বাণী

গুরুমন্ত্র তোমার উঠল জ্ব’লে হোমের শিখার মত।
এক নিমেষে ভষ্ম হ’ল পাপ-তাপ মোর যত।।
	চির-আঁধার ছিল আমার হিয়া
	তুমি এলে মন্দ্র-প্রদীপ নিয়া,
হল চকিতে সেই দীপালোকে মনের আঁধার গত।।
উজ্জ্বল মোর ঘন-দেউলে কোন্ সে আদি ঋষি,
গভীর উদার মন্ত্র তোমার জপে দিবা-নিশি।
	রিপু দানব যথা ক’রত বাস
	সেই মন হ’ল আজ আনন্দ-কৈলাস,
সে-কৈলাসে তুমি শিব, আমি দীন প্রণত।।

বাণী

জাগো	দুস্তর পথের নব যাত্রী
		জাগো জাগো!
ঐ	পোহাল তিমির রাত্রি।।
	দ্রীম দ্রীম দ্রীম রণ-ডঙ্কা
	শোন বোলে নাহি শঙ্কা!
	আমাদের সঙ্গে নাচে রণ-রঙ্গে
	দনুজ-দলনী বরাভয়-দাত্রী।।
	অসম্ভবের পথে আমাদের অভিযান
	যুগে যুগে করি মোরা মানুষেরে মহীয়ান।
	আমরা সৃজিয়া যাই নতুন যুগভাই
	মোরা নবতম ভারত-বিধাত্রী।।
	সাগরের শঙ্খ ঘন ঘন বাজে,
	রণ-অঙ্গনে চল কুচকাওয়াজে।
	বজ্রের আলোকে মৃত্যুর মুখে
	দাঁড়াব নির্ভীক উগ্র সুখে
	ভারত-রক্ষী মোরা নব শাস্ত্রী।।

বাণী

শ্যামা-তন্বী আমি মেঘ-বরণা।
দৃষ্টিতে বৃষ্টির ঝরে ঝরনা।।
অম্বরে জলদ মৃদঙ্গ বাজাই 
কদম-কেয়ায় বন-ডালা সাজই, 
হাসে শস্যে পুষ্পে ধরা নিরাভরণা।।
পুবালি হাওয়ায় ওড়ে কালো কুম্ভল
বিজলি ও মেঘ — মুখে হাসি চোখে জল,
রিমিঝিমি নেচে যাই চল-চরণা।।

১. মোর দৃষ্টিতে

বাণী

আয় মা চঞ্চলা মুক্তকেশী শ্যামা কালী।
নেচে নেচে আয় বুকে আয়, দিয়ে তাথৈ তাথৈ করতালি।।
		দশদিক আলো ক’রে
		ঝঞ্ঝার নূপুর প’রে,
দুরন্ত রূপ ধ’রে আয় মায়ার সংসারে আগুন জ্বালি’।।
আমার স্নেহের রাঙাজবা পায়ে দ’লে
কালো রূপ-তরঙ্গ তুলে
গগন-তলে সিন্ধুজলে
আমার কোলে আয় মা আয়।
		তোর চপলতায় মা কবে
		শান্ত ভবন প্রাণ-চঞ্চল হবে,
এলোকেশে এনে ঝড় মায়ার এ খেলাঘর ভেঙে দে মা আনন্দ-দুলালি।।

১. কালোরূপ — তরঙ্গ তুলে সাগর জলে

বাণী

বেণুকা ও-কে বাজায় মহুয়া বনে।
কেন ঝড় তোলে তার সুর আমার মনে।।
বলে আয় সে দুরন্তে সখি
আমারে কাঁদাবে সারা জনম ও-কি,
সে কি ভুলিতে তারে দেবে না জীবনে।।
সখি, ভাল ছিল তার তীর-ধনুক নিঠুর,
বাজে আরো সকরুণ তা’র বেণুকার সুর।
সখি, কেন সে বন-বিলাসী
আমারই ঘরের পাশে বাজায় বাঁশি,
আছে আরো কত দেশ, কত নারী ভুবনে।।

বাণী

	মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
	যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্‌তে পাই।।
	আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
	পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
	গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্‌গার পাইবে রেহাই।।
কত	পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত,
	ঐ মস্‌জিদে করে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ।
	সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
কত	দরবেশ ফকির রে ভাই মস্‌জিদের আঙিনাতে
	আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে।
আমি	তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্‌তে চাই
	আল্লার নাম জপ্‌তে চাই।।