অরুণ কিরণ সুধা-স্রোতে ভাসাও প্রভু মোরে
বাণী
অরুণ কিরণ সুধা-স্রোতে, ভাসাও প্রভু মোরে। গ্লানি পাপ তাপ মলিনতা, যাক ধুয়ে চিরতরে।। প্রশান্ত স্নিগ্ধ তব হাসি, ঝরুক অশান্তি প্রাণে বুকে১ প্রভাত আলোর ধারা, যেমন ঝরে সব ঘরে।। যেমন বিহগেরা জাগি ভোরে, আলোর নেশার ঘোরে আকাশ পানে ..., বন্দে প্রেম-মনোহরে২।।
১. পান্ডুলিপিতে পরিবর্ত লাইন হিসেবে ‘সবারে আজ যেন ভালোবাসি’ লেখা আছে।
২. পান্ডুলিপিতে গানটির সঙ্গে কবি-কৃত স্বরলিপি আছে।
আজি ঘুম নহে নিশি জাগরণ
বাণী
আজি ঘুম নহে, নিশি জাগরণ। চাঁদেরে ঘিরি’ নাচে ধীরি ধীরি তারা অগণন।। প্রখর-দাহন দিবস-আলো, নলিনী-দলে ঘুম তখনি ভালো। চাঁদ চন্দন চোখে বুলালো খোলো গো নিঁদ-মহল-আবরণ।। ঘুরে ঘুরে গ্রহ, তারা, বিশ্ব, আনন্দে নাচিছে নাচুনি ঘূর্ণির ছন্দে। লুকোচুরি-নাচ মেঘ তারা মাঝে নাচিছে ধরণী আলোছায়া-সাজে, ঝিল্লির ঘুমুর ঝুমুঝুমু বাজে খুলি’ খুলি’ পড়ে ফুল-আভরণ।।
কৃষ্ণ-প্রিয়া লো কেমনে যাবি
বাণী
কৃষ্ণ-প্রিয়া লো! কেমনে যাবি অভিসারে? সে বিরহী রসে মানস সুরধুনী ’পারে।। সে এ পারে রহে না পারাপারের অতীত সে, এ পারে রহে না, এ পারে না, ও পারেও রহে না, কোন পারে রহে না।। গগনে গুরু গুরু মেঘ গরজে অবিরল বাদল ঝর ঝর ঝরে, আঁখি-জলে আঁখি তোর টলমল সই অন্তর দুরুদুরু করে। পথ দেখিবি কেমনে আঁখি-জলে পিছল আঁখি, পথ দেখিবি কেমনে। তোর আঁখি পিছল পথও পিছল পথে যাবি কেমনে, তোর অন্তরে মেঘ, বাহিরে মেঘ পথ দেখিবি কেমনে। একে কুহু-যামিনী তাহে কুল-কামিনী পথে পথে কালনাগিনী (লো), আছে আড় পেতে শাশুড়ি ননদিনী লো। তুই চাতকীর মত কেতকীর মত রাই মেঘ দেখে মত্ত হইলি ভয় নাই, যার প্রেমের পথে বাধা বিধির অভিশাপ — সাপেরে সে ভয় করে না।।
রেশমি রুমালে কবরী বাঁধি
বাণী
রেশমি রুমালে কবরী বাঁধি’ — নাচিছে আরবি নটিনী বাঁদি।। বেদুঈনী সুরে বাঁশি বাজে রহিয়া রহিয়া তাঁবু মাঝে, সুদূরে সে-সুরে চাহে ঘোম্টা তুলিয়া শাহজাদী।। যৌবন-সুন্দর নোটন কবুতর নাচিছে মরু-নটী গাল যেন গোলাপ কেশ যেন খেজুর-কাঁদি।। চায় হেসে হেসে চায় মদির চাওয়ায়, দেহের দোলায় রং ঝ’রে যায় ঝর্ঝর্, ছন্দে দুলে ওঠে মরু মাঝে আঁধি।।