বাণী

আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ আজও মুক্ত নহি।
আজও অন্যে আঘাত দিলে কঠোর ভাষা কহি।।
	মোর আচরণ, আমার কথা
	আজও অন্যে দেয় মা ব্যথা
আজও আমার দাহন দিয়ে শত জনে দহি।।
শত্রুমিত্র মন্দভালোর যায়নি আজও ভেদ
কেহ ব্যথা দিলে, প্রাণে আজও জাগে খেদ।
	আজও মাগো দুঃখে শোকে
	অশ্রু ঝরে আমার চোখে,
আমার আমার ভাব ওগো মা আজও জাগে রহি’ রহি’।।

১. আজও অন্যে কষ্ট দিলে / কষ্ট ভাষা কহি।।

বাণী

রে অবোধ!		শূন্য শুধু শূন্য ধূলো মাটির ধরা।
শূন্য ঐ		অসীম আকাশ রংবেরং-এর খিলান-করা।।
হাওয়াতে		শূন্য নিমেষ নিমেষে যার হ’য়ে শেষ।
এসেছি		পথিক এ পর-দেশ জীবন-মৃত্যু ভরা।।
হুরী আর		গানের প্রিয়া, সাথে তার শারাব নিয়া
চল ঐ		সবুজ-বিথার ঝর্না-কিনার গোলাব-ঝরা।।
এর অধিক		সুখের বিলাস স্বরগে করিসনে আশ
সে স্বরগ		নাই রে কোথাও এমন উধাও দুখ্-পসরা।।

বাণী

মৃত্যু-আহত দয়িতের তব শোনো করুণ মিনতি।
অমৃতময়ী মৃত্যুঞ্জয়ী হে সাবিত্রী সতী।।
	ঘন অরণ্যে বাজে মোর স্বর
	মোরি রোদনে উঠিয়াছে ঝড়,
সাঁঝের চিতায় ঐ নিভে যায়, মম নয়নের জ্যোতি
			হে সাবিত্রী সতী!
যুগে যুগে তুমি বাঁচায়েছ মোরে মৃত্যুর হাত হতে
			দেবী সাবিত্রী সতী!
মোরি হাত ধ’রে রাজপুরী ছেড়ে চলেছ বনের পথে
			বিধবা অশ্রুমতী!
	জীবনের তৃষা মেটেনি আমার
	তুমি এসে মোরে বাঁচাও আবার,
মৃত্যু তোমারে করিবে প্রণাম, ধরার অরুন্ধতি
			হে সাবিত্রী সতী!

বাণী

গাঙে জোয়ার এলো ফিরে তুমি এলে কই
খিড়কি দুয়ার খুলে পথ-পানে চেয়ে' রই।।
	কালো জামের ডালের ফাঁকে
	আমায় দেখে কোকিল ডাকে,
আজও কেন যায় না দেখা তোমার নায়ের ছই।।
চুল বেঁধে আজ সেজেগুজে পিদিম জ্বালাই সাঁঝে,
ঠাকুরঝিরা মুচকি হাসে, আমি মরি লাজে।
	বাদলা রাতে বৃষ্টি ঝরে
	মন যে আমার কেমন করে,
আমার চোখের জলে বন্ধু মাঠ করে থই-থই।।

বাণী

চিকন কালো ভুরুর তলে কাজল আঁখি দোলে রে
যেন বন-লতার কোলে কোয়েল পাখি দোলে রে।।
	যেন ফুল-ধনুর উজল তীর গো হায়
	বাদশাজাদীর রঙ মহলে 
যেন নীলার প্রদীপ জ্বলে দোলে রে দোলে রেদেোলে রে।।
	সজল শিশির মাখা দু'টি কুসুম গো
	সুনীল দু'টি কমল -কুড়িঁ
যেন রূপের সাঁতার -জলে দোলে রে দোলে রে দোলে রে।।

বাণী

ঐ, ঐ, ঐ আসে কর্ণ কৌরব সেনানী।
মহাবীর ভীষ্ম গেছে, দ্রোণ গেছে জানি।
কর্ণে বধিতে হবে, কুরুক্ষেত্র রণে।
তারপর বধিব মোরা নীচ দুযোর্ধনে।।

লেটো গান: ‘কর্ণ বধ’