তুমি অনেক দিলে খোদা
বাণী
তুমি অনেক দিলে খোদা, দিলে অশেষ নিয়ামত — আমি লোভী, তাইতো আমার মেটে না হসরত।। কেবলই পাপ করি আমি — মাফ করিতে তাই, হে স্বামী, দয়া করে শ্রেষ্ঠ নবীর করিলে উম্মত। তুমি নানান ছলে করছ পূরণ ক্ষতির খেসারত।। মায়ের বুকে স্তন্য দিলে, পিতার বুকে স্মেহ; মাঠে শস্য ফসল দিলে আরাম লাগি' গেহ। ঈদের চাঁদের রং মশালে রঙীন বেহেশ্ত পথ দেখালে আখেরেরই সহায় দিলে আখেরী হজরত। তুমি আজান দিলে না ভুলিতে মসজিদেরই পথ।।
মাকে আমার দেখেছে যে
বাণী
মাকে আমার দেখেছে যে ভাইকে সে কি ঘৃণা করে। ত্রিলোক-বাসী প্রিয় তাহার পরান কাঁদে সবার তরে॥ নাই জাতি ভেদ উচ্চ-নীচের জ্ঞান তাহার কাছে সকলে সমান, দেখলে গুহক চন্ডালে সে রামের মত বক্ষে ধরে॥ মা আমাদের মহামায়া পরমা প্রকৃতি পিতা মোদের পরমাত্মা রে তাই সবার সাথে প্রীতি মোদের সবার সাথে প্রীতি। সন্তানে তাঁর ঘৃণা করে মাকে করে পূজা সে পূজা তার নেয় না কভু, নেয় না দশভূজা।১ (মোরা) এই ভেদ-জ্ঞান ভুলব যেদিন মা সেই দিন আসবে ঘরে॥
১. সে পূজা তার নেয় না চতুর্ভুজা, ওরে নেয় না দশভুজা
খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী
বাণী
খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী — বিশ্ব-দুলালী নবী নন্দিনী, মদিনাবাসিনী পাপতাপ নাশিনী উম্মত-তারিণী আনন্দিনী।। সাহারার বুকে মাগো তুমি মেঘ-মায়া, তপ্ত মরুর প্রাণে স্নেহ-তরুছায়া; মুক্তি লভিল মাগো তব শুভ পরশে বিশ্বের যত নারী বন্দিনী।। হাসান হোসেনে তব উম্মত তরে, মাগো কারবালা প্রান্তরে দিলে বলিদান, বদলাতে তার রোজ হাশরের দিনে চাহিবে মা মোর মত পাপীদের ত্রাণ। এলে পাষাণের বুকে চিরে নির্ঝর সম, করুণার ক্ষীরধারা আবে-জমজম; ফিরদৌস হ’তে রহমত বারি ঢালো সাধ্বী মুসলিম গরবিনী।।
অসুর-বাড়ির ফেরত এ মা
বাণী
অসুর-বাড়ির ফেরত এ মা শ্বশুর-বাড়ির ফেরত নয়। দশভুজার করিস পূজা ভুলরূপে সব জগতময়।। নয় গোরী নয় এ উমা মেনকা যার খেতো চুমা রুদ্রাণী এ, এযে ভূমা এক সাথে এ ভয়-অভয়।। অসুর দানব করল শাসন এইরূপে মা বারে বারে, রাবণ-বধের বর দিল মা এইরূপে রাম-অবতারে। দেব-সেনানী পুত্রে লয়ে মা এই বেশে যান দিগ্বিজয়ে সেই রূপে মা’র কর্রে পূজা ভারতে ফের আসবে জয়।।
ভুল ক'রে যদি ভালোবেসে থাকি
বাণী
ভুল ক'রে যদি ভালোবেসে থাকি ক্ষমিও সে অপরাধ। অসহায় মনে কেন জেগেছিল ভালবাসিবার সাধ।। কত জন আসে তব ফুলবন মলয়, ভ্রমর, চাঁদের কিরণ, — তেমনি আমিও আসি অকারণ অপরূপ উন্মাদ।। তোমার হৃদয়-শূন্যে জ্বলিছে কত রবি শশী তারা, তারি মাঝে আমি ধূমকেতু সম এসেছিনু পথহারা। তবু জানি প্রিয় একদা নিশীথে মনে পড়ে যাবে আমারে চকিতে, সহসা জাগিবে উৎসব-গীতে সকরুণ অবসাদ।।