বাণী

ও গিন্নী বদন তোল একটু হানো নয়না।
আমি জুয়েলারীর দোকান হব গায়ে হব গয়না।।
(তোমার) সিঁথের হব সিঁথিপাটি কেশে হেয়ার পিন
চিরুনি হয়ে খোপায় বিঁধে রইব চিরদিন।
টায়রা ঝাপটা লেসপিন তাহলে মন্দ হয় না।।
টানা টিকলি কাঁটা হব ফুলের নয় গো চুলের
টাপ মাকড়ি দুল হব গো একটু বেশি ঝুলের।
কানের উপর কান হব গো নাকছাবি ঐ নাকের,
কাঁচ পোকা আর খয়েরি টিপ হব ভুরূর ফাঁকে,
নোলক বেসর তাও হব যা আজকাল লোক ছোঁয় না।।
গলার হব হার নেকলেস গজমতির মালা,
হাতে হব বাজু বন্দ, পৈঁচী চুড়ি বালা।
তাগা, কেয়ুর, রুলি, শাঁখা, জসম, আংটি, খাড়ু
তাবিজ হব নোয়া হব অনন্ত সূচারু।
ভুলে গেছি — নথ নৈলে গিন্নীর মান রয় না।।
নূপুর তোড়া হ্যাদে দেখো ভুলেই দেছি দেখি
ঝুমকো ঢেঁড়ি চিকের কথা মাদুলাও বাকি,
জাল পাটরি কি হই আর কী ফেলে রাখি
বাদ কি গেল দাও লিস্টি মুখ ভার আর সয় না।।

‘গিন্নীর কাছে গয়নার ফর্দ’

বাণী

আমি 	গিরিধারী সাথে মিলিতে যাইব, সুন্দর সাজে মোরে সাজায়ে দে।
	লাখ যুগের পরে শুভদিন এলো, মেহেদী রঙে হাত রাঙায়ে দে।।
	চন্দন টিপ, গলে মালতীর মালা, নয়নে কাজল পরায়ে দে,
	অধর রাঙায়ে দে তাম্বুল রাগে, চরণে আল্‌তা মাখায়ে দে।।
	প্রেম নীল শাড়ি প্রীতির আঙিনা, অনুরাগ ভূষণে বধূ সাজিয়া
	হৃদয়-বাসরে মিলিব দোঁহে — কুসুমের শেজ সখি বিছায়ে দে।।

বাণী

		দুখের সাহারা পার হয়ে আমি চলেছি ক্বাবার পানে।
		পড়িব নামাজ মা'রফাতের আরফাত ময়দানে।।
		খোদার ঘরের দিদার পাইব, হজ্জের পথের জ্বালা জুড়াইব,
(মোর)	মুর্শিদ হয়ে হজরত পথ দেখান সুদূর পানে।।
		রোজা রাখা মোর সফল হইবে, পাবো পিয়াসার পানি;
		আবে জম্‌জম্‌ তৌহিদ পিয়ে ঘুচাব পথের গ্লানি।
		আল্লার ঘর তওয়াফ করিয়া কাঁদিব সেথায় পরান ভরিয়া,
		ফিরিব না আর, কোরবানি দেবো এই জান সেইখানে।।

বাণী

শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া শঙ্করী শিবানী।
বালিকা-সম লীলাময়ী নীল-উৎপল-পাণি।।
	সজল-কাজল-ঝর্না
	মুকত বেণী অপর্ণা,
তিমির বিভাবরী স্নিগ্ধা শ্যামা কালিকা ভবানী।।
প্রলয় ছন্দময়ী চন্ডী শব্দ-নূপুর-চরণা,
শাম্ভবী শিব-সীমন্তিনী শঙ্করাভরণা।
	অম্বিকা দুঃখহারিণী
	শরণাগত-তারিণী,
জগদ্ধাত্রী শান্তিদাত্রী প্রসীদ মা ঈশানী।।

বাণী

কে এলো ওরে কে এলো শুকানো মানস-মাধবী-কুঞ্জে।
জানাইতে মোরে কার আগমনী চরণে নূপুর-মুঞ্জে।।
	তারি সাথে জাগে নব কিশলয়
	ধীরি ধীরি ধীরি বহিল মলয়,
ফোটা ফুলে ফুলে সুখে দুলে দুলে অলিকুল মধুগুঞ্জে।।
	গেছে কত যুগ-যুগান্ত,
	এলো ফিরে ফিরে হৃদয়প্রান্ত।
	পিক সুকণ্ঠে গায় আবাহন
	বন-শোভা-গণ করিছে বরণ,
মিলনের তরে খুঁজিছে পিয়ারে ফুটিল কুসুম কুঞ্জে কুঞ্জে।।

বাণী

আমার হৃদয় মন্দিরে ঘুমায় গিরিধারী।
জাগে আমার জাগ্রত প্রেম দুয়ারে তার দ্বারী ॥
	কানু আমার বুকে ঘুমায় -
	ভক্তি জেগে চামর ঝুলায়,
শিয়রে দীপ আমার আঁখি, প্রীতি দাসী তারি ॥
চোরের মত মোর গুরুজন ঘুরুক কাছে কাছে -
আমি তাদের ভয় করিনে, (আমার) প্রেম যে জেগে আছে।
	আধেক রাতে নিরালাতে
	জাগবে হরি, ধরবে হাতে,
ওগো ধ্যান করে গো সেই আশাতে এ প্রাণ রাধা-প্যারী ॥