বাণী

নদীর স্রোতে মালার কুসুম ভাসিয়ে দিলাম, প্রিয়!
আমায় তুমি নিলে না, মোর ফুলের পূঁজা নিও।।
	পথ-চাওয়া মোর দিনগুলিরে
	রেখে গেলাম নদীর তীরে
আবার যদি আস ফিরে- তুলে গলায় দিও।।
নিভে এলো পরান -প্রদীপ পাষাণ-বেদীর তলে,
জ্বালিয়ে তা'রে রাখব কত শুধু চোখের জলে।
	তারা হয়ে দুর আকাশে
	রইব জেগে' তোমার আশে
চাঁদের পানে চেয়ে চেয়ে' আমারে স্মরিও।।

বাণী

আমার আছে অসীম আকাশ, তোমার আছে ঘর।
তোমার আছে পারের তরী, আমার বালুচর।।
	তোমার আছে কূলের আশা
	আমার অকূল স্রোতে ভাসা,
আমায় ডাকে (গো) দূর আলেয়া, তোমার প্রদীপ-কর।।
থাকুক তোমার দখিন হাওয়া, আমার থাকুক ঝড়,
তোমার তরে তরুর ছায়া, আমার তেপান্তর।
	তুমি ঘুমাও সুখের কোলে
	আমি ভুলে’ যাওয়ার দলে,
হারিয়ে তোমায় মোর ধরণী হলো বিপুলতর।।

বাণী

নাহি কেহ আমার ব্যথার সাথী,
জ্বলি পিল্‌সুজে একা মোমের বাতি।
পতঙ্গ সুখি, পুড়ে এক নিমেষে –
পুড়িয়া মরি আমি সারা রাতি।।
আসে যে সুখের দিনে বন্ধু রূপে,
অসময়ে যায় স’রে চুপে চুপে।
	উড়ে গেছে অলি
	ফুল ঝরেছে বলি’ – 
কাঁদি একাকী কণ্টক-শয্যা পাতি’।।
কেহ কারো নয় তবু প্রাণ কাঁদে
চকোর চাহে যেন সুদূর চাঁদে,
শুধু বেদনা পাই প্রেম-মোহে মাতি’।।

বাণী

বদ্না গাড়ুতে বসে মুখোমুখী দিব্বি হয়েছে ভাব!
বদনা চাহিছে শুক্তুনী আর – চাহিছে গাড়ু কাবাব।।
গাড়ু বলে এসো বদনা ভাইটি হোক শুভ চোখাচোখি।
তুমি মোর হাতে পেঁয়াজ দাও আর আমি দিই হরতকি।।
[শুনে বদনা ভাবে গদগদ হয়ে বলছেন
‘গাড়ুদাদা দাড়িতে একবার টিকিতে বুলাও না’]
ও গাড়ু দাদা দাড়িতে বুলাও টিকি –
ছুরি ও নাদ্না রাখি দোঁহে এসো আস্‌নাই করা শিখি।।
[গাড়ু তখন ভাব জমিয়ে বলছেন]
পাখিদের মাঝে বামুন যে রাম পাখি।
কেননা মাথায় উহার জবা-ফুল বাঁধা টিকি
দেখ নাকি তাহা দেখ নাকি?
[বদনা তখন বদন ব্যাদন করে বলছেন]
ও তো টিকি নয় দাদা ও যে তুর্কী ফেজ্।
পাখিদের মাঝে উনি মোল্লাজী হ্যাঁদু নয় হরগেজ।।
[গাড়ু তখন বদনার পিঠে নল বুলিয়ে বলছেন]
হাতে দিব ক্ষীর নাড়ু ভাই, ছেড়ে দাও খাওয়া ঐ বড়টা।
[শুনে বদনা অবাক – বল্লে]
রে মদনা তাহলে কি দিয়ে খাইব পরটা?
গাড়ু বলে, আহা দোস্তীর তরে ছাড়িতে হয়।
এসা দাদা এসো জড়াজড়ি করি বদ্না গড়ায়ে কয়।।
জড়াজড়ি থেকে গড়াগড়ি দুই নলে প্রেমবারি ঝরে।
সেই ভাব দেখে বিদেশী কেটলী রাগে টগবগ করে।।

‘ভাই ভাই এক-ঠাঁই’

বাণী

এসেছি তব দ্বারে ভক্তি-শূন্য প্রাণে।
করুণাময় প্রভু! কর হে পূর্ণ দানে।।
শক্‌তি বিহীন করে ধরেছি নিশান তব
বহিতে পারি যেন দিও সে-গৌরব,
দিবাকর কর সম ছড়ায়ে অভিনব
অস্তে যাই যেন জীবন-বিহানে।।
সাঁঝের আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ সম
রাঙায়ো আঁধার হৃদি-প্রেমের জোছনা বানে।।

বাণী

সোনার মেয়ে! সোনার মেয়ে!
তোমার রূপের মায়ায় আমার নয়ন- ভুবন গেল ছেয়ে'।।
	ঝরে তোমার রূপের ধারা—
	চন্দ্র জাগে তন্দ্রাহারা,
আকাশ-ভরা হাজার তারা তোমার মুখে আছে চেয়ে'।।
	কোন গ্রহ-লোক ব্যথায় ভ'রে
	কোন অমরা শূন্য ক'রে
(ওগো) রাখলে চরণ ধরার পরে রঙ-সায়রের রঙের নেয়ে।
	শিল্পী আকেঁ তোমার ছবি
	তোমারি গান গাহে কবি
নিশীথিনী হারিয়ে রবি চাঁদ হাতে পায় তোমায় পেয়ে।।