৃতি আমার জানি মুছে যাবে হায়।। এই ধরণীর খেলা-ঘরে, মনে রাখে কে কারে দুলে সাগর চাঁদ-সোহাগে, মরু মরে পিপাসায়।। রবি যবে ওঠে নভে, চাঁদে কে মনে রাখে এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে, মানুষের মন নদীর প্রায়। মোর সমাধির বুকে প্রিয়, উঠবে তোমার বাসর ঘর, হায়, অসহায় ভিখারি মন, কাঁদে তবু সেই ব্যথায়।।
তুমি কে গো কে
বাণী
তুমি কে গো (কে কে কে) তুমি মোদের বন-দেবতা। আমরা বনশ্রী, তোমার পূজারিণী ধ্যান-রতা — হে বন-দেবতা।। ১মা : আমি মালতী মুকুল ২য় : আমি ব্যাকুলা বকুল ৩য়া, ৪র্থা, ৫মা : মোরা গণহীনা অশোক-পলাশ-শিমুল। ৬ষ্ঠা : আমি (আঁখি) জলের কমল ৭মা : আমি মাধবীলতা।। ৮মা : আমি গিরি-মল্লিকা ৯মা : আমি হাস্নুহানা ১০মা : আমি ছোট ডুমো ফুল, রই চির-অজানা ১১শী : আমি ঝর্নাধারা, কেঁদে কেঁদে ব’য়ে যাই। ১২শী : আমি দিনের ভাদ্র-বৌ, চাঁদের কুমুদ ১৩শী : আমি পাখির গান, বনভূমির কথা।।
নাটক : ‘মধুমালা’
দেখলে তোমায় বাসতে ভালো
বাণী
দেখলে তোমায় বাসতে ভালো হয় না কারো ভুল। রূপ-দীপালি দোদুল দেহ প্রেম ঢুল্ ঢুল্।। সোহাগ কথার মায়ার ফাঁদে ব্যাকুল হিয়া সদাই কাঁদে, রই চেয়ে ঐ বদন-চাঁদে চকোর আকুল।। সুনীল চোখের মায়া দেখি সজল আকাশে, কাজল-কালো অলক-লতা মেঘেতে ভাসে। গোলাপ বনে গেলে সখি তোমায় যবে পাশে দেখি, আমার ভুল হয়ে যায় কোন্টি তুমি, কোন্টি গোলাপ ফুল।।
বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে
বাণী
বন-মল্লিকা ফুটিবে যখন গিরি-ঝর্নার তীরে। সেই চৈতালি গোধূলি-লগনে এসো তুমি ধীরে ধীরে — গিরি-ঝর্নার তীরে।। বনের কিশোর এসো সেথা হেসে হেসে সাজায়ো আমায় বন-লক্ষ্মীর বেশে, ধোওয়াব তোমার চরণ-কমল বিরহ-অশ্রু নীরে।। ঘনায়ে গহন সন্ধ্যার মায়া আসিও সোনার রথে, অতি সুকোমল শিঁরিশ, কুসুম বিছায়ে রাখিব পথে। মালতী-কুঞ্জে ডাকিবে পাপিয়া পাখি তুমি এসে বেঁধো আলোক-লতার রাখি, ভ্রমরের সম পিপাসিত মোর আঁখি কাঁদিবে তোমারে ঘিরে।।