ইরানের রূপ-মহলের শাহজাদী শিঁরি
বাণী
ইরানের রূপ-মহলের শাহজাদী শিঁরি! জাগো জাগো শিঁরি। ‘প্রিয়া জাগো’ ব’লে ফরহাদ ডাকে শোনো আজো১ রাতে ধীরি ধীরি।। তুমি ধরা দিবে তারে বলেছিলে, বে-দরদি, যদি পাহাড় কাটিয়া আনিতে পারে সে নদী। হের গো শিলায় শিলায় আজি উঠিয়াছে ঢেউ সেথা তব মুখ ছাড়া নাহি আর কেউ, প্রেমের পরশে যেন মোমের পুতুল হয়েছে পাষাণ-গিরি।। গলিল পাষাণ, তুমি গলিলে না ব’লে — যে প্রেমিক মরেছিল তোমার পাষাণ-প্রতিমার তলে, সেই বিরহীর রোদন যেন গো উঠিছে ভুবন ঘিরি’।।
১. আধো
নাটকঃ ‘মদিনা’
আমি সুন্দর নহি জানি হে বন্ধু জানি
বাণী
আমি সুন্দর নহি জানি হে বন্ধু জানি তুমি সুন্দর, তব গান গেয়ে নিজেরে ধন্য মানি।। আসিয়াছি সুন্দর ধরণীতে সুন্দর যারা তাদেরে দেখিতে রূপ-সুন্দর দেবতার পায় অঞ্জলি দেই বাণী।। রূপের তীর্থে তীর্থ-পথিক যুগে যুগে আমি আসি' ওগো সুন্দর বাজাইয়া যাই তোমার নামের বাশিঁ। পরিয়া তোমার রূপ-অঞ্জন ভুলেছে নয়ন রাঙিয়াছে মন উছলি' উঠুক মোর সঙ্গীতে সেই আনন্দখানি।।
বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যূথী বেলি
বাণী
বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যূথী বেলি। এসো এসো কুসুম সুকুমার শীতের মায়া-কুহেলি অবহেলি’॥ পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দুল্ দোলায় (পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দেয় দোলন্) উতলা দখিন হাওয়া কোকিল কুহরে কুহু কুহু স্বরে মদির স্বপন-ছাওয়া। হাসে গীত-চঞ্চল, জোছনা-উজল মাধবী রাতি এসো এসো যৌবন সাথি ফুল-কিশোর, হে চিতচোর, দেবতা মোর। মম লাজ অবগুণ্ঠন ঠেলি’॥
কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
বাণী
পুরুষ : কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও স্ত্রী : বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥ পুরুষ : (বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা) অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো স্ত্রী : (বলি ও কালিয়া পেরেত) তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও। পুরুষ : (মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা) চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা কুত্কুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো স্ত্রী : (বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কেলো হুলো) তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও। পুরুষ : বলি ও জুজুবুড়ি স্ত্রী : বলি ও ঝাঁকাভূঁড়ি পুরুষ : ও বাবা জুজু স্ত্রী : ও বাবা ঝাঁকা পুরুষ : আহা, চাম্চিকে ওই ডানা কাটা স্ত্রী : তুমি যেন পূজোর পাঁঠা পুরুষ : আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও। স্ত্রী : (আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা) পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্গির মুখে ফিনাল দাও॥
বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু
বাণী
বহু পথে বৃথা ফিরিয়াছি প্রভু হইব না আর পথহারা বন্ধু স্বজন সব ছেড়ে যায় তুমি একা জাগো ধ্রুবতারা।। মায়ারূপী হায় কত স্নেহ-নদী, জড়াইয়া মোরে ছিল নিরবধি, সব ছেড়ে গেল, হারাইনু যদি তুমি এসো প্রাণে প্রেমধারা।। ভ্রান্ত পথের শ্রান্ত পথিক লুটায় তোমার মন্দিরে, প্রভু আরো যদি কিছু আছে মোর প্রিয় লও বাঁচায়ে বন্দীরে। ডাকি' লও মোরে মুক্ত আলোকে তব আনন্দ-নন্দন-লোকে, শান্ত হোক এ ক্রন্দন, আর সহে না এ বন্ধন-কারা।।