বাণী

এসো 	নওল কিশোর এসো এসো, লুকায়ে রাখিব আঁখিতে মম।
		আমার আঁখির ঝিনুকে বন্দী রহিবে মুকুতা সম।।
			তুমি ছাড়া আর এই পৃথিবীতে
			এ আঁখি কারেও পাবে না দেখিতে,
		তুমিও আমারে ছাড়া আর কারেও হেরিবে না প্রিয়তম।।
		লুকায়ে রাখিব ফণিনী যেমন মানিক লুকায়ে রাখে,
		ঘিরিয়া থাকিব দামিনী যেমন শ্যাম মেঘ ঘিরে থাকে।
			মেঘ হয়ে আমি হে চাঁদ তোমায়
			আবরি’ রাখিব আঁখির পাতায়,
		নিশীথে জাগিয়া কাঁদিব দু’জন প্রিয় হে, চির জনম।।

বাণী

(মা)		আয় মুক্তকেশী আয়
(মা)		বিনোদ-বেণী বোঁধ দোব এলোচুলে।
		প্রভাত রবির রাঙা জবা (মা) দুলিয়ে দোব বেণী মূলে॥
		মেখে শ্মশান ভস্ম কালি,
		ঢাকিস্ কেন রূপের ডালি
		তোর অঙ্গ ধুতে গঙ্গাবারি আনব শিবের জটা খুলে॥
		দেব না আর শ্মশান যেতে, সহস্রারে রাখব ধ’রে।
		খেলে সেথায় বেড়াবি মা রামধনু রং শাড়ি প’রে।
		ক্ষয় হলো চাঁদ কেঁদে কেঁদে
(তারে)	দেব মা তোর খোঁপায় বেঁধে
		মোর জীবন মরণ বিল্ব জবা দিব মা তোর পায়ে তুলে॥

বাণী

ঝুলন ঝুলায়ে ঝাউ ঝক্‌ ঝোরে, দেখো সখি চম্পা লচ্‌কে
	বাদরা গরজে দামিনী দমকে
আও বৃজকি কোঙারী ওড়ে নীল সাড়ি,
	নীল কমল-কলিকে পহনে ঝুমকে।।
হায়রে ধান কি লও মে হো বালি
ওড়নী রাঙাও সতরঙ্গী আলি,
ঝুলা ঝুলো ডালি ডালি।
আও প্রেম কোঙারী মন ভাও,
প্যারে প্যারে সুরমে শাওনী সুনাও।
রিমঝিম রিমঝিম পড়তে কোয়ারে
সুন্‌ পিয়া পিয়া কহে মুরলী পুকারে,
	ওহি বোলী সে হিরদয় খটকে।।

বাণী

ফিরে ফিরে কেন তারই স্মৃতি
মোরে কাঁদায় নিতি যে ফিরিবে না আর।
ফিরায়েছি যা’য় কাঁদাইয়া হায়
সে কেন কাঁদায় মোরে বারেবার।।
তারই দেওয়া ফুলমালা, যারে দলিয়াছি পায়
সেই ছিন্নমালা কুড়ায়ে নিরালা আজি রাখি হিয়ায়।
বারে বারে ডাকি প্রিয় নাম ধ’রে তা’র।।
হানি’ অবহেলা যারে দিয়েছি বিদায়
আজি তারি স্মৃতি, সে কোথায় সে কোথায়।
জ্বালি’ নয়ন-প্রদীপ জাগি বাতায়নে
নিশি ভোর হয়ে যায় বৃথা জাগরণে
আজি স্বর্গ শূন্য মোর তারি বিহনে
কাঁদি আকাশ বাতাস মোর করে হাহাকার।।

বাণী

(তোমায়)		যেমন ক’রে ডেকেছিল আরব মরুভূমি।
		ওগো আমার নবী প্রিয় আল্ আরবি —
		তেমনি ক’রে ডাকি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
		যেমন	কেঁদে’ দজলা ফোরাত নদী
			ডেকেছিল নিরবধি,
		হে মোর মরুচারী নবুয়তধারী!
		তেমনি ক’রে কাঁদি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
		(যেমন)	মদিনা আর হেরা পাহাড়
			জেগেছিল আশায় তোমার,
		হে হজরত মম, হে মোর প্রিয়তম!
		তেমনি ক’রে জাগি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
			মজলুমেরা কাবা ঘরে
			কেঁদেছিল যেমন ক’রে,
		হে আমিনা-লালা, হে মোর কম্‌লিওয়ালা!
		তেমনি ক’রে চাহি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।

বাণী

চঞ্চল শ্যামল এলো গগনে।
নয়ন-পলকে বিজলি ঝলকে চাঁচর অলক ওড়ে পবনে।।
		রিম্‌ঝিম্‌ বৃষ্টির নূপুর বোলে
		মৃদঙ্গ বাজে গুরু গম্ভীর রোলে;
হেরি’ সেই নৃত্য ধরার চিত্ত ডুবু ডুবু বরিষার প্রেম-প্লাবনে।।
		উদাসী বেণু তার অশান্ত বায়ে
		বাজে রহি’ রহি’ দূর বনছায়ে;
আকাশে অনুরাগে ইন্দ্রধনু জাগে ভাবের বন্যা বহে বৃন্দাবনে।।