চলে কুস্মি শাড়ি পরি'
বাণী
চলে কুস্মি শাড়ি পরি' বসন্তের পরী নবীনা কিশোরী হেসে হেসে। হেলিয়া দুলিয়া সমীরণে ভেসে ভেসে।। রঙ্গীলা রঙ্গে নৃত্য-ভঙ্গে চলিছে চপলা এলোকেশে। পাপিয়া 'পিয়া পিয়া' ডাকে শাখে তাহারে ভালোবেসে।। মদির চপল বায়, অঞ্চল উড়ে যায়, সে বৈকালি সুর যেন চৈতী বেলাশেষে।। মনে সে নেশা লাগায়, বনে সে আঁখির ইঙ্গিতে ফুল ফোটায়। বেনুবনে তারি বাঁশি বাজে, তারি নাম গুঞ্জরে ভ্রমর তার ঝির্ঝির্ মিরমির বাজে মঞ্জির নাচের আবেশে তার ঝুমুর ঝুমুর নূপুর-ধ্বনি হাওয়াতে মেশে।।
দূর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে
বাণী
দূর আজানের মধুর ধ্বনি বাজে বাজে মসজিদেরই মিনারে। এ কী খুশির অধীর তরঙ্গ উঠলো জেগে’ প্রাণের কিনারে।। মনে জাগে হাজার বছর আগে ডাকিত বেলাল এমনি অনুরাগে, তাঁর খোশ এলেহান, মাতাইত প্রাণ গলাইত পাষাণ ভাসাইত মদিনারে প্রেমে ভাসাইত মদিনারে।। তোরা ভোল গৃহকাজ, ওরে মুসলিম থাম চল খোদার রাহে, শোন, ডাকিছে ইমাম। মেখে’ দুনিয়ারই খা, বৃথা রহিলি না-পাক, চল মসজিদে তুই, শোন মোয়াজ্জিনের ডাক, তোর জনম যাবে বিফলে যে ভাই এই ইবাদতে বিনা রে।।
তুমি কে গো কে
বাণী
তুমি কে গো (কে কে কে) তুমি মোদের বন-দেবতা। আমরা বনশ্রী, তোমার পূজারিণী ধ্যান-রতা — হে বন-দেবতা।। ১মা : আমি মালতী মুকুল ২য় : আমি ব্যাকুলা বকুল ৩য়া, ৪র্থা, ৫মা : মোরা গণহীনা অশোক-পলাশ-শিমুল। ৬ষ্ঠা : আমি (আঁখি) জলের কমল ৭মা : আমি মাধবীলতা।। ৮মা : আমি গিরি-মল্লিকা ৯মা : আমি হাস্নুহানা ১০মা : আমি ছোট ডুমো ফুল, রই চির-অজানা ১১শী : আমি ঝর্নাধারা, কেঁদে কেঁদে ব’য়ে যাই। ১২শী : আমি দিনের ভাদ্র-বৌ, চাঁদের কুমুদ ১৩শী : আমি পাখির গান, বনভূমির কথা।।
নাটক : ‘মধুমালা’