হার মানি ননদিনী
বাণী
হার মানি ননদিনী মুখর মুখের বাণী শুনি তোর লজ্জাও লাজ সখি ভোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে দোলে।। পলকের চাহনিতে কে জানে কেমনে প্রাণে এলো এত মধু এত লাজ নয়নে বাহিরে নীরব কথার কুহু অন্তরে মুহুমুহু বোলে বোলে মুহু মুহু কুহু কুহু বোলে।। তোরি মত ছিনু সই বনের কুরঙ্গী মানি নাই কোনদিন লাজের ভ্রুভঙ্গি। মধুরা মুখরা ওলো! মিষ্টি মুখের তোর সব মধু খেয়েছে কি ঠাকুর জামাই চোর? তব অভিনব বাণী হিল্লোলে গুন্ঠন আপনি খোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে।।
নাটিকাঃ ‘প্রীতি উপহার’
বাজে মঞ্জুল মঞ্জির রিনিকি ঝিনি
বাণী
বাজে মঞ্জুল মঞ্জির রিনিকি ঝিনি নীর ভরণে চলে রাধা বিনোদিনী তার চঞ্চল নয়ন টলে টলমল যেন দু'টি ঝিনুকে ভরা সাগর জল।। ও সে আঁখি না পাখি গো রাই ইতি-উতি চায় কভু তমাল-বনে কভু কদম-তলায়। রাই শত ছলে ধীরে পথ চলে কভু কন্টক বেঁধে চরণে তবু যে কাঁটা-লতায় আঁচল জড়ায় বেণী খুলে যায় অকারণে। গিয়ে যমুনার তীরে চায় ফিরে ফিরে আনমনে ব'সে গণে ঢেউ চকিতে কলসি ভরি’লয় তার যেই মনে হয় আসে কেউ। হায় হায় কেউ আসে না “ভোলো অভিমান রাধারানী” বলি’ শ্যাম এসে সম্ভাষে না। রাই চলিতে পারে না পথ আর, বিরস বদন অলস চরণ শূন্য-কলসি লাগে ভার। বলি,কালা নাহি এলো যমুনা তো ছিল লইয়া শীতল কালো জল। কেন ডুবিয়া সে-কলে উঠিলি আবার কাঁদায়ে ভাসাতে ধরাতল।।
আ’ মেরে সঙ্গ আ
বাণী
আ’ মেরে সঙ্গ আ, মঙ্গল গা হিল্মিল্কে এয় বনমালী। আরমা ফের পুরে হো জাঁয়ে সারে দিল্কে এয় বনমালী॥ মুঝ্কো জাগানেওয়ালা, হো, জগ্মে তেরা উজালা তু মুঝ্কো ধূল সমঝ্কে, লে লে চরণ মে আপ্নে তুনে দিয়ে জ্বালায়ে বিরাণ মন্জিল্ কে এয় বনমালী॥ তু হামকো খাক্ ছানায়া, (আউর) ব্যাকুল আপনা বানায়া কহিঁ আউ না কহিঁ জাউ, আপনে আগে তুমকো পাউঁ খো জায়েঁ যুঁহি মিট্টি মে হাম মিলকে এয় বনমালী॥
তোমায় যেমন ক’রে ডেকেছিল
বাণী
(তোমায়) যেমন ক’রে ডেকেছিল আরব মরুভূমি। ওগো আমার নবী প্রিয় আল্ আরবি — তেমনি ক’রে ডাকি যদি আস্বে না কি তুমি।। যেমন কেঁদে’ দজলা ফোরাত নদী ডেকেছিল নিরবধি, হে মোর মরুচারী নবুয়তধারী! তেমনি ক’রে কাঁদি যদি আস্বে না কি তুমি।। (যেমন) মদিনা আর হেরা পাহাড় জেগেছিল আশায় তোমার, হে হজরত মম, হে মোর প্রিয়তম! তেমনি ক’রে জাগি যদি আস্বে না কি তুমি।। মজলুমেরা কাবা ঘরে কেঁদেছিল যেমন ক’রে, হে আমিনা-লালা, হে মোর কম্লিওয়ালা! তেমনি ক’রে চাহি যদি আস্বে না কি তুমি।।