বাণী

তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার
করুণা কৃপার তব নাহি সীমা নাহি পার॥
রোজ-হাশরের বিচার-দিনে তুমিই মালিক এয়্ খোদা,
আরাধনা করি প্রভু, আমরা কেবলি তোমার॥
সহায় যাচি তোমারি নাথ, দেখাও মোদের সরল পথ,
সেই পথেতে চালাও খোদা বিলাও যাদের পুরস্কার।
অবিশ্বাসী ধর্মহারা যাহারা সে ভ্রান্ত-পথ,
চালায়ো না তাদের পথে, এই চাহি পরওয়ারদিগার॥

বৈতালিক

বাণী

ফণির ফণায় জ্বলে মণি কে নিবি তাহারে আয়।
মণি নিতে ডরে না কে ফণির বিষ জ্বালায়।।
করেছে মেঘ উজালা বজ্র মানিক মালা,
সে-মালা নেবে কি কালা মরিয়া অশনি যায়।।

নাটক : ‘মহুয়া’

বাণী

আমি	রবি-ফুলের ভ্রমর।
তা’র	আলোক-মধু প্রিয়ে আমি আলোর মধুপ অমর।।
ঐ	শ্বেত-শতদল ফুটলো যেদিন গভীর গগন নীল সায়রে
তা’র	আলোর শিখা আকাশ ছেপে ছড়িয়ে গেল বিশ্ব ‘পরে — স্তরে স্তরে,
সেই	বহ্নি-নলের পরাগ-রেণু
	আমিই যেন প্রথম পেনু, প্রথম পেনু গো
তাই	বাহির পানে ধেয়ে এনু গেয়ে আকুল স্বরে।
আজ	জাগো জগৎ! ঘুম টুটেছে বিশ্বে নিবিড় তমোর।।
তাঁ’র	জাগরণীর অরুণ কিরণ — গন্ধ যেদিন নিশি-শেষে
এই	অন্ধ জগৎ জাগিয়ে গেল আকাশ-পথের হাওয়ায় ভেসে — হঠাৎ এসে;
আমি	ঘুম-চোখে মোর পেনু আভাস,
	ঘরের বাহির করা সে-বাস ভাঙলে আবাস মোর।।
তাই	কূজন-বেণু বাজায়ে চলি আলোর দেশের শেষে
যথা	সহস্রদল কমল, আনন জাগ্‌ছে প্রিয়তমর।।
যেন	এ শ্বেত-সরোজ-সরোদ বাঁধা সপ্ত সুরের রঙিন তারে
	রচ্‌ছে সুরের ইন্দ্রধনু গগন-সীমায় তোরণ-দ্বারে তমোর ‘পারে,
তার	সে-সুর বাজি’ আমার পাখায় গহন-গহন শাখায় শাখায়
	তারায় কাঁপায় গো।
জাগে	ঐ কমলে পরশ প্রিয়ার চরণ নিরুপমর।।

বাণী

আরো নূতন নূতনতর শোনাও গীতি গানেওয়ালা।
আরো তাজা শারাব ঢালো, কর কর হৃদয় আলা।।
অকুণ্ঠিত চিতে ব’স নিরালা ভোর হাওয়ার সাথে,
পুরাও আশা পিয়ে সুধা নিতুই নূতন অধর-ঢালা।।
কর ত্বরা, এ আব-খোরা ভরাও নূতন শারাব দিয়ে,
নাহি গো মোর সাকির হাতে চাঁদির গেলাস, চাঁদের থালা।।
কি স্বাদ পেলে জীবন-মধুর শারাব যদি না হয় সাথি,
স্মরণে তার আরো তাজা আনো শারাব ভর-পিয়ালা।।
আরো নূতন রঙে রেখায় গন্ধে রূপে, দিল-পিয়ার
আমার প্রিয়া! আমার তরে কর এ নিখিল উজালা।।
প্রিয়ার ছায়া-বীথির পথে যাবে যখন, ভোরের হাওয়া,
নূতন করে শুনায়ো তায় হাফিজের এ গান নিরালা।।

বাণী

শহীদী ঈদগাহে দেখ্‌ আজ জমায়েত ভারি।
হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফর্‌মান জারি।।
তুরান ইরান হেজাজ মেসের হিন্দ মোরক্কো ইরাক,
হাতে হাত মিলিয়ে আজ দাঁড়ায়েছে সারি সারি।।
ছিল বেহোঁশ যারা আঁসু ও আফসোস ল’য়ে।
তুইও আয় এই জমাতে ভুলে যা’ দুনিয়াদারী।।
ছিল জিন্দানে যারা আজকে তারা জিন্দা হ’য়ে,
ছোটে ময়দানে দারাজ-দিল্‌ আজি শমশের ল’য়ে।
তকদির বদলেছে আজ উঠেছে তকবির তারি।।

বাণী

আধো ধরণী আলো আধো আঁধার।
কে জানে দুখ-নিশি পোহাল কার।।
আধো কঠিন ধরা আধেক জল,
আধো মৃণাল-কাঁটা আধো কমল।
আধো সুর, আধো সুরা — বিরহ, বিহার।।
আধো ব্যথিত বুকের আধেক আশা,
আধেক গোপন আধেক ভাষা!
আধো ভালোবাসা আধেক হেলা
আধেক সাঁঝ আধো প্রভাত-বেলা
আধো রবির আলো — আধো নীহার।।