উজান বাওয়ার গান গো এবার
বাণী
উজান বাওয়ার গান গো এবার, গাস্নে ভাটিয়ালি আর গাস্নে ভাটিয়ালি। নূতন আশার চাঁদ উঠেছে কুম্ড়ো জালির ফালি যেন কুম্ড়ো জালির ফালি।। বান এসেছে, বাঁধ ভেঙেচে, নায়ে দোলা লাগে আড়-বাঁশিতে তান ছেড়ে তুই দাঁড়্ বেয়ে চল্ আগে দেখ্ জোয়ার-জলে ডু’বে গেছে চরের চোরাবালি।। কালো বউ-এর চোখ যেন, দেখ্ মৌরলা মাছ ভাসে গাঙ্চিল আর জল-পায়রা উড়ছে মুখের পাশে, শোন্ বউ কথা কও পাখি, মোদের করছে দূতিয়ালি।। জল নিয়ে বৌ দাঁড়িয়ে আছে, গাছে কচি ডাব লোক্সানেরই হিসাব দেখিস, লাভের কথা ভাব্, সাজ্ রে তামুক, নামুক দেয়া, দুক্ষু ত ইজমালি।।
ঝর্ল যে-ফুল ফোটার আগেই
বাণী
ঝর্ল যে-ফুল ফোটার আগেই তারি তরে কাঁদি, হায়! মুকুলে যার মুখের হাসি চোখের জলে নিভে যায়।। হায় যে-বুলবুল গুল্বাগিচায় গোলাপ কুঁড়ির গাইত গান, আকুল ঝড়ে আজ সে প'ড়ে পথের ধূলায় মূরছায়।। সুখ-নদীর উপকূলে বাঁধিল যে সোনার ঘর, আজ কাঁদে সে গৃহ-হারা বালুচরে নিরাশায়।। যাবার যারা, যায় না তারা — থাকে কাঁটা, ঝরে ফুল। শুকায় নদী মরুর বুকে, প্রভাত আলো মেঘে ছায়।।
জয়-জগৎ-জননী ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর
বাণী
জয়-জগৎ-জননী, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর বন্দিতা, জয় মা-ত্রিলোক তারিণী। জয় আদ্যাশক্তি পরমেশ্বরী নন্দন-লোক-নন্দিতা জয় দুর্গতিহারিণী।। তোমাতে সর্বজীবের বসতি, সর্বাশ্রয় তুমি মা, জয় হয় সব বন্ধন পাপ-তাপ তব পদ চুমি’ মা। তুমি শাশ্বতী, সৃষ্টি-স্থিতি, তুমি মা প্রলয়কারিণী।। তুমি মা শ্রদ্ধা, প্রেম, ভক্তি তুমি কল্যাণ সিদ্ধি ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ তুমি তিন-জন ঋদ্ধি, জয় বরাভয়া ত্রিগুণময়ী দশ-প্রহরণ-ধারিণী।।
নাটক : ‘বিদ্যাপতি’ (স্তব)
বিজন গোঠে কে রাখাল বাজায় বেণু
বাণী
বিজন গোঠে কে রাখাল বাজায় বেণু আমি সুর শুনে তা'র বাউল হয়ে এনু (গো)।। ঐ সুরে পড়ে মনে কোন সুদুর বৃন্দাবনে যেত নন্দ-দুলাল ব্রজ-গোপাল বাজিয়ে বেণু বনে পথে লুটতো কেঁদে গোপাবালা, ভূরতো তৃণ-ধেণু গো কেঁদে ভুলতো তৃণ-ধেণু।। কবে নদীয়াতে গোরা ও ভাই ডেকেছিল এমনি সুরে এমনি পাগল-করা। কেঁদে ডাকতো বৃথাই শচীমাতা, সাধতো বসুন্ধরা, প্রেমে গ'লে যত নর-নারী যাচতো পদ-বেণু গো তারা যাচতো পদ-রেণু।।
জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো নমঃ
বাণী
জয়তু শ্রীরামকৃষ্ণ নমো নমঃ সর্ব-ধর্ম-সমন্বয়-কারী নব-রূপে অবতার পুরুষ পরম।। ঈশ্বরে বিশ্বাস জানকীর প্রায় বন্দিনী ছিল কামনার লঙ্কায় উদ্ধারিলে তারে তোমার তপস্যায় শক্তিরে জাগাইয়া শ্রীরাম-সম।। তোমা কথামৃত কলির নববেদ একাধারে রামায়ণ গীতা বিবেকানন্দ মাঝে লক্ষণ অর্জুন শক্তি করিলে পুনজীবিতা। ভূতারতের কলহের কুরুক্ষেত্রে দাঁড়াইলে তুমি আসি সকরুণ নেত্রে বাজালে অভয় পাঞ্চজন্য শঙ্খ, বিনাশিলে অধর্ম, হিংসা, আতঙ্ক প্রেম-নদীয়ায় তুমি নব-গৌরাঙ্গ সকল জাতির সখা, প্রিয়তম।।