বাণী

আজি নতুন এ চাঁদের তিথিতে
কোন্ অতিথি এলো ফুল-বীথিতে॥
যদি বেদনা পায় বঁধু পথ চলিতে
তাই চেয়েছি বনপথ ফুল কলিতে
জানি ভাল জান হে বঁধু ফুল দলিতে
এসো বঁধু সুমধুর প্রীতিতে॥
এসো মনের মন্দিরে দেবতা আমার
লহ প্রেমের চন্দন আঁখি জলহার
আজি সফল করো সাধ আমার পূজার
চির জনম রহ মোর স্মৃতিতে॥

বাণী

অরুণ-রাঙা গোলাপ-কলি
	কে নিবি সহেলি আয়।
গালে যার গোলাপী আভা
	এ ফুল-কলি তারে চায়।।
ডালির ফুল যে শুকায়ে যায়
কোথায় লায়লী, শিরী কোথায়
কোথায় প্রেমিক বিরহী মজনু
	এ ফুল দেব কাহার পায়।।
পূর্ণ চাঁদের এমন তিথি
ফুল-বিলাসী কই অতিথি
বুলবুলি বিনে এ গুল্‌ যে
	অভিমানে মুরছায়।।

বাণী

আয় সবে ভাই বোন
আয় সবে আয় শোন্ 
	পদধূলি শিরে লয়ে মা’র।
মা’র বড় কেহ নাই
কেহ নাই, কেহ নাই,
	নত করি’ বল সবে — ‘মা আমার! মা আমার!’

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘মাতৃস্তোত্র’

বাণী

ঘুম আয় ঘুম।
নিশুতি দুপুর নিশীথ নিঝুম।।
টুলটুল ঝিঙে ফুল ঘুমে ঝিমায়,
ঝুমকো লতায় ঝিঁঝিঁ আলসে ঘুমায়,
খোকনের চোখে দেয় ঘুমপরী চুম্।।

নাটিকা : ‘জুজুবুড়ির ভয়’

বাণী

ও কে উদাসী আমায় হায়
ডাকে আয় আয়
	গোধূলি-বেলায় বাজায়ে বাঁশরি।
তা’র পাহাড়ি সুরে
মোর নয়ন ঝুরে
	মম কুল-লাজ গৃহ-কাজ যাই পাশরি’।।
তা’র সুরের মায়ায় আকাশ ঝিমায়,
	চাঁদের চোখে তিমির ঘনায় —
তা’র বিরহে মধুর মোহে জীবন মরণ পলকে বিসরি।।

বাণী

	নাচের নেশার ঘোর লেগেছে নয়ন পড়ে ঢু’লে (লো)।
	বুনোফুল পড়লো ঝ’রে নাচের ঘোরে
				দোলন-খোঁপা খুলে (লো)।।
	শুনে এই মাদল-বাজা
	নাচে চাঁদ রাতের রাজা নাচে লো নাচে —
	শালুকের কাঁকাল ধ’রে
	তাল-পুকুরের জলে হে’লে দু’লে (লো)।।
	আঁউরে গেল ঝুম্‌কো জবা লেগে গরম গালের ছোঁওয়া
	বাঁশি শুনে ঘুলায় মনে কয়লা-খাদের ধোঁওয়া (লো)।
সই	নাচ ফুরালে ফিরে’ ঘরে,
	রাত কাটাব কেমন ক’রে
	পড়বে মনে বাঁশুরিয়ার চোখ দু’টি টুলটুলে (লো)।।