বাণী

আশা-নিরাশায় দিন কেটে যায় হে প্রিয় কবে আসিবে?
প্রতি নিঃশ্বাসে নয়ন প্রদীপ মোর আসিছে নিভে।।
		ফুল ঝরে যায় হায়, পুন ফুল ফোটে
		কৃষ্ণা তিথির শেষে চাঁদ হেসে ওঠে
আমারি নিশীথের অসীম আঁধার ওগো চাঁদ কবে নাসিবে।।
শীত যায় মনোবনে ফাল্গুন আসে গো আসিল না আমারই ফাল্গুন
চাঁদের কিরণে পৃথিবী শীতল হায় মোর বুকে জ্বালে সে আগুন।
		নিশীথে বকুল শাখে
		পিয়া পিয়া পাপিয়া ডাকে
আমারই প্রিয়তম ‘জাগো পিয়া’ বলে কবে ডাকিবে।।

বাণী

আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা
যাঁহার রওশনীতে দীন দুনিয়া উজালা।।
যাঁরে খুঁজে ফেরে কোটি গ্রহ তারা,
ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা,
বাগিচায় গোলাব গুল্‌ গাঁথে যাঁর মালা।।
আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম
খোদার নামের পরে জপে অবিরাম
কেয়ামতে যাঁর হাতে কওসর-পিয়ালা।।
পাপে-মগ্ন ধরা যাঁহার ফজিলতে
ভাসিল সুমধুর তৌহিদ-স্রোতে,
মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাতা’লা।।

বাণী

আজো হেথা তেমনি ধারা বাজে শ্যামের বাঁশরি।
আজো হেথা নিশীথরাতে কুঞ্জে আসে কিশোরী।।
বাঁশির তানে শ্রীযমুনা তেমনি উজান বয়
গোঠে গিয়ে বৎস ধেনু উর্ধ্বমুখী রয়।
	কে বলে শ্যাম চ’লে গেছে
	যায়নি ব্রজেই কানু আছে
সে কিরে সই থাকতে পারে বৃন্দাবন পাসরি।।

নাটিকাঃ ‘মীরাবাঈ’

বাণী

তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর
রইবে কত আড়াল টেনে গ্রহ-তারকার।।
	তৃষিত মোর হৃদয় যাচে
	এসো আমার বুকের কাছে
যেমন দূরের চাঁদকে ডাকে ব্যাকুল পারাবার।।
হাত চাহে মোর ব'সো কাছে করবো সেবা তব,
নয়ন বলে নয়ন পাতায় রাখবো হে বল্লভ।
	হে নাথ তোমার তীর্থ পথে
	এ প্রাণ চাহে ধূলি হ'তে
ঘুচবে কবে মোদের মাঝে অসীম অন্ধকার।।

বাণী

যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর
ত্রিলোচন দেবাদিদেব ধ্যানে সদা মগন॥
চির শ্মশানচারী অনাদি সমাধিধারী
স্তব্ধ ভয়ে চরণে তাঁরি প্রণতি করে গগন॥
ত্রিশূল-বিষাণ রহে পড়িয়া পাশে
ললাটে শশী নাহি হাসে
গঙ্গা তরঙ্গ-হারা ভীত ভুবন।
ত্রাহি হে শম্ভু শিব, ত্রাসে কাঁপে জড় ও জীব
ভোলো এ ভীষণ তপ গাহিতেছে সঘন॥

বাণী

পিয়াসী প্রাণ তারে চায়, এনে দে তা’য়।
জনম জনম বিরহী প্রাণ মম
সাথিহীন পাখি সম কাঁদিয়া বেড়ায়।।
চাঁদের দীপ জ্বালি’ খুঁজিছে আকাশ তা’রে
না পেয়ে তাহার দিশা কাঁদে সে বাদল-ধারে।
ঝরে অভিমানে ফুল তারে না-দেখতে পেয়ে,
বহে কাঁদন-নদী পাষাণ গিরি বেয়ে।
আসিব ব’লে সে গেছে চ’লে —
(আমি) আজো আছি বেঁচে তা’রি আশায়।।