
বর্ণানুক্রমে
নোটিশ বোর্ড
জনপ্রিয়
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে নজরুলগীতির সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে নজরুলগীতির সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
নিশি না পোহাতে যেয়ো না যেয়ো না দীপ নিভিতে দাও। নিবু-নিবু প্রদীপ নিবুক হে পথিক ক্ষণিক থাকিয়া যাও॥ ঢুলিয়া পড়িতে দাও ঘুমে অলস আঁখি ক্লান্ত করুণ কায়, সুদূর নহবতে বাঁশরি বাজিতে দাও উদাস যোগিয়ায়। হে প্রিয় প্রভাতে ও-রাঙা পায় বকুল ঝরিয়া মরিতে চায়, তব হাসির আভায় তরুণ অরুণ প্রায় দিক রাঙিয়ে যাও॥
রাগঃ ভৈরবী-যোগিয়া
তালঃ দাদ্রা
উপল নুড়ির কাঁকন চুড়ি বাজে বাজে ঘুমতি নদীর জলে। বুনো হাঁসের পাখার মত মন যে ভেসে চলে সেই ঘুমতি নদীর জলে।। মেঘ এসেছে আকাশ ভ'রে — যেন শ্যামল ধেনু চরে নাগিনীর সম বিজলি-ফনা তুলে নাচে,নাচে নাচে রে। মেঘ-ঘন গগন তলে।। পাহাড়িয়া অজগর ছুটে আসে ঝর্ ঝর্ বেনো-জল্ দিয়ে করতালি প'রে পিয়াল পাতার মাথালি ছিটায় জল,গেঁয়ো কিশোরীর দল। রিনিক,ঝিনিক,বাজে চাবি আঁচলে কাল নাগিনীর মত পিঠে বেনী দোলে তীর-ধনুক হাতে বন-শিকারির সাথে মন ছুটে যায় বনতলে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
পাকা ধানের গন্ধ-বিধুর হেমন্তের এই দিন-শেষে, সুরের দুলাল, আসলে ফিরে দিগ্বিজয়ীর বর-বেশে। আজো মালা হয়নি গাঁথা হয়নি আজো গান রচন, কুহেলিকার পর্দা-ঢাকা আজো ফুলের সিংহাসন। অলস বেলায় হেলাফেলায় ঝিমায় রূপের রংমহল, হয়নি ক’ সাজ রূপ-কুমারীর, নিদ্ টুটেছে এই কেবল। আয়োজনের অনেক বাকি - শুন্নু হঠাৎ খোশ্খবর, ওরে অলস, রাখ্ আয়োজন, সুর-শা’জাদা আস্ল ঘর। ওঠ্ রে সাকি থাক্ না বাকি ভরতে রে তোর লাল গেলাস, শূন্য গেলাস ভরব - দিয়ে চোখের পানি মুখের হাস। দম্ভ ভরে আস্লো না যে ধ্বজায় বেঁধে ঝড়-তুফান, যাহার আসার খবর শুনে গর্জাল না তোপ-কামান। কুসুম দলি’ উড়িয়ে ধূলি আস্লো না যে রাজপথে, আয়োজনের আড়াল তারে করব গো আজ কোন্ মতে। সে এলো গো যে-পথ দিয়ে স্বর্গে বহে সুর্ধুনী, যে পথ দিয়ে ফেরে ধেনু মাঠের বেণুর রব শুনি’। যেমন সহজ পথ দিয়ে গো ফসল আসে আঙ্গিনায়, যেমন বিনা সমারোহে সাঁঝের পাখি যায় কুলায়। সে এলো যে আমন-ধানের নবান্ন উৎসব-দিনে, হিমেল হাওয়ায় অঘ্রাণের এই সুঘ্রাণেরি পথ চিনে। আনে নি সে হরণ ক’রে রত্ন-মানিক সাত-রাজার, সে এনেছে রূপকুমারীর আঁখির প্রসা কণ্ঠহার। সুরের সেতু বাঁধ্ল সে গো, উর্দ্ধে তাহার শুনি স্তব, আস্ছে ভারত-তীর্থ লাগি’ শ্বেত-দ্বীপের ময়-দানব। পশ্চিমে আজ ডঙ্কা