বাঁশির কিশোর লুকায়ে হেরিছে
বাণী
বাঁশির কিশোর লুকায়ে হেরিছে একেলা। পিয়াল বনের পথে নিরালা সাঁঝের বেলা। হেলে দুলে চলে কে কাঁখে গাগরি, কাহার ঝিয়ারি, ও কাহার পিয়ারি ওই নবীনা নাগরি।। নূপুর মিনতি করে কাঁদিয়া কাঁদিয়া আমারে রাখিও চরণে বাঁধিয়া, পিয়া পিয়া ব'লে ডেকে ওঠে পাপিয়া। অঙ্গ জড়ায়ে দোলে আনন্দে ঘাগরি।। চাঁদের মুখে যেন চন্দন মাখিয়া কাজল কালো চোখের কলঙ্ক আঁকিয়া আকাশ সম ওরে রেখেছে ঢাকিয়া নীলাম্বরী।।
মণি-মঞ্জির বাজে অরুণিত চরণে
বাণী
মণি-মঞ্জির বাজে অরুণিত চরণে সখি রুনু ঝুনু রুনু ঝুনু মণি-মঞ্জির বাজে। হের গুঞ্জা-মালা গলে বনমালী চলিছে কুঞ্জ মাঝে।। চলে নওল কিশোর, হেলে দুলে চলে নওল কিশোর। হেরি সে লাবনি কৌস্তুভমণি নিষ্প্রভ হ’ল লাজে। চরণ-নখরে শ্যামের আমার চাঁদের মালা বিরাজে।। সখি গো — বঁধূর চলার পথে পরান পাতিয়া র’ব চলিতে দলিয়া যাবে শ্যাম; আমি হইয়া পথের ধূলি বক্ষে লইব তুলি’ চরণ-চিহ্ন অভিরাম। ভুলে যা তোরা রাধারে কৃষ্ণ-নিশির আঁধারে হারায়ে সে গেছে চিরতরে, কালো যমুনার জলে ডুবেছে সে অতল তলে ভেসে গেছে সে শ্যাম-সাগরে।। ঐ বাঁশি বাজিছে শোন রাধা ব’লে, তরুণ তমাল চলে, অঙ্গ-ভঙ্গে শিখি-পাখা টলে। তা’র হাসিতে বিজলি, কাজল-মেঘে যেন উঠিছে উছলি’। রূপ দেখে যা দেখে যা, কোটি চাঁদের জোছনা-চন্দন মেখে যা, মোর শ্যামলে দেখে যা।।
মাকে আমার দেখেছে যে
বাণী
মাকে আমার দেখেছে যে ভাইকে সে কি ঘৃণা করে। ত্রিলোক-বাসী প্রিয় তাহার পরান কাঁদে সবার তরে॥ নাই জাতি ভেদ উচ্চ-নীচের জ্ঞান তাহার কাছে সকলে সমান, দেখলে গুহক চন্ডালে সে রামের মত বক্ষে ধরে॥ মা আমাদের মহামায়া পরমা প্রকৃতি পিতা মোদের পরমাত্মা রে তাই সবার সাথে প্রীতি মোদের সবার সাথে প্রীতি। সন্তানে তাঁর ঘৃণা করে মাকে করে পূজা সে পূজা তার নেয় না কভু, নেয় না দশভূজা।১ (মোরা) এই ভেদ-জ্ঞান ভুলব যেদিন মা সেই দিন আসবে ঘরে॥
১. সে পূজা তার নেয় না চতুর্ভুজা, ওরে নেয় না দশভুজা
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি
বাণী
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি’। আখেরি নবী দ্বীনের রবি বিদায় নিল বিশ্ব-নিখিল আঁধার করি’।। অসীম তিমিরে পুণ্যের আলো আনিল যে চাঁদ, সে কোথায় লুকালো আকাশে ললাট হানি’ কাঁদিছে মরুভূমি শোকে গ্রহ-তারকা পড়িছে ঝরি’।। তৃণ নাহি খায় উট, মেষ নাহি মাঠে যায়; বিহগ-শাবক কাঁদে জননীরে ভুলি হায়! বন্ধুর বিরহ কি সহিল না আল্লার, তাই তারে ডাকিয়া নিল কাছে আপনার’; হায় কান্ডারি গেল চ’লে রাখিয়া পারের তরী।।
বৈতালিক