কত দূরে তুমি ওগো আঁধারের সাথি
বাণী
কত দূরে তুমি, ওগো আঁধারের সাথি। হাত ধর মোর নিভিয়া গিয়াছে বাতি।। চলিতে চলিতে তোমার তীর্থ-পথে হারায়ে গিয়াছি অন্ধকারের স্রোতে, এসে তু’লে লও তোমার সোনার রথে — (লহ) প্রভাতের তীরে, শেষ হয় যথা রাতি।। যে ধ্রুব-তারার পথ দেখাইয়া নীরবে চলেছ তুমি, সে-পথ ভুলিয়া আসিলাম মায়া-তৃষ্ণার মরুভূমি। সাড়া নাহি পাই আর আজ ডেকে ডেকে কাঁদিছ কি তুমি মোরে সাথে নাহি দেখে? হয়ত ফিরিবে অমৃতের তীর থেকে — সেই আশে আছি পথ পানে আঁখি-পাতি’।।
কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া
বাণী
কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া প্রাতে কোকিল কাঁদে নিশীথে পাপিয়া।। এ ভরা ভাদরে আমার মরা নদী উথলি’ উথলি’ উঠিছে নিরবধি আমার এ ভাঙা ঘটে, আমার এ হৃদিতটে চাপিতে গেলে ওঠে দু’কূল ছাপিয়া।। নিষেধ নাহি মানে আমার এ পোড়া আঁখি জল লুকাবো কত কাজল মাখি’ মাখি’ ছলনা ক’রে হাসি, অমনি জলে ভাসি ছলিতে গিয়া আসি ভয়েতে কাঁপিয়া।।
খোদার হবিব হলেন নাজেল
বাণী
খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে। ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।। ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্বির আকাশে।। খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে, কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্তী ফুল ফুটে’ হাসে।। য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়, য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।। সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়, হৃদ-গগন যে কর্ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে। আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার, উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।
ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে
বাণী
ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে প্রিয়া কি এলে সজল শাওন-মেঘে কাজল নয়ন মেলে।। কেয়া ফুলের পরিমল, ঝুরে মরে তব পথে, হেরি দীঘল তব তনু তাল পিয়াল তরু পড়ে হেলে’।। পরিবে বলিয়া খোঁপায় ঝরিছে বকুল চাঁপা তোমায় খুঁজিছে আকাশ তারার প্রদীপ জ্বেলে।। তোমারি লাবনি প্রিয়া ঝরিছে শ্যামল মেঘে, ফুটালে ফুল মরুভূমে চঞ্চল চরণ ফেলে।।