বাজে পুবের দেশের বন্দীদের, বীণার গানে আমরা জয়ী, লাজ মুছেছি অদৃষ্টের। কণ্ঠ তোমার যাদু জানে, বন্ধু ওগো দোসর মোর! আস্লে ভেসে গানের ভেলায় বৃন্দাবনের বংশী-চোর। তোমার গলার বিজয়-মালা বন্ধু একা নয় তোমার, ঐ মালাতে রইল গাঁথা মোদের সবার পুরস্কার। কখন আঁখির আগোচরে বস্লে জুড়ে হৃদয়-মন, সেই হৃদয়ের লহ প্রীতি, সজল আঁখির জল্-লিখন।
‘সুরের দুলাল’
রাগঃ
তালঃ
আমি তব দ্বারে প্রেম-ভিখারি নয়নের অনুরাগ-দৃষ্টির সাথে চাহি নয়ন-বারি।। তব পুষ্পিত তনুতে,হৃদয় -কমলে গোপনে যে প্রেম-মধু উথলে তোমার কাছে সেই অমৃত যাচে তৃষিত এ পথচারী।। জনম জনম আমি রূপ ধ'রে আসি গো, তোমারি বিরহে কাঁদিতে, রাহুর মত আমি আসি না বাহু-পাশে বাঁধিতে। আমি ফুলের মধু চাহি,ছিঁড়ি না ফুল গো, তদূরে রহি,গাহি গান বন-বুলবুল গো, মনোবনে আছে তব নন্দন-পারিজাত,আমি তা'রি পূজারি।।
রাগঃ
তালঃ ত্রিতাল
হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ। দিলাম তোমার চরণ-তলে হৃদয় -জায়নামাজ। আমি গুনাহগার বে-খবর, নামাজ পড়ার ন্ই অবসর (তব) চরণ-ছোঁয়ায় এই পাপীরে কর সরফরাজ।। তোমার ওজুর পানি মোছ আমার পিরান দিয়ে আমার এ ঘর হোক মসজিদ তোমার পরশ নিয়ে। যে শয়তানের ফন্দিতে ভাই, খোদায় ডাকার সময় না পাই সেই শয়তান যাক দূরে, শুনে তকবীরের আওয়াজ।।
রাগঃ মালবশ্রী
তালঃ কাহার্বা
শিল্পীঃ নিলুফার ইয়াসমিন
গেরুয়া রঙ মেঠো পথে বাঁশরি বাজিয়ে কে যায়। সুরের নেশায় নুয়ে প'ড়ে ভুঁই-কদম তার পায়ে জড়ায়। আহা ভূঁই-কদম তারা পায়ে জড়ায়।। সুর শুনে তার সাঝেঁর ঠোটেঁ, বাঁকা শশীর হাসি ফোটে, গো-পথ বেয়ে ধেনু ছোটে রাঙা মাটির আবির ছড়ায়। তারা রাঙা মাটির আবির ছাড়ায়।। গগন গোঠে গ্রহ তারা সে সুর শুনে দিশেহারা হাটের পথিক ভেবে সারা ঘরে ফেরার পথ ভুলে যায়।। জল নিতে নদী কূলে কুলবালা কূল ভুলে সন্ধ্যা তারা প্রদীপ তুলে বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়। তারা বাঁশুরিয়ার নয়নে চায়।।
রাগঃ
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা
Nazrulgeeti.org is the largest portal in the world about Nazrulgeeti. Anything and everything about Nazrulgeeti will be found in this portal. All lyrics, used raag and taal, audio/video, swaralipi and unknown stories behind the song, everything will be available here. The collection is growing every day. Be with us and help spread Nazrulgeeti worldwide.
Developed, Owned and Maintained by Mamunur Rahman Khan