গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল
বাণী
গিরিধারী গোপাল ব্রজ গোপ দুলাল অপরূপ ঘনশ্যাম নব তরুণ তমাল॥ বিশাখার পটে আঁকা মধুর নিরুপম কান্ত ললিতার শ্রীরাধা প্রীতম রুক্মিণী-পতি হরি যাদব ভূপাল॥ যশোদার স্নেহডোরে বাঁধা ননীচোর নন্দের নয়ন-আনন্দ-কিশোর শ্রীদাম-সুদাম-সখা গোঠের রাখাল॥ কংস-নিসূদন কৃষ্ণ মথুরাপতি গীতা উদ্গাতা পার্থসারথি পূর্ণ ভগবান বিরাট বিশাল॥
ভোরে স্বপনে কে তুমি দিয়ে দেখা
বাণী
ভোরে স্বপনে কে তুমি দিয়ে দেখা, লুকালে সহসা মোর তপনের রাঙা কিরণ যেন ঘিরিল তমসা।। না ফুটিতে মোর কথার কুড়িঁ চপল বুলবুলি গেলে উড়ি' গেলে ভাসিয়া ভোরের সুর যেন বিষাদ অলসা।। জেগে দেখি হায়, ঝরা ফুলে আছে ছেয়ে তোমার পথতল, ওগো অতিথি, কাদিছেঁ বনভূমি ছড়ায়ে ফুল দল! মুখর আমার গানের পাখি নীরব হলো হায় বারেক ডাকি' যেন ফাগুনের জোছনা-বর্ষিত রাতে নামিল বরষা।।
মাকে আমার দেখেছে যে
বাণী
মাকে আমার দেখেছে যে ভাইকে সে কি ঘৃণা করে। ত্রিলোক-বাসী প্রিয় তাহার পরান কাঁদে সবার তরে॥ নাই জাতি ভেদ উচ্চ-নীচের জ্ঞান তাহার কাছে সকলে সমান, দেখলে গুহক চন্ডালে সে রামের মত বক্ষে ধরে॥ মা আমাদের মহামায়া পরমা প্রকৃতি পিতা মোদের পরমাত্মা রে তাই সবার সাথে প্রীতি মোদের সবার সাথে প্রীতি। সন্তানে তাঁর ঘৃণা করে মাকে করে পূজা সে পূজা তার নেয় না কভু, নেয় না দশভূজা।১ (মোরা) এই ভেদ-জ্ঞান ভুলব যেদিন মা সেই দিন আসবে ঘরে॥
১. সে পূজা তার নেয় না চতুর্ভুজা, ওরে নেয় না দশভুজা
আমার হাতে কালি মুখে কালি
বাণী
আমার হাতে কালি মুখে কালি, মা আমার কালিমাখা মুখ দেখে মা পাড়ার লোকে হাসে খালি।। মোর লেখাপড়া হ’ল না মা, আমি ‘ম’ দেখিতেই দেখি শ্যামা, আমি ‘ক’ দেখতেই কালী ব’লে নাচি দিয়ে করতালি।। কালো আঁক দেখে মা ধারাপাতের ধারা নামে আঁখি পাতে, আমার বর্ণ পরিচয় হ’লো না মা তোর বর্ণ বিনা কালী। যা লিখিস মা বনের পাতায় সাগর জলে আকাশ খাতায়, আমি সে লেখা তো পড়তে পারি মূর্খ বলে দিক্ না গালি মা, লোকে মূর্খ ব’লে দিক্ না গালি।।