বাণী

পরাজিত হ’ল অপরাজিতার কাছে গোলাপের রূপ হায়।
পথের ধূলিতে ঢেকে দে গোলাপ-বন, আয় ঝোড়ো হাওয়া আয়।।
বসিল না মোর ময়ূর-সিংহাসনে বনের সে প্রজাপতি,
কোহিনূর ফেলে দেখিল পথের ফুলে সে-কোন্ প্রেমের জ্যোতি।
	হে প্রেম-ভিখারি! তোমার ধূলির পথে
	ডাক দিলে যদি চির-ভিখারিনী হ’তে,
মরণের ক্ষণে দুটি ফোঁটা আঁখি-জল সে যেন ভিক্ষা পায়।।

বাণী

(ওগো)আমার খোকার মাসি শ্রীঅমুকবালা দাসী,
মোরে দেখেই সর্বনাশী ফেলে ফিক্ করে সে হাসি।।
	তার চোখ প্রায় পুটী মৎসই
	তার চেহারাও নয় জুৎসই
আবার(তার) আছে তিনটি বৎসই কিন্তু সে স্বাস্থ্যে খোদার খাসি।।
	সে খায় বটে পান-জর্দা
	তার চেহারাও মর্দ্দা-মর্দা
তবু বুঝলে কি না বড়দা আমি তারেই ভালোবাসি।।
শালী অর্থাৎ কি না বউ সে পনর আনাই,
তারে দিয়ে একটা ‌‘আনি’ দাদা ঘরে যদি আনি
সে বউ হয় ষোল আনাই।কি বল দাদা এ্যা?
আমি তারই লাগি জেলে, মরবো ঘানি ঠেলে,
তারে নিয়ে ভাগ্‌বো রেলে, না হয় পর্‌বো গলায় ফাঁসি।।

বাণী

		তোমার নাম নিয়ে খোদা আমি যে কাজ করি।
		আমার তা’তে নাই লাজ ভয় মরি কিম্বা তরি।।
		আমার ভালো মন্দ তুমি খোদা জানো,
(তাই)	দুখের শমন দিয়ে এমন বুকের কাছে টানো, (খোদা)
(আমি)	দুঃখ দেখে তোমার থেকে না যেন যাই সরি’।।
		সুখ-দুঃখ যশ নিন্দা মান ও অপমান
		আমার ব’লে নাইতো কিছু সবই তোমার দান,
(যত)		বাইরে আঘাত আসে তত তোমায় যেন ধরি।।
(এই)		ফেরেববাজীর দনিয়া ভরা কেবল মায়া ফাঁকি
(তাই)	তোমার নামের বাতি জ্বেলে বুকের কাছে রাখি,
		ঐ নামের আঁচের আমি যেন মোমের মত ঝরি।
খোদা		তোমার প্রেমে গ’লে যেন মোমের মত ঝরি।।

বাণী

ওরে	আজ ভারতের নব যাত্রা পথের
	বাঁশি বাজলো, বাজলো বাঁশি
	ফেলে তরুর ছায়া ভুলে ঘরের মায়া
	এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥
	তারা আকাশকে আজ চাহে লুটে নিতে
	তারা মন্থর ধরায় চাহে দুলিয়ে দিতে
	তারা তরুণ তরুণ প্রাণ জাগায় মৃতে
	সাহস জাগায় চিতে তাদের অট্টহাসি॥
	মোরা প্রাচীরের পরে রে প্রাচীর তুলে
	ভাই হয়ে ভাইকে হায় ছিলাম ভুলে।
	আজ ভেঙে প্রাচীর হল ঘরের বাহির
	একই অঙ্গনে দাঁড়ালো উন্নত শির
	এলো মুক্ত গগন তলে প্রাণ পিয়াসি
	এলো তরুণ পথিক ছুটে রাশি রাশি॥

বাণী

বেলা প’ড়ে এলো জল্‌কে সই চল্ চল্
ডাকিছে ওই তটিনী ছল্‌ ছল্‌।।
বকের সারিকার মালিকা দুলিয়ে
আসিছে সাঁঝ ঐ চিকুর এলিয়ে
আকাশের কোলে শিশু শশীরে ঐ
দেখিতে আসিছে তারকা দলে দল।।
কমলিনীর মলিন মুখ
হাসে জলে শাপলা শালুক
বনের পথে হলো আঁধার
জোনাকী ঐ চমকে ঝলমল্‌।।

বাণী

ভবনে আসিল অতিথি সুদূর।
সহসা উঠিল বাজি রুমু রুমু ঝুম
	নীরব অঙ্গনে চঞ্চল নূপুর।।
মুহু-মুহু বন-কুহু বোলে
দোয়েল ধ্যান ভুলি চমকি আঁখি খোলে
	কে গো কে বলে বন-ময়ূর।।
দগ্ধ হিয়ার জ্বালা জুড়ায়ে
সজল মেঘের শীতল চন্দন কে দিল বুলায়ে?
বকুল কেয়া বীথি হ'তে
ছুটে এলো সমীরণ চঞ্চল স্রোতে
চাঁদিনী নিশীথের আবেশ আনে
	মিলন তন্দ্রাতুর অলস-দুপুর।।