বাণী

জাগো রূপের কুমার, কেন অলস ঘুমে কাটাও রাতি।
হের দুয়ারে দাঁড়ায়ে বধূর সাজে তব জাগার সাথী।।
আসে বারেবারে সে যে অভিসারে
তার বুকের ভাষা মুখে কইতে নারে,
মোরা বাসর ঘরে এলাম জ্বাল্‌তে বাতি।।

নৃত্য-সঙ্গীত, নাটক : সর্বহারা

বাণী

চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে।
দেখ্‌ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥
তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা;
(বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥
জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি
চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী।
কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী;
শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥

বাণী

(হরি) নাচত নন্দদুলাল
শ্যামল সুন্দর মদন মনোহর
নওল কিশোর কানাইয়া গোপাল।
নাচত গিরিধারী ময়ূর মুকুট পরি
দিকে দিকে ছন্দ আনন্দ পড়িছে ঝরি
নাচে গোপী সখা বংশীওয়ালা হরি
রুনুঝুনু বাজওত ঘুঙ্গুর তাল।

নাটিকাঃ ‘মীরাবাঈ’

বাণী

এসো এসো বন ঝরনা উচ্ছল-চল-চরণা।
সর্পিল ভঙ্গে লুটায়ে তরঙ্গে ফেন-শুভ্র-ওড়না।।
	পাষাণ জাগায়ে এসো নির্ঝরিণী
	এসো প্রাণ-চঞ্চলা জল-হরিণী
মরু-তৃষিতের বুকে ঢালো ধারা জল-শ্যাম মেঘ-বরণা।।
এসো বুনো পথ বেয়ে অকারণ গান গেয়ে,
গভীর অরণ্যের মৌনব্রত ভেঙে ভয়হীন পাহাড়ি মেয়ে।
	নৃত্য পরা পায়ে ছন্দ আনো
	আনন্দ আনো মৃত প্রাণ জাগানো,
অনাবিল হাসির ঝরাফুল ছড়ায়ে এসো মঞ্জুলা মনোহরণা।।

বাণী

আবহায়াতের পানি দাও, মরি পিপাসায়
শরণ নিলাম নবীজির মোবারক পা’য়।।
ভিখারিরে ফিরাবে কি শূন্য হাতে,
দয়ার সাগর তুমি যে মরু সাহারায়।।
অন্ধ আমি আঁধারে মরি ঘুরিয়া,
দেখাবে না-কি মোরে পথ, এই নিরাশায়।।
যে-মধু পিয়ে রহে না ক্ষুধা তৃষ্ণা,
মরার আগে সেই মধু দিও গো আমায়।।

বাণী

আনো আনো অমৃত বারি।
পিপাসিত চিত্তের তৃষ্ণা নিবারি।।
আনো নন্দন হতে পারিজাত-কেশর
তীর্থ-সলিল আনো ভরি’ মঙ্গল-হেম-ঝারি।।
প্রখর সূর্যকরে দহিছে দিগন্তর,
মন্দাকিনী-ধারা সঞ্জীবনী আনো নারী।।