বাণী

তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে পারবি না মা ফাঁকি দিতে।
ঐ অসীম আঁধার হয় যে উজল মা, তোর ঈষৎ চাহনিতে।।
		মায়ের কালি মাখা কোলে
		শিশু কি মা, যেতে ভোলে?
আমি দেখেছি যে, বিপুল স্নেহের সাগর দোলে তোর আঁখিতে।।
কেন আমায় দেখাস মা ভয় খড়গ নিয়ে, মুন্ডু নিয়ে?
আমি কি তোর সেই সন্তান ভুলাবি মা ভয় দেখিয়ে।
		তোর সংসার কাজে শ্যামা,
		বাধা আমি হব না মা,
মায়ার বাঁধন খুলে দে মা ব্রহ্মময়ী রূপ দেখিতে।।

বাণী

গগনে সঘন চমকিছে দামিনী
মেঘ-ঘন-রস রিমঝিম বরষে।
একেলা ভবনে বসি’ বাতায়নে
পথ চাহে বিরহিণী কামিনী।।
পূবালি পবন বহে দাদুরি ডাকে,
অভিসারে চলে খুঁজে’ কাহাকে।
বৈরাগিনী সাজে উন্মনা যামিনী।।

বাণী

প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই
পরি চাঁপা ফুলের শাড়ি খয়েরিটিপ,
জাগি বাতায়নে জ্বালি আঁখি প্রদীপ,
মালা চন্দন দিয়ে মোর থালা সাজাই।।
তুমি আসিবে বলে সুদূর অতিথি
জাগে চাঁদের তৃষা লয়ে কৃষ্ণা তিথি,
কভু ঘরে আসিকভু বাহিরে চাই।।
আজি আকাশে বাতাসে কানাকানি,
জাগে বনে বনে নবফুলের বাণী,
আজি আমার কথা যেন বলিতে পাই।।

বাণী

মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয়
ব'সে আছি তাই অঞ্চলে নিয়ে কুসুমেরি সঞ্চয়।।
	ফুলহার যদি কর অবহেলা
	তাই ভাবি আর ব'য়ে যায় বেলা
হৃদয়ে থাকুক লুকানো আমার হৃদয়ের পরিচয়।।
বিফল যদি গো হয় পূজা নিবেদন
মন্দির-দ্বারে দাঁড়াইয়া তাই পাষাণেরই নারায়ণ।।
	কেন কাছে আসি, এসে ফিরে যাই
	যদি ফেল জেনে ভয় মানি তাই
সকলি সহিব, সহিতে নারিব হৃদয়ের পরাজয়।।

বাণী

বাদল ঝর ঝর আসিল ভাদর
বহিছে তরলতর পুবালি পবন।
মেঘলা যামিনী, দামিনী চমকায়
কালো মেয়ের ভীরু প্রেমের মতন।।
আমি ভুলে গেছি, মেঘেরা ভোলেনি
সেই কালো চোখ, সেই বিনুনী-বেণী,
প্রিয়ার দূতী সম, স্বরণে আনে মম
এসেছিল একদিন এমন শুভ-লগন।।
আর কিছু ছিল কি, ছিল না ত’ স্মরণে,
শুধু জানি দুই জন ছিনু এই ভুবনে।
সহসা মোদের মাঝে ছুটে এলো পারাপার
কে কোথায় হারাইনু, কূল নাহি পেনু আর,
মনে পড়ে বরষায়, তার সেই অসহায়
বিদায় বেলার আঁখি অশ্রু-সঘন।।

বাণী

আজকে শাদী বাদ্‌শাজাদীর পান করো শিরাজি।।
নেশার ঝোঁকে চোখে চোখে খেলুক আতস বাজি
	(সবে) পান করো শিরাজি।।
	সামনে মোরা যাকে পাব
	রঙিন পানি পান করাব
প্রাণে খুশির রঙ করাব নেচে খেয়ে আজি
	সবে পান করো শিরাজি।।

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘লায়লী মজনু’