পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ
বাণী
পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো কমল-দীঘির পারে। আমি জল নিতে যাই সকাল সাঁঝে সই, সখি, ছল ক'রে সে মাছ ধরে, আর, চায় সে বারে বারে।। মাছ ধরে সে, বঁড়শী আমার বুকে এসে বেঁধে, ওলো সই বুকে এসে বেঁধে, আর, চোখের জল কলসি আমার সই, আমি ভরাই কেঁদে কেঁদে সই যত দেখি তা'রে।। ছিপ নিয়ে যায় মাছ জলে তার (ওলো সই) তাকায় না তা’র পানে মন ধরে না মীন ধরে সে সখি লো সেই জানে। মন-ভিখারি মীন-শিকারি মুখের পানে চায়, সখি লো চোখের পানে চায়, আমি বঁড়শী-বেঁধা মাছের মত (গো) সখি ছুটিয়া মরি হায়, অকূল পাথারে।।
তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার
বাণী
তোমারি মহিমা গাই বিশ্বপালক করতার করুণা কৃপার তব নাহি সীমা নাহি পার॥ রোজ-হাশরের বিচার-দিনে তুমিই মালিক এয়্ খোদা, আরাধনা করি প্রভু, আমরা কেবলি তোমার॥ সহায় যাচি তোমারি নাথ, দেখাও মোদের সরল পথ, সেই পথেতে চালাও খোদা বিলাও যাদের পুরস্কার। অবিশ্বাসী ধর্মহারা যাহারা সে ভ্রান্ত-পথ, চালায়ো না তাদের পথে, এই চাহি পরওয়ারদিগার॥
বৈতালিক
বাঁকা চোখে চাহে ও কে
বাণী
বাঁকা চোখে চাহে ও কে ওকি ভয়ে, না লাজে, না ভালোবাসায়? বটের ঝুরি ধ’রে হেসে তাকায় দীঘির জলে কভু কল্সি ভাসায়॥ (আমার) পাখি শিকার দেখে তাহার আঁখি ছলছল যেন দুটি ঝিনুক ভরা কাজলা দীঘির জল তার আঁজলা ভরা শাপলা কাঁপে টলমল্ গো সে বাঁকিয়ে জোড়া ভুরু মোরে শাসায়॥ কভু এলায়ে গা বাঁধে খোঁপা কোমরে জড়ায় আঁচল মট্কায় আঙুল, কভু ঘসে সে পা গো কভু জলে ডোবে কভু সাঁতার কাটে নানান ছলে সে দেরি করে জলের ঘাটে মোরে জানায় যেন ও সে আছে ব’সে কাহার আসার আশায়॥
কালো জল ঢালিতে সই
বাণী
কালো জল ঢালিতে সই চিকন কালারে পড়ে মনে। কালো মেঘ দেখে শাওনে সই পড়্ল মনে কালো বরণে॥ কালো জলে দীঘির বুকে কালায় দেখি নীল-শালুকে (আমি) চম্কে উঠি, ডাকে যখন কালো কোকিল বনে॥ কল্মিলতার চিকন পাতায় দেখি আমার শ্যামে লো পিয়া ভেবে দাঁড়াই গিয়ে পিয়াল গাছের বামে লো। উড়ে গেলে দোয়েল পাখি ভাবি কালার কালো আঁখি আমি নীল শাড়ি পরিতে নারি কালারি কারণে লো কালারি কারণে॥