আবার কি এলো রে বাদল
বাণী
আবার কি এলো রে বাদল। ল’য়ে পিঠভরা এলোচুল, চোখ ভরা জল।। তৃষিত গগনের তৃষ্ণা কি মিটিল কৃষ্ণা-প্রিয়ায় পেয়ে হিয়া কি তিতিল, কাহার বিরহ-দাহন জুড়াল, মোর মত কা’র নিশি হইল বিফল।। ফুটিল কি কদম কেয়া, দোলে, কা’র বুকে ফুল, কা’র নয়নে দেয়া। কে গেল অভিসারে, কে কাঁদে ভবনে কা’র দীপ নিভে গেল দুরন্ত পবনে, কণ্ঠ-লগ্না কা’র কান্তা ঘুমায় মোর মত কা’র বুকে জ্বলিছে অনল।।
দেশপ্রিয় নাই শুনি ক্রন্দন সহসা
বাণী
‘দেশপ্রিয় নাই’ শুনি ক্রন্দন সহসা প্রভাতে জাগি’। আকাশে ললাট হানিয়া কাঁদিছে ভারত চির-অভাগী।। বহুদিন পরে আপনার ঘরে মা’র কোলে মাথা রাখি’, ঘুমাতে এসেছে শ্রান্ত সেননী, জাগায়ো না তারে ডাকি’। দেশের লাগিয়া দিয়াছে সকলি, দেয়নি নিজেরে ফাঁকি — তাহারি শুভ্র শান্ত হাসিটি অধরে রয়েছে লাগি’।। স্বার্থ অর্থ বিলাস বিভব গৌরব সম্মান মায়ের চরণে দিয়াছে সে-বীর অকাতরে বলিদান, রাজ-ভিখারির ছিল সম্বল শুধু দেহ আর প্রাণ তাই দিয়ে দিল শেষ অঞ্জলি দানবীর বৈরাগী।।
প্রথম খন্ড
ও কুল-ভাঙ্গা নদী রে
বাণী
ও, কুল-ভাঙ্গা নদী রে, আমার চোখের নীর এনেছি মিশাতে তোর নীরে।। যে লোনা জলের সিন্ধুতে নদী, নিতি তব আনাগোনা মোর চোখের জল লাগবে না ভাই তার চেয়ে বেশি লোনা। আমায় কাঁদাতে দেখে আসবিনে তুই রে, উজান বেয়ে ফিরে' নদী, উজান বেয়ে ফিরে'।। আমার মন বোঝে না, নদী — তাই বারে বারে আসি ফিরে তোর কাছে নিরবধি। তোরই অতল তলে ডুবিতে চাই রে, তুই ঠেলে দিস তীরে (ওরে)।।
আজি নাহি কিছু মোর মান-অপমান ব’লে
বাণী
আজি নাহি কিছু মোর মান-অপমান ব’লে। সকলি দিয়াছি মোর ঠাকুরের রাঙা চরণের তলে॥ মোর দেহ-প্রাণ, জাতি কুল মান, লজ্জা ও গ্লানি আর অভিমান; (আমি) দিছি চিরতরে জলাঞ্জলি গো কালো যমুনার জলে॥ মোরে যদি কেহ ভালোবাসে আজ জল আসে আঁখি ভ’রে। মোর ছল ক’রে সে যে ভালোবাসে মোর শ্যামসুন্দরে। মোরে না বুঝিয়া কেহ করিলে আঘাত কেঁদে বলি, ওরে ক্ষমা করো নাথ্ বৃন্দাবনে যে প্রেম মধুর হয় আঘাত নিন্দাছলে॥