বাণী

মণি-মঞ্জির বাজে অরুণিত চরণে সখি
রুনু ঝুনু রুনু ঝুনু মণি-মঞ্জির বাজে।
হের গুঞ্জা-মালা গলে বনমালী চলিছে কুঞ্জ মাঝে।।
চলে নওল কিশোর,
হেলে দুলে চলে নওল কিশোর।
হেরি সে লাবনি কৌস্তুভমণি নিষ্প্রভ হ’ল লাজে।
চরণ-নখরে শ্যামের আমার চাঁদের মালা বিরাজে।। সখি গো —
বঁধূর চলার পথে পরান পাতিয়া র’ব চলিতে দলিয়া যাবে শ্যাম;
আমি হইয়া পথের ধূলি বক্ষে লইব তুলি’ চরণ-চিহ্ন অভিরাম।
ভুলে যা তোরা রাধারে কৃষ্ণ-নিশির আঁধারে
হারায়ে সে গেছে চিরতরে,
কালো যমুনার জলে ডুবেছে সে অতল তলে
ভেসে গেছে সে শ্যাম-সাগরে।।
ঐ বাঁশি বাজিছে শোন রাধা ব’লে,
তরুণ তমাল চলে, অঙ্গ-ভঙ্গে শিখি-পাখা টলে।
তা’র হাসিতে বিজলি, কাজল-মেঘে যেন উঠিছে উছলি’।
রূপ দেখে যা দেখে যা,
কোটি চাঁদের জোছনা-চন্দন মেখে যা, মোর শ্যামলে দেখে যা।।

বাণী

বাসনার সরসীতে ফুটিয়াছে ফুল।
মধু-লোভী মদালস এসো অলিকুল।।
	ভোগের পাত্রে মধু
	প্রাণ ভরে পিও বঁধু,
আনন্দে হয় যদি হোক দিক ভুল।।

রেকর্ড-নাটিকাঃ সুরথ উদ্ধার

বাণী

ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহ্ দেখাও সেই কাবার।
যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দিদার।।
দ্বীন দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে,
যে কাবাতে হাজি হ’লে রাজি হন পরওয়ারদিগার।।
যে কাবার দুয়ারে জামে তৌহিদ দেন হজরত আলী,
যে কাবায় কুল্-মাগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার।।
যে কাবাতে গেলে দেখি আরশ কুর্সি লওহ কালাম,
মরণে আর ভয় থাকে না, হাসিয়া হয় বেড়া পার।।

বাণী

সেই মিঠে সুরে মাঠের বাঁশরি বাজে।
নিঝুম নিশীথে ব্যথিত বুকের মাঝে॥
	মনে প’ড়ে যায় সহসা কখন
	জল ভরা দু’টি ডাগর নয়ন,
পিঠ-ভরা চুল সেই চাঁপা ফুল ফেলে ছু’টে যাওয়া লাজে॥
হারানো সে-দিন পাব না গো আর ফিরে,
দেখিতে পাব না আর সেই কিশোরীরে।
	তবু মাঝে মাঝে আশা জাগে কেন
	আমি ভুলিয়াছি ভোলেনি সে যেন,
গোমতীর তীরে পাতার কুটীরে (সে) আজও পথ চাহে সাঁঝে।

বাণী

নাই হ'ল মা বসন ভূষণ এই ঈদে আমার।
আল্লা আমার মাথার মুকুট রসুল গলার হার।।
নামাজ রোজার ওড়না শাড়ি, ওতেই আমায় মানায় ভারি,
কল্‌মা আমার কপালে টিপ, নাই তুলনা তার।।
হেরা গুহারই হীরার তাবিজ, কোরান বুকে দোলে
হাদিস্‌ ফেকাহ্‌ বাজুবন্দ্‌ দেখে পরাণ ভোলে।
হাতে সোনার চুড়ি যে মা, হাসান হোসেন মা ফাতেমা,
মোর অঙ্গুলিতে অঙ্গুরি, মা নবীর চার ইয়ার।।

বাণী

ঘুম যবে ভাঙবে কন্যা (সুখ) স্বপন যাবে টুটে।
ফুল-শয্যার ফুটবে কাঁটা প্রভাতবেলা উঠে।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)