নামাজ রোজা হজ্জ-যাকাতের পসারিণী আমি
বাণী
নামাজ রোজা হজ্জ-যাকাতের পসারিণী আমি নবীর কল্মা হেঁকে ফিরি পথে দিবস-যামী।। আমার নবীজির পিয়ারি আয়রে ছুটে মুসলিম নারী, দ্বীনের সওদা করবি কে আয় আয় রে মুক্তিকামী।। জন্ম আমার হাজার বছর আগে আরব দেশে সারা ভুবন ঠাঁই দিয়েছে আমায় ভালোবেসে। আমার আজান ধ্বনি বাজে — কুল মোমিনের বুকের মাঝে আমি নবীর মানস কন্যা আল্লাহ্ মোর স্বামী।।
জয় কৃষ্ণ-ভিখারিনী তুলসী
বাণী
জয় কৃষ্ণ-ভিখারিনী তুলসী হরি-শিব-বিহারিণী তুলসী। জয় কল্পতরু সমা বিষ্ণুর মনোরমা কলির কলুষ-বারিণী তুলসী।। অভিষ্ট-দায়িণী তুমি বসুধায় শ্রেষ্ঠ পুষ্প তুমি দেব-পূজায়, তপে ও জপে তুমি মন্ত্র-শক্তি রূপা ভক্তি-প্রেম সঞ্চারিণী তুলসী।। তীর্থসমূহ মাগো তোমার কাছে আত্মশুদ্ধি তরে শরণ যাচে, সকল কর্ম হয় নিষ্ফল ত্রিলোকে তোমার প্রসাদ বিনা তারিণী তুলসী।। শুদ্ধ সত্ত্বা রূপা তপস্যা মগ্না বিরাজ দীনা বেশে মন্দির-লগ্না, হে হরি-বল্লভে, তব দীন পল্লবে অনন্ত নারায়ণ-ধারিণী তুলসী।।
‘শ্রীতুলসী-বন্দনা’
শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান
বাণী
শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান সেই সুরে গো বাজবে আমার করুণ বাঁশির তান॥ সাথী-হারা একেলা পাখি, যে-সুরে যায় বনে ডাকি’ সেই সুরেরি কাঁদন মাখি’ বিধুর আমার প্রাণ॥ দিন শেষের ম্লান আলোতে ঘনায় যে বিষাদ আমার গানে জড়িয়ে আসে তারই অবসাদ। ঝরা-পাতার মরমরে, বাদল-রাতে ঝরঝরে বাজে আমার গানের সুরে গোপন অভিমান॥
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো ও ভাই মাঠের চাষি
বাণী
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো, ও ভাই মাঠের চাষি ভাটিয়ালি সুরে বাজে রাখাল ছেলের বাঁশি।। পিদিম নিয়ে একলা জাগে একলা ঘরের বধূ হৃদয়-পাতে লুকিয়ে রেখে সারা দিনের মধু; পথ চেয়ে সে বসে আছে কাজ হয়েছে বাসি রে তার কাজ হয়েছে বাসি। (যে) মন সারাদিন ছিল পড়ে হালের গরুর পানে, দিনের শেষে ঘরের জরু সেই মনকে টানে সেথা মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় রে মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় কালো চোখের হাসি রে ভাই কালো চোখের হাসি। পুবান হাওয়া ঢেউ দিয়ে যায় আউশ ধানের ক্ষেতে, এই ফসলের দেখব স্বপন শুয়ে শুয়ে রেতে; ও ভাই শুয়ে শুয়ে রেতে সকাল বেলা আবার যেন মাঠে ফিরে আসি রে এই মাঠে ফিরে আসি।।