বাণী

অনেক মানিক আছে শ্যামা তোর কালোরূপ-সাগরজলে
আমার বুকের মানিক কেড়ে রাখ্‌লি কোথায় দে মা ব’লে।।
কত লতার কোল ক’রে খালি, ফুলের অর্ঘ্য১ নিস্‌ মা কালি
(মোর) সারা বনের একটি কুসুম আছে কি ঐ চরণ-তলে।।
একখানি মুখ খুঁজি মাগো তোর কণ্ঠের মুন্ডমালায়
একটিবার মা সে মুখ দেখা, আবার কেড়ে পরিস্‌ গলায়।
			(না হয়) রাখিস্‌ পূজার থালায়।
অনন্ত তোর রূপের মাঝে, সে কোন্‌ রূপে মা কোথায় রাজে?
মোর নয়ন-তারা তারা হয়ে দোলে কি তোর বুকের কোলে।।

১. ফুলের অর্ঘ্য-এর পরিবর্তে কবি ‘পূজাঞ্জলি’ শব্দটিও ব্যবহার করেছেন।

বাণী

খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
	শূন্যে মহা আকাশে
	মগ্ন লীলা বিলাসে,
ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে।।
তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
	নিত্য তুমি, হে উদার
	সুখে দুখে অবিকার,
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে।।

বাণী

ওরে	শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা বনের বিধবা মেয়ে,
	হারানো কাহারে খুঁজিস নিশীথ-আকাশের পানে চেয়ে।।
	ক্ষীণ তনুলতা বেদনা-মলিন,
	উদাস মূরতি ভূষণবিহীন,
	তোরে হেরি ঝরে কুসুম-অশ্রু বনের কপোল বেয়ে।।
	তুইলুকায়ে কাঁদিস রজনী জাগিস সবাই ঘুমায় যবে,
	বিধাতারে যেন বলিস — দেবতা আমারে লইবে কবে।
	করুণ শুভ্র ভালোবাসা তোর
	সুরভি ছড়ায় সারা নিশি ভোর,
	প্রভাত বেলায় লুটাস ধূলায় যেন-কারে নাহি পেয়ে।।

বাণী

রিম্‌ ঝিম্‌ রিম্‌ঝিম্‌ ঝিম্‌ ঘন দেয়া বরষে।
কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে।।
কদম তমাল ডালে দোলনা দোলে
কুহু পাপিয়া ময়ূর বোলে,
মনের বনের মুকুল খোলে
নট-শ্যাম সুন্দর মেঘ পরশে।।
হৃদয়-যমুনা আজ কূল জানে না গো,
মনের রাধা আজ বাধা মানে না গো।
ডাকিছে ঘর-ছাড়া ঝড়ের বাঁশি
অশনি আঘাত হানে দুয়ারে আসি’,
গরজাক গুরুজন ভবনবাসী —
আমরা বাহিরে যাব ঘনশ্যাম দরশে।।

নাটকঃ ‌‘অর্জুন বিজয়’

বাণী

আরো কত দূর?
কখন শুনিব তব বাঁশরির সুর?
দেবে কখন ধরা হব স্বয়ম্ভরা
কাঁদাতে জান শুধু তুমি নিঠুর।।

বাণী

পুরুষ	:	আজি মিলন বাসর প্রিয়া হের মধুমাধবী নিশা।
স্ত্রী	:	কত জনম অভিসারে শেষে প্রিয় পেয়েছি তব দিশা।।
পুরুষ	:	সহকার-তরু হের দোলে মালতী লতায় লয়ে বুকে,
স্ত্রী	:	মাধবী কাঁকন পরি' দেওদার তরু দোলে সুখে।
পুরুষ	:	হায় প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে
স্ত্রী	:	প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে
পুরুষ	:	হিয়া আবেশে পুলক মিশা
স্ত্রী	:	হিয়া আবেশ পুলক মিশা।।
পুরুষ	:	শরাব রঙের শাড়ি পরেছে চাঁদনি রাতি
স্ত্রী	:	চাঁদে ও তারাতে আজি মিলনের মাতামাতি
পুরুষ	:	হের জোয়া উতলা সিন্ধু পূর্ণিমা চাঁদের পেয়ে'
স্ত্রী	:	কোন দূর অতীত স্মৃতি মম প্রাণে-মনে ওঠে ছেয়ে।
পুরুষ	:	আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে
স্ত্রী	:	আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে
পুরুষ	:	প্রিয়া মিটিবে মরু-তৃষা
স্ত্রী	:	প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।।
দ্বৈত	:	প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।।