কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে
বাণী
কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে হেসে নদীকুলে এলো হেলে দুলে! নূপুর রিনিকি ঝিনি বাজে রে পথ-মাঝে রে, বাজে রে।। দূরে মন উদাসি বাজে বাঁশের বাঁশি, বকুল-শাখে পাপিয়া ডাকে — হেরিয়া বুঝি এই বন-বালিকায় রঙিন সাজে রে, বাজে রে।। এ বুঝি নদীর কেউ তাই অধীর হলো জলে ঢেউ। চন্দন-মাখা যেন চাঁদের পুতলি, যত চলে তত রূপ ওঠে উথলি মেঘে লুকালো পরী লাজে রে, বাজে রে পথ-মাঝে রে, বাজে রে।।
ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে
বাণী
ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে কিশোরী কিশোর। দেখে দোউ এক এককে মুখকো চন্দ্রমা চকোর, য্যায়সে চন্দ্রমা চকোর হোকে প্রেম নেশা বিভোর।। মেঘ মৃদং বাজে ওহি ঝুলনাকে ছন্দ্ মে রিম্ঝিম্ বাদর বরসে আনন্দ্ মে, দেখনে যুগল শ্রীমুখ চন্দকো গগন ঘেরি ঘনঘটা ঘোর।। নব নীর বরসনে কো চাতকিনী চায় ওয়সে গোপী ঘনশ্যাম দেখ তৃষ্ণা মিটায়, সব দেবদেবী বন্দনা গীত গায় — ঝরে বরসামে ত্রিভুবনকি প্রেমাশ্রুলোর।।
চল্ চল্ চল্
বাণী
চল্ চল্ চল্। চল্ চল্ চল্। ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল নিম্নে উতলা ধরণী-তল অরুণ প্রাতের তরুণ দল চল্ রে চল্ রে চল্ চল্ চল্ চল্।। ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত আমরা আনিব রাঙা প্রভাত আমরা টুটাব তিমির রাত বাধার বিন্ধ্যাচল। নব নবীনের গাহিয়া গান সজীব করিব মহাশ্মাশান আমরা দানিব নূতন প্রাণ বাহুতে নবীন বল। চল্ রে নও জোয়ান শোন্ রে পাতিয়া কান মৃত্যু-তোরণ-দুয়ারে-দুয়ারে জীবনের আহবান। ভাঙ্ রে ভাঙ্ আগল চল্ রে চল্ রে চল্ চল্ চল্ চল্।।
বরষ গেল আশ্বিন এলো উমা এলো কই
বাণী
বরষ গেল, আশ্বিন এলো, উমা এলো কই শূন্য ঘরে কেমন করে পরান বেঁধে রই।। ও গিরিরাজ! সবার মেয়ে মায়ের কোলে এলো ধেয়ে, আমারই ঘর রইল আঁধার, আমি কি মা নই? নাই শাশুড়ি ননদ উমার, আদর করার নাই (কেহ) মা অনাদরে কালী সেজে বেড়ায় নাকি তাই। মোর গৌরী বড় অভিমানী, সে বুঝবে না মার প্রাণ-পোড়ানী; আনতে তারে সাধতে হবে তার যে স্বভাব ঐ।।