দীনের হতে দীন দুঃখী অধম যেথা থাকে
বাণী
দীনের হতে দীন দুঃখী অধম যেথা থাকে ভিখারিনী বেশে সেথা দেখেছি মোর মাকে মোর অন্নপূর্ণা মাকে॥ অহংকারের প্রদীপ নিয়ে স্বর্গে মাকে খুঁজি মা ফেরেন ধূলি পথে যখন ঘটা করে পূজি ঘুরে ঘুরে দূর আকাশে প্রণাম আমার ফিরে আসে যথায় আতুর সন্তানে মা কোল বাড়ায়ে ডাকে॥ নামতে নারি তাদের কাছে সবার নীচে যারা তাদের তরে আমার জগন্মাতা সর্বহারা। অপমানের পাতাল তলে লুকিয়ে যারা আছে তোর শ্রীচরণ রাজে সেথা নে মা তাদের কাছে আনন্দময় তোর ভুবনে আনব কবে বিশ্বজনে আমি দেখব জ্যোতির্ময়ী রূপে সেদিন তমসাকে আমার অন্নপূর্ণা মাকে॥
তুমি কি নিশীথ-চাঁদ ভাঙাতে ঘুম
বাণী
স্ত্রী : তুমি কি নিশীথ-চাঁদ ভাঙাতে ঘুম চুপি চুপি আসিলে বাতায়নে। পুরুষ : তুমি কি গো বন-দেবী পুষ্প-শোভিতা চেয়ে আছ কোন দূরে আনমনে।। স্ত্রী : তোমারে হেরিয়া ফোটে মালতী হেনা হে চির চেনা পুরুষ : সুদুর বনান্তে সমীরণ হেরি' তোমায় হ'লো অধীর পাপিয়া ডাকে বকুল বনে।। স্ত্রী : তব কলঙ্ক অধিক মধুর লাগে হে কলঙ্কী চাঁদ, তোমারে হেরিয়া যত সাধ জাগে প্রাণে জাগে তত অবসাদ। পুরুষ : তোমার ছায়া প'ড়ে মোর আননে কলঙ্কী নাম হলো মোর এই ভুবনে। উভয়ে : আকাশের চাঁদে কুমুদ ফুলে মিলন হ'লো ধরার ভুলে অশ্রুসায়রে সঙ্গোপনে।।
বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে
বাণী
বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে আকাশের তারা পৃথিবীর ফুল গণি বন্ধু ফুল পড়ে ঝরে,তারা যায় মরে (ফিরে) এলো না হৃদয়-মণি।। কত নদী পেল খুঁজিয়া সাগর আমিই পাই না তোমার খবর বন্ধু সকলেরি চাঁদ ওঠে রে আমারি চির আঁধার রজনী।। যমুনার জলও শুকায় রে বন্ধু আমার শুকায় না আঁখি-বারি এত কান্দন কাঁদিলে গোকূলে হতাম-ব্রজ-কুমারী বন্ধু হতাম রাধা প্যারী। মহা পারাবার তারও আছে পার আমার দুখের পার নাহি আর বন্ধু মণি না পাইনু বৃথায় পুষিনু কাল-বিরহের ফণি পুষিনু কাল-বিরহের ফণি।।
আনন্দ রে আনন্দ আনন্দ আনন্দ
বাণী
আনন্দ রে আনন্দ, আনন্দ আনন্দ, দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা ছড়িয়ে এলো আনন্দ। ঘরে ফেরার বাজল বাঁশি, বইছে বাতাস সুমন্দ॥ আমার মায়ের মুখে হাসি, শরত-আলোর কিরণরাশি, কমল বনে উঠছে ভাসি, মায়ের গায়ের সুগন্ধ॥ উঠলো বেজে দিগ্বিদিকে ছুটির মাদল মৃদঙ্গ, মনের আজি নাই ঠিকানা, যেন বনের কুরঙ্গ। দেশান্তরী ছেলেমেয়ে, মায়ের কোলে এলো ধেয়ে, শিশির নীরে এলো নেয়ে স্নিগ্ধ অকাল বসন্ত॥