বাণী

কথার কুসুমে গাঁথা গানের মালিকা কার।
ভেসে এসে হতে চায় গো আমার গলার হার।।
		আমি তারে নাহি জানি
		তার সুরের সূত্রখানি,
তবু বিজড়িত হয় কেন গো, আমার কঙ্কনে বারবার।।
তার সুরের তুলির পরশে, ওঠে আমার ভুবন রাঙ্গি’,
কোন বিস্মৃত জনমের যেন কত স্মৃতি ওঠে জাগি’।
		আমার রাতের নিদে
		তার সুর এসে প্রাণে বিঁধে,
যার সুর এত চেনা, কবে দেখা পাবো সেই অচেনার।।

বাণী

কিশোরী সাধিকা রাধিকা শ্রীমতী।
চির-কিশোর আরাধিকা শ্রীমতী।।
	কমলা গোলোকে
	গোপিনী ভুলোকে,
সেবিকা প্রকৃতি পরমা তপতী।।
	শ্যাম ভুবন কালো
	রাই অরুণ আলো,
হরি পূজারিণী প্রেম মূর্তিমতী।।
	ব্রজধাম বাসিনী
	লীলা বিলাসিনী,
শ্যাম নাম ভাষিণী বিরহ ভারতী।।
	শ্যাম মেঘ গলে
	রাই বিজলি দোলে,
শ্যাম পত্র কোলে রাই ফুল আরতি।।
	লয়ে যাঁহার নাম
	হরি হন রাধা শ্যাম,
সুর নর অবিরাম করে যাঁর প্রণতি।।

বাণী

সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায় তুমি ফিরিলে না ঘরে,
আঁধার ভবন জ্বলেনি প্রদীপ মন যে কেমন করে।।
	উঠানে শূন্য কলসির কাছে
	সারাদিন ধরে ঝ’রে প’ড়ে আছে
তোমার দোপাটি গাঁদা ফুলগুলি যেন অভিমান ভরে।।
বাসন্তী রাঙা শাড়িখানি তব ধূলায় লুটায় কেঁদে,
তোমার কেশের কাঁটাগুলি বুকে স্মৃতির সমান বেঁধে।
	যাইনি বাহিরে আজ সারাদিন
	ঝরিছে বাদল শ্রান্তিবিহীন
পিয়া পিয়া ব’লে ডাকিছে পাপিয়া এ বুকের পিঞ্জরে।।

বাণী

যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল (প্রিয়)
আমার চোখের চেয়ে চেয়ো একটু চোখের ভুল (প্রিয়)।।
অধর –কোণের ঈয়ৎ হাসির ক্ষণিক আলোকে
রাঙ্গিয়ে যেয়ো আমার হিয়ার গহন কালোকে
যেয়ো না গো মুখ ফিরিয়ে দুলিয়ে হীরের দুল।।
একটি কথা ক’য়ে যেয়ো, একটি নমস্কার,
সেই কথাটি গানের সুরে গাইব বারেবার
হাত ধ’রে মোর বন্ধু ব’লো একটু মনের ভুল।।

বাণী

অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া।
বহ্নি-রাগে দিগন্ত গেল রে রাঙিয়া॥
রুদ্র রোষে কি শঙ্কর উর্ধ্বের পানে
লক্ষ-ফণা ভুজঙ্গ-বিদ্যুৎ হানে
দীপ্ত তেজে অনন্ত-নাগের ঘুম ভাঙিয়া॥
লঙ্কা-দাহন হোমাগ্নি সাগ্নিক মন্ত্র
যজ্ঞ-ধূম বেদ-ওঙ্কার ছাইল অনন্ত।
খড়গ-পাণি শ্রীচন্ডী অরাজক মহীতে
দৈত্য নিশুম্ভ-শুম্ভে এলো বুঝি দহিতে,
বিশ্ব কাঁদে প্রেম-ভিক্ষু আনন্দ মাগিয়া॥