বল্লরি-ভুজ-বন্ধন খোলো
বাণী
বল্লরি-ভুজ-বন্ধন খোলো। অভিসার-নিশি অবসান হ’ল।। পান্ডুর চাঁদ হের অস্তাচলে জাগিয়া শ্রান্ত-তনু পড়েছে ঢ’লে, তার মল্লিকা১ মালা ম্লান বক্ষতলে — অভিমান-অবনত আঁখি তোলো।। উতল সমীর আমি নিমেষের২ ভুল, কুসুম ঝরাই কভু৩ ফোটাই মুকুল। আলোকে শুকায় মোর প্রেমের শিশির দিনের বিরহ আমি মিলন নিশির, হে প্রিয়, ভীরু এ স্বপন-বিলাসীর — অকরুণ প্রণয় ভোলো ভোলো।।
১. মিলনের, ২. ক্ষণিকের, ৩. আমি
লক্ষ্মী মাগো এস ঘরে
বাণী
লক্ষ্মী মাগো এস ঘরে সোনার ঝাঁপি লয়ে করে। কমল-বনের কমলা গো বিহর হৃদি-কমল পরে।। কোজাগরী-পূর্ণিমাতে দাঁড়াও আকাশ-আঙ্গিনাতে, মা গো, তোমার লক্ষ্মী শ্রী জোছনা-ধারায় পড়ুক ঝরে।। চঞ্চলা গো, এই ভবনে থাকো অচঞ্চলা হয়ে, দারিদ্র্য আর অভাব যত দূর হোক মা তোর উদয়ে। সুমঙ্গলা দুঃখ-হরা। অমৃত দাও পাত্র-ভরা, ঐশ্বর্য উপ্চে পড়ুক, হরি-প্রিয়া তোমার বরে।।
‘লক্ষ্মী-বন্দনা’
আসিলে এ ভাঙা ঘরে কে মোর রাঙা অতিথি
বাণী
আসিলে এ ভাঙা ঘরে কে মোর রাঙা অতিথি। হরষে বরিষে বারি শাওন-গগন তিতি'।। বকুল-বনের সাকি নটীন পুবালি হাওয়া বিলায় সুরভি-সুরা মাতায় কানন-বীথি।। তিতির শিখীর সাথে নোটন-কপোতী নাচে; ঝিঁঝির ঝিয়ারি গাহে ঝুমুর কাজরি-গীতি। হিঙুল হিজল-তলে ডাহুক পিছল-আঁখি, বধূর তমাল-চোখে ঘনায় নিশীথ-ভীতি। তিমির-ময়ুর আজি তারার পেখম খোলে জড়ায় গগন-গলে চাঁদের ষোড়শী তিথি।।
হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে
বাণী
হে প্রিয়! তোমার আমার মাঝে এ বিরহের পারাবার কেমনে হইব পার।। নিশীথের চখা-চখির মতন দুই কূলে থাকি’ কাঁদি দুই জন আসিল না দিন মোদের জীবনে অন্তহীন আঁধার।। সেধেছিনু বুঝি বাদ কাহার মিলনে সে কোন্ জনমে তাই মিটিল না সাধ। স্মৃতি তব ঝরা পালকের প্রায় লুটায় মনের বালুচরে, হায়। সে কোন্ প্রভাতে কোন্ নবলোকে মিলিব মোরা আবার।।