নিশি-পবন নিশি-পবন
বাণী
নিশি-পবন! নিশি-পবন! ফুলের দেশে যাও ফুলের বনে ঘুমায় কন্যা তাহারে জাগাও — যাও যাও যাও।। মৌ-টুস্টুস্ মুখখানি তার ঢেউ-খেলানো চুল (ওরে) ভোমরার ঝাঁক-ঘেরা যেন ভোরের পদ্ম-ফুল হাসিতে তার মাঠের সরল বাঁশির আভাস পাও যাও যাও যাও।। চাঁপা ফুলের পুত্লি-ঘেরা চাঁপা রঙের শাড়ি তারেই দেখতে আকাশ-গাঙে (ওরে) চাঁদ দেয় রে পাড়ি। তার একটুখানি চোখের আদল বাদল-মেঘে পাও। যাও যাও যাও।। ধীরে ধীরে জাগাইয়ো তায় ঝরা-কুসুম ফেলিয়া গায় জাগলে কন্যা যেন রে মোর পত্রখানি দাও — যাও যাও যাও।।
টুটি’ স্বপন-বিলাস ফুটিল
বাণী
টুটি’ স্বপন-বিলাস ফুটিল রৌদ্র-দগ্ধ মরুর কাতরতা, ছিল লুকায়ে ব্যথা — প্রাণে গোপন অন্তরালে। তুমি পরশি’ সে-ব্যথা সহসা প্রকাশ-আলোকে জাগালে।। একি বেদনা একি ভাষা! আকাশের পাখি ব্যথার ধূলায় মানুষের দুখে বাঁধিল বাসা। তুমি সৃজিলে বেদনা-গীতা ভস্ম-বিভূতি হে শিব এ কোন্ সাধনা জ্বালিয়া চিতা? তুমি ভৈরব যুগ-সম্ভব, তুমি সুন্দর, আরো শোনও তোমার উদাত্ত সুর বিপুল বেদনার মন্থর, ওহে সুন্দর।।
আনন্দ-দুলালী ব্রজ-বালার সনে
বাণী
আনন্দ-দুলালী ব্রজ-বালার সনে নন্দ-দুলাল খেলে হোলি! রঙের মাতন লেগে যেন শ্যামল মেঘে খেলেছে রাঙা বিজলি।। রাঙা মুঠি-ভরা রাঙা আবির-রেণু রাঙিল পীত-ধড়া শিখি-পাখা বেণু রাঙিল শাড়ি কাঁচলি।। লচকিয়া আসে মুচকিয়া হাসে মারে আবির পিচকারি, চাঁদের হাট তোরা দেখে যা রে দেখে যা রঙে মাতোয়ালা নর-নারী! শিরায় শিরায় সুরার শিহরণ রঙ্গে অঙ্গে পড়ে ঢলি।।
জাগো অমৃত-পিয়াসি চিত
বাণী
জাগো অমৃত-পিয়াসি চিত আত্মা অনিরুদ্ধ কল্যাণ প্রবুদ্ধ। জাগো শুভ্র জ্ঞান পরম নব প্রভাত পুষ্প সম আলোক-স্নান-শুদ্ধ।। সকল পাপ কলুষ তাপ দুঃখ গ্লানি ভোলো পুণ্য প্রাণ-দীপ-শিখা স্বর্গ পানে তোলো। বাহিরে আলো ডাকিছে জাগো তিমির কারারুদ্ধ।। ফুলের সম আলোর সম ফুটিয়া ওঠ হৃদয় মম রূপ রস গন্ধে অনায়াস আনন্দে জাগো মায়া-বিমুগ্ধ।